ঢাকা শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫

ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবী


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি photo রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১৮-৪-২০২৪ বিকাল ৫:৪২

‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের-আমরা তোমায় ভুলি নাই’ এই শ্লোগানের প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বড়াইবাড়ী দিবস পালিত হয়। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বড়াইবাড়ী সীমান্তে সংঘর্ষের বর্ষপূর্তি আজ ২৪ বছর। 
২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে ঢুকে নরকীয় তান্ডব চালায়। এতে অকুতোভয় নিয়ে বাংলাদেশ  বিডিআর ও গ্রামবাসীরা একত্র মিলিত হয়ে বিএসএফদের প্রতিরোধের এক পর্যায়ে ব্যার্থ হয় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জোয়ান। এ সময় ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে ঐতিহাসিক এই দিনটিকে পালন করা হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। 
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে রৌমারীতে ব্যাপক কর্মসুচী হাতে নিয়েছে বড়াইবাড়ী দিবস উৎযাপন কমিটি। আয়োজন করা হয়েছে বর্ণাঢ্য র‌্যালী, বড়াইবাড়ী গ্রামে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল। সকাল ১১টায় শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সাবেক এমপি জনাব রুহুল আমিন, বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প, সাংবাদিকবৃন্দ, অত্র এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলী, সাবেক চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, একেএম ফজলুল হক মন্ডল, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃতি, রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা, স্থানীয় খালেক মাস্টার, সাইফুর রহমান লাল প্রমূখ। বক্তারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবী জানান। 
২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোররাতে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশী সীমান্তে অনধিকার প্রবেশ করে বড়াইবাড়ী গ্রামের ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায় ও বাড়ি-ঘর নির্বিচারে জ্বালিয়ে দেয়। ওই দিন হামলার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছিল বিডিআর-জনতা। আর সেই প্রতিরোধে বিএসএফ এর ১৬ জনের লাশ ফেলে পালিয়ে যায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা। শহীদ হয়েছিল ৩৩ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহী মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস্ ব্যাটালিয়নের সিপাহী আঃ কাদের। এছাড়া আহত হয় বিডিআর এর হাবিলদার আব্দুল গনি, নায়েক নজরুল ইসলাম, ন্যান্স নায়েক আবু বকর সিদ্দিক, সিপাহি হাবিবুর রহমান ও সিপাহি জাহিদুর নবী । বিডিআর গ্রামবাসীর পাল্টা আক্রমনে বিএসএফ’র ১৬ জোয়ান নিহত হয়। বিএসএফ এর তান্ডবে পুড়ে ছাই হয়েছিল বড়াইবাড়ী গ্রামের ৮৯ টি বাড়ি। সরকারি হিসেবে মোট ক্ষতির পরিমান ছিল ৭২ লাখ টাকা। কাটেনি সীমান্তের আতংক। গ্রামের মানুষ এখনও দুঃসহ স্মৃতিতে হঠাৎ রাতে আতকে উঠে। শেষ হয়নি তাদের দুঃখের দিন।

এমএসএম / এমএসএম

জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম

যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০

নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা

কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি

কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি

নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন

বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত

দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল

গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

পরিবর্তনের স্বপ্ন পূরণ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি : আসাদুল ইসলাম মুকুল

মাদারীপুর-৩ আসনে খোকন তালুকদারের গণজাগরণ, বালিগ্রামে দুই ওয়ার্ডে নতুন কমিটি

জুড়ীতে কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত