গুরুদাসপুরের মির্জা মাহমুদ খাল নকশা পরিবর্তন করে খননের অভিযোগ

কাল-কালান্তর আগে থেকে গুরুদাসপুরের বুক চিরে যে কয়টি নদী বয়ে চলেছে তার মধ্যে মির্জা মাহমুদ অন্যতম। ষাটের দশক থেকে নদীটির পাড় ঘেঁষে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে দখল শুরু হয়। অব্যাহত দখল-দূষণে চিরচেনা রূপ হারিয়ে মির্জা মাহমুদ এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে।
গুরুদাসপুরের তুলশীগঙ্গা নদীর সোনাবাজু এলাকা থেকে উৎপত্তি হয়ে চাঁপিলার কৈডিমা, আলীপুর, চৌদ্দমাথা, শাহীবাজার চিরে বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর গিয়ে নন্দকুঁজা নদীতে নিজেকে বিলীন করেছে মির্জা মাহমুদ নদী। এই নদীকে খাল নাম দিয়ে কৈডিমা থেকে ধানুড়া মিল্কি বাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের খনন কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)।
স্থানীয়রা জানায়- ১০ ফুট গভির এবং ৬০ ফুট প্রসস্থ করে খালটি খনন করার কথা। কৈডিমা ব্রিজ থেকে উত্তরে আফজাল হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত নকশা মোতাবেক খনন করা হয়েছে। কিন্তু আফজাল হোসেনের বসতবাড়ি, স্থানীয় আব্দুর রশিদ হাজির ৬ বিঘা এবং টিপু নয়নের ৫ বিঘা পুকুর খালের ‘খনন নকশায়’ পড়েছে। মূলত এসব ব্যক্তি খালের জায়গা দখল করে রেখেছেন। বাঁধ দিয়ে করেছেন পুকুরও।
খালপাড়ের বাসিন্দা মকলেছুর রহমান, ইব্রাহিম খাঁ, রাসেল রহমানসহ অন্তত দশজন জানান- আফজালের বাড়ি এবং দুইটি পুকুর খালের পেটে হওয়ায় সেখান থেকেই উত্তরে অন্তত ৭ থেকে ৮শ ফুট খনন করা হয়নি। উপরন্ত বাড়ি আর পুকুর বাঁচাতে খালের প্রকৃতি পরিবর্তন করে আফজালের বাড়ির সামনের পশ্চিমে সরিয়ে ৬০ ফুট প্রসস্থের স্থলে ১০ ফুট প্রস্থে আকাবাকা করে খনন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা আরোও জানায়- বাড়ি আর পুকুর বাঁচাতে ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে উৎকোচ দিয়েছেন খাল দখলকারি তিন ব্যক্তি। একারণে নকশা বহির্ভূতভাবে আফজালের বাড়ি থেকে রশিদ হাজীর পুকুর পর্যন্ত ৭ থেকে ৮শ ফুট খননে এই অনিয়ম করা হয়েছে।
খালের পেটে বাঁধ দিয়ে পুকুর বানানোর প্রসঙ্গে টিপু ও নয়ন ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে খালের জায়গা দখলকরে বসতি নির্মাণ করা আফজাল হোসেন বলেন- খালের পেটে বসতি গড়ে তোলা হলেও জায়গাটি তিনি তার নানির কাছ থেকে পেয়েছেন। একারণে তার বাড়ি বাদ রেখে পশ্চিম পাশ দিয়ে খাল খনন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) গুরুদাসপুর অফিস সুত্রে জানাযায়- পাবনা-নাটোর ও সিরাজগঞ্জ (পানাসি) জেলার ভূ-উপরস্থ পানির মাধ্যমে সেচ প্রকল্পের আওতায় মির্জা মাহমুদ খালটি খনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তিনটি দরপত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা ব্যায়ে খালের ৮ কিলোমিটারের খনন কাজ পেয়েছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টারপ্রাইজ। মূলত নদীর পানিতে সেচ নির্ভর ফসল উৎপাদন, চাষীদের গবাদি পশু পালন এবং উন্মুক্ত জলারাশিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে এই খনন কাজ।
স্থানীয় বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম বলেন- সরকারি খালটি খনন করতে গিয়ে বাড়ি এবং পুকুর পড়েছে। তাই পূবের বাড়ি আর পুকুর বাদ দিয়ে পশ্চিমের তাদের জমি কেটে খাল বানাচ্ছেন ঠিকাদার।
চাপিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান বলেন- খননের নকশা বর্হিভুতভাবে ৭ থেকে ৮শ ফুট খাল সরু করে খনন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শেখ এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মিঠু আহমেদ বলেন- বিএডিসি অফিসের নির্দেশনা অনুসরণ করেই খাল খনন করছেন তারা। কোন অনিয়ম করার সুযোগ নেই। স্থাীয় দুই পুকুর মালিক অর্থের বিনিময়ে পুকুর পাড় মেরামত করার প্রস্তাব দিলেও তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিএডিসি গুরুদাসপুর অফিসের সহকারি প্রকৌশলী সাইদুর রহমান বলেন- নানা ধরণের অভিযোগ আসায় আপাতত খাল খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরকারি সার্ভেয়ার দিয়ে মাপযোগ করে দ্রুত খনন কাজ শুরু করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

মেহেরপুরে ১৫ পিস টাপেন্টাডল সহ ০২ জন ডিবি পুলিশের অভিযানে আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের ৬ দফা দাবিতে আবস্থান কর্মসূচী

কসবায় অধিকাংশ সড়কবাতি অচল, বাড়ছে ছিনতাইয়ের আশঙ্কা

শালিখায় ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

মনোহরগঞ্জে স্বামী হত্যার বিচার না পেয়ে আতঙ্কে স্ত্রী ও মেয়েরা

ছয় দফা দাবিতে মাদারীপুরে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

রাজিবপুরে ফরম পূরণ না হওয়ায় পরীক্ষায় অনিশ্চিত মোশাররফ

মধুখালীতে ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

কাব কার্নিভাল বাংলাদেশ স্কাউটস- ২০২৫ ভূরুঙ্গামারীতে অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুরে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলার উদ্ধোধন

রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ "বাঘা থানা", শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান

যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি
