ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

চট্টগ্রাম-১১ আসনে নৌকা কেটলির টানাটানিতে সুবিধাজনক অবস্থানে চেয়ার প্রতীক


নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ব্যুরো photo নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৩১-১২-২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে ৭ জন সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী রয়েছে।  এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য  এম এ লতিফ ( নৌকা), আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন (কেটলি)। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বিভক্ত হয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের পক্ষে মাঠে রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী ও সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজম নাছির উদ্দীনসহ অধিকাংশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। আওয়ামী  লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ এমপির পক্ষেও রয়েছে একটি অংশ। মহাজোটে অন্যতম শরীক ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ মহাসচিব আল্লামা অধ্যক্ষ আবুল বাসার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (জুবাইর) চেয়ার প্রতীককে মহাজোটের অন্যতম শরীক হিসেবে আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ প্রকাশ্যে ও গোপনে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর টানটানিতে নিরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চেয়ার প্রতীককে। মহাজোটের শরীক ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মহাসচিব  আল্লামা জয়নুল আবেদিন জুবাইর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন করছে বলে ভোটের মাঠে বলে বেড়াচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে নির্বাচনী মাঠে নামছে বলে ভোটারদের আশস্থত করছেন। তিনি বিজয়ের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আশ^াস দিয়েছে সব ধরণের সহযোগিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
  এছাড়া চট্টগ্রাম-১১ আসনে ভোটের মধ্যে রয়েছে গণফোরামের প্রার্থী উজ্জ্বল ভৌমিক (উদীয়মান সূর্য),তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির নারায়ণ রক্ষিত (আম), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মহিউদ্দিন (একতারা) প্রতীক পেয়ে নির্বাচনি মাঠে  নেমেছেন। উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম এর ১৬ টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম -১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনটি অপেক্ষাকৃত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  কেননা এ আসনে  বিশ্বের অন্যতম প্রধান নৌ-বন্দর, সিইপিজেড, বিএসপি, ইস্পাত কারখানা, কাস্টমসসহ অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদ্যমান রয়েছে। এ আসনে বিগত ৩  মেয়াদের সংসদ সদস্য ছিলেন এম এ লতিফ। যিনি এবারকার নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ এর নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ধন্ধিতা করছেন। অপরদিকে একই ঘরানারই সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তবে বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে নিয়ে দলের অভ্যান্তরে বিরাজ করছে চরম অসন্তোষ। ফলে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে দলীয় নেতা কর্মীরা। যা এখন ওপেন-সিক্রেট। আর এ সুযোগে দলের অসংখ্য নেতাকর্মীদের আনুকূল্য পাচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী  জিয়াউল হক সুমন। নেতাকর্মী সমর্থকদের এরূপ দ্বিধাবিভক্তিতে অস্তিতে  আওয়ামীলীগ। অপরদিকে একই ঘরানার ২ প্রার্থীর এহেন দোটানা পরিস্থিতির  সুযোগ নিতে চাচ্ছে মহাজোটের শরীক এ আসনে সরব- সক্রিয় অপর প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (জুবাইর)। এ লক্ষ্যে তিনি গোটা এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। প্রচার- প্রচারণায়ও তিনি পিছিয়ে নাই। চেয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন তিনি। উল্লেখ্য অধ্যক্ষ আবুল বাশার মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন (জুবাইর) ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় মহাসচিব। তিনি আগ্রাবাদ হাজীপাড়ার বাসিন্দা। এলাকায় তিনি বহুল পরিচিত ও সমাদৃত। একজন সৎ, নিষ্ঠাবান এবং সজ্জন ব্যক্তি হিসেবেও রয়েছে তাঁর সুখ্যাতি। তিনি সুদীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম পাহাড়তলী নেছারিয়া কামিল (এম এ) মাদরাসায় অত্যন্ত সুনাম ও সফলতার সাথে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এখন অবসরে রয়েছেন। এছাড়া তিনি আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর খতিবের দায়িত্ব পালন করেছেন এবং এখনো করছেন। এছাড়াও তিনি উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডেও ডিগ্রী কামিল হাদিস এবং চট্টগ্রাম  বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে কৃতিত্বের সাথে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। এলাকার সর্বশ্রেণীর মানুষের সাথে তাঁর রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। শুধু তাই নয়, তিনি একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক স্কলার ও  ব্যক্তিত্ব। যে কারণে দলীয় গণ্ডির বাইরেও তৃণমূলের সাধারণ মানুষের নিকট রয়েছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা। এক্ষেত্রে তাঁর কিছু নিরব ভোটার রয়েছে। উপরন্তু সংসদীয় আসন -১১ এ তাঁর দল ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত এবং ইসলামী ছাত্রসেনার সাংগঠনিক কার্যক্রমও রয়েছে চোখে পড়ার মতো। পাশাপাশি আওয়ামীলীগের উচ্চ মহলেও তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়। এখানে আরও উল্লেখ্য  যে, ২০০৬ সালে ৪ দলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর ঢাকা বাংলা  মোটর এলাকায় গুরুতর আহত হন। অতঃপর আওয়ামী লীগ এর নেতৃত্বাধীন মহাজোট গঠিত হলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ শরিক দল হিসেবে মহাজোটকে ক্ষমতায় আনার ক্ষেত্রেও দেশব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এ চট্টগ্রাম- চট্টগ্রাম- ১১ সংসদীয় আসনের একজন  হেভিওয়েট প্রার্থী। এ আসনে একই ঘরানার  নৌকা ও কেটলির রশি টানাটানিতে লাইমলাইটে তাঁর চেয়ার প্রতীক। আর অপর ৪জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্ধিতা করলেও তাদের সাংগঠনিক কোন শক্ত ভিত্তি নেই। এছাড়া এলাকায়ও তাঁদের তেমন উল্লেখযোগ্য পরিচিতি  নেই। সব মিলিয়ে চট্টগ্রাম- ১১ আসনে তিনি আশা জাগানিয়া অবস্থানে রয়েছেন। আর এরূপ হলে এ আসনে ত্রিমূখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা বিশ্লেষকদের মতে।

এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন

লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ