পঞ্চগড় প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে কম্পাউন্ডারের চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যু

পঞ্চগড়ে প্রানী সম্পদ হাসপাতালে কম্পাউন্ডারে চিকিৎসায় ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রানী সম্পদ কার্য্যালয় চত্তরে সদর উপজেলার মীরগড় এলাকার দরিদ্র রংমিস্ত্রী আব্দুর রহমান লিটনের ছাগল চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ তুলেন। পরে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন লিটন।
অভিযোগ ও লিটনের সাথে কথা বলে জানা যায কষ্টে পালিত দুটি ছাগল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল সোমবার ছাগল দুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য ছোটেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপতালে। তবে সেখানে গিয়ে কোন চিকিৎসকের দেখা পাননি তিনি। অফিসের ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট এসে চিকিৎসা দেয়। সেই চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেন। কিন্তু তাতে কোন উন্নতি না হওয়ায় আবারো মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ছাগল দুটি নিয়ে প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে হাজির হন লিটন। দুই ঘন্টা পরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কম্পাউন্ডার রেজাউল করিম এসে তার ছাগলের চিকিৎসা শুরু করে। ব্রঙ্কোভেট নামের একটি সিরাপ এনে খাওয়াতে বলেন। ওই সিরাপ খাওয়ানোর ২০ মিনিটের মধ্যেই মারা যায় একটি ছাগল। ছাগলটির পেটে ৫ মাসের বাচ্চা ছিলো। নিজের কষ্টে পালিত ছাগলটির এমন মৃত্যুতে চোখে জল চলে আসে লিটনের। সেই সাথে ক্ষোভ ঝারতে থাকেন প্রাণী সম্পদ অফিসের চিকিৎসকদের প্রতি। পরে মৃত ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরেন তিনি।
তিনি বলেন, এই অফিসে দুই দিনেও আমি কোন ডাক্তার পাইনি। ডাক্তারের সহকারীরা এসে চিকিৎসা দেয়। তাদের ভুল চিকিৎসা আর চিকিৎসকের অবহেলায় আমার ছাগলটি মারা গেলো। গরু ছাগল আমাদের গরিবের সম্পদ। ছাগলটি বাজারে নিলে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দাম হতো। এতো কষ্ট করে পালন করা পর চিকিৎসার অভাবে পশু মারা গেলে কি কষ্ট, যার যায় সেই জানে। আমি এর বিচার চাই। এদিকে রেজাউল করিম স্বাক্ষর করে ঔষুধের লিস্ট লিটনের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।
শুধু লিটনই না প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা আর অনিয়মে ক্ষুব্ধ জেলার খামারিরাও। খামারিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম ঠিক মতো অফিস করেন না। ভেটেনারি সার্জন ডা. মরিয়ম রহমান আছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। তাই হাসপাতালে অসুস্থ পশু নিয়ে আসলে চিকিৎসা দেন কমাউন্ডার বা ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্টরা। এভাবেই চলছে হাসপাতালটির কার্যক্রম। অন্যদিকে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামকে খামারিরা চিকিৎসার জন্য ডাকলে মোটা অঙ্কের ভিজিট দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন খামারিরা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বড় খামারিদের বিশেষ সুবিধা দেয়া, ব্যক্তিগত কাজে মোবাইল ভেটেনারি ক্লিনিকের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সম্প্রতি জেলা প্রশাসক বরাবরে গণ অভিযোগ করেন খামারিরা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার জালাসী এলাকার খামারি মো. সোহেল বলেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে ডাকলে ১ হাজার টাকা ভিজিট দিতে হয়। ভিজিট না দিলে তারা আসে না। মডেলহাট এলাকার এক গরিব খামারি তাকে ভিজিটের টাকা দিতে না পারলে গাড়ি চালক দিয়ে তার খাসি তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পরে স্থানীয়দের তোপের মুখে রেখে যেতে বাধ্য হন।
ভেটেনারি ফিল্ড এসিসটেন্ট রেজাউল করিম বলেন, আমি ইউএলও স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে কাজ করি। স্যারের নির্দেশনায় চিকিৎসা দেই। শ্বাসকষ্টের কারণে ছাগলটি মারা গেছে। আমি স্যারের কম্পাউন্ডার হিসেবে আছি। চিকিৎসা দেয় স্যার আমি জাস্ট স্যারের এডভাইস ফলো করি।
এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলামের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি। এমনকি তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।
এমএসএম / এমএসএম

সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত

নির্বাচনে বিএনপির ভোটেই প্রার্থীরা বিজয়ী হবেঃ সিরাজুল ইসলাম সরদার

চৌদ্দগ্রামে পানিতে ডুবে মাদ্রাসার ছাত্রী নিহত

বেনাপোলে পার্টেসের চালানে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা জরিমানা

"হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা" কেন্দ্রীয় নেতার আগমনে জন স্রোত

তাড়াশে জাকের পার্টির জনসভা ও র্যালি অনুষ্ঠিত

তানোর-মুন্ডুমালা সড়কের সরু কালভার্টে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নাগেশ্বরী উপজেলা ও পৌর শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে

ঘাঘর নদীর মোহনায় বাঁধ অপসারণ না হওয়ায় প্রতীমা বিসর্জন উৎসব নিয়ে শঙ্কা

জীবন উৎসর্গ করা এক ব্রিটিশ নারীর বাংলাদেশি হওয়ার স্বপ্ন এখন বাস্তবের পথে

টুঙ্গিপাড়ায় দীর্ঘদিনের মাদক ব্যবসায়ী ৫৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার

নরসিংদী জেলা পুলিশের অভিযান, ৪৮ ঘণ্টায় গ্রেফতার ১০৩
