ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

জীবন-যুদ্ধে হার না মানা ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা ফরিদা


বুলবুল হাসান, বেড়া photo বুলবুল হাসান, বেড়া
প্রকাশিত: ১২-৫-২০২৪ দুপুর ৩:৬

জীবন-জীবিকার কাছে হেরে যান নি ফরিদা খাতুনের ইচ্ছে শক্তি । অন্য আর দশ জনের মত ছিল শৈশব কৈশোর। বাবা মা সুখের স্বপ্নের আশায় বিয়েও দিয়েছিলেন। বিধাতার অঘোষিত নিয়মে সবার জীবনে না কি সুখ সয় না। তারই প্রভাব পড়ে তার জীবনে। স্বামী নামক অমানুষ অন্য আর একটি মেয়ের সাথে পরক্রিয়ায় আসক্ত হয়ে তাকে ডিভোর্স দেন। চল্লিশ বছর আগে  ডিভোর্স হলেও আর বিয়ে করেন নি তিনি । ফরিদা খাতুনের নেই কোনো সন্তানাদি। বৃদ্ধ মায়ের সাথে নগর বাড়ি মুজিব বাধ সংলগ্ন জায়গায় ফরিদা খাতুন (৫৫) থাকেন ভাঙ্গা ঘরে। এক টা সময় ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। বেশ ভালোই চলছিলো তার। করোনা কালীল সময়ে সেখান থেকে চাকরিও চলে যায়। অন্য কোনো চাকরি না পেয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন গ্রামে। এর মাঝে চোখের অসুখে হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টি শক্তি। গার্মেন্টসে চাকরির সময় জমানো টাকা খরচ করে চলে  চিকিৎসা। টাকা পয়সা  হারিয়ে সামনের দিনে কি করে চলবে  তার বাকি জীবন  এই চিন্তায় মানুষিক রোগী হয়ে যায়। এলাকার মানুষের সহায়তায় নেন চিকিৎসা। বর্তমানে নিকট আত্নীয় স্বজনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ গাড়ি তৈরি করেন। নাটিয়া বাড়ি স্কুল সংলগ্ন জায়গার আশে পাশে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি তে পানির শরবত , পেয়ারা, লজেন্স, বিস্কুট  বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সাত সকালে বেড়িয়ে পারেন নগর বাড়ি  ঘাট এলাকায়  শিশুদের বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মাদ্রাসায়, নাটিয়া বাড়ি হাই স্কুলে। সারাদিন কাটে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে, এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায়। 

ফরিদ খাতুনের সাথে কথা বলেন জানা যায় পৃথিবীতে তার দেখার কেউ নেই, নিজেস্ব কোনো বাসস্থান নেই, নিজের সন্তানাদিও নেই, সমাজের বিত্তবান শ্রেণির মানুষ মানবিক কারণে তাকে  সাহায্য করলে  উপকৃত হতো । বৃদ্ধ বয়সে কি হবে সেটাই এখন ভাবেন  সারাক্ষণ। তার স্থায়ী ঘর হলে  সব থেকে বেশি ভালো হয়। প্রতিদিন শরবত বিক্রি করে যে আয় হয় তা নিয়ে বৃদ্ধ মাকে 
নিয়ে কোনো মতে দিন  কাটছে। ফরিদা খাতুনের দোকানে শরবত খেতে আসা স্কুল শিক্ষক শফিকুল ইসলাম  এখানে আমি প্রায়ই লেবুর  শরবত খাই। প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ৫ টাকা নেয়।  এখানে অনেকদিন ধরে ব্যবসা করছে। ব্যবহারও ভালো।

বেড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিজু তামান্না বলেন ফরিদা খাতুন অসহায়   তাই মানবিক কারনে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে তার স্থায়ী আবাসস্থল দরকার। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনুদান এলে তার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। 

এমএসএম / এমএসএম

বাগেরহাট জেলায় সর্বদলীয় অবরোধ কর্মসূচি

রাণীশংকৈলে বালু উত্তোলনের সময় গর্তে পড়ে শিশুর মৃত্যু

লোহাগড়ায় নিখোঁজের চার দিন পর কিশোরের লাশ উদ্ধার

পাঁচবিবিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে কক্সবাজারে ৩ দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

মির্জাগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক

বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা মুন্সি আকতার হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

পাকশীতে রেলওয়ে প্রকৌশলী বিভাগের কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের বারো দফা দাবি না মানলে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা

অনির্বাণের আয়োজনে লেখক ও কবিদের চলনবিল ভ্রমণ ও সাহিত্য আড্ডা

জয়পুরহাটে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াডের পুরস্কার বিতরণী

ভূঞাপুরে আসামি ধরতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত

পাঁচবিবিতে উপজেলা স্কাউটের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন

তাড়াশের ২ জন পাচারকারী র‌্যাব-১২’র অভিযানে মূল্যবান কষ্টি পাথরের তৈরি মূতিসহ গ্রেফতার