জীবন-যুদ্ধে হার না মানা ভ্রাম্যমাণ শরবত বিক্রেতা ফরিদা

জীবন-জীবিকার কাছে হেরে যান নি ফরিদা খাতুনের ইচ্ছে শক্তি । অন্য আর দশ জনের মত ছিল শৈশব কৈশোর। বাবা মা সুখের স্বপ্নের আশায় বিয়েও দিয়েছিলেন। বিধাতার অঘোষিত নিয়মে সবার জীবনে না কি সুখ সয় না। তারই প্রভাব পড়ে তার জীবনে। স্বামী নামক অমানুষ অন্য আর একটি মেয়ের সাথে পরক্রিয়ায় আসক্ত হয়ে তাকে ডিভোর্স দেন। চল্লিশ বছর আগে ডিভোর্স হলেও আর বিয়ে করেন নি তিনি । ফরিদা খাতুনের নেই কোনো সন্তানাদি। বৃদ্ধ মায়ের সাথে নগর বাড়ি মুজিব বাধ সংলগ্ন জায়গায় ফরিদা খাতুন (৫৫) থাকেন ভাঙ্গা ঘরে। এক টা সময় ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। বেশ ভালোই চলছিলো তার। করোনা কালীল সময়ে সেখান থেকে চাকরিও চলে যায়। অন্য কোনো চাকরি না পেয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হন গ্রামে। এর মাঝে চোখের অসুখে হারিয়ে ফেলেন দৃষ্টি শক্তি। গার্মেন্টসে চাকরির সময় জমানো টাকা খরচ করে চলে চিকিৎসা। টাকা পয়সা হারিয়ে সামনের দিনে কি করে চলবে তার বাকি জীবন এই চিন্তায় মানুষিক রোগী হয়ে যায়। এলাকার মানুষের সহায়তায় নেন চিকিৎসা। বর্তমানে নিকট আত্নীয় স্বজনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ গাড়ি তৈরি করেন। নাটিয়া বাড়ি স্কুল সংলগ্ন জায়গার আশে পাশে ভ্রাম্যমাণ গাড়ি তে পানির শরবত , পেয়ারা, লজেন্স, বিস্কুট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সাত সকালে বেড়িয়ে পারেন নগর বাড়ি ঘাট এলাকায় শিশুদের বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, মাদ্রাসায়, নাটিয়া বাড়ি হাই স্কুলে। সারাদিন কাটে এক স্কুল থেকে অন্য স্কুলে, এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায়।
ফরিদ খাতুনের সাথে কথা বলেন জানা যায় পৃথিবীতে তার দেখার কেউ নেই, নিজেস্ব কোনো বাসস্থান নেই, নিজের সন্তানাদিও নেই, সমাজের বিত্তবান শ্রেণির মানুষ মানবিক কারণে তাকে সাহায্য করলে উপকৃত হতো । বৃদ্ধ বয়সে কি হবে সেটাই এখন ভাবেন সারাক্ষণ। তার স্থায়ী ঘর হলে সব থেকে বেশি ভালো হয়। প্রতিদিন শরবত বিক্রি করে যে আয় হয় তা নিয়ে বৃদ্ধ মাকে
নিয়ে কোনো মতে দিন কাটছে। ফরিদা খাতুনের দোকানে শরবত খেতে আসা স্কুল শিক্ষক শফিকুল ইসলাম এখানে আমি প্রায়ই লেবুর শরবত খাই। প্রতি গ্লাস লেবুর শরবত ৫ টাকা নেয়। এখানে অনেকদিন ধরে ব্যবসা করছে। ব্যবহারও ভালো।
বেড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিজু তামান্না বলেন ফরিদা খাতুন অসহায় তাই মানবিক কারনে সরকারি অনুদানের মাধ্যমে তার স্থায়ী আবাসস্থল দরকার। সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনুদান এলে তার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিশুর মৃত্যু

বিএনপি নিয়ে কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবে না

টুঙ্গিপাড়ায় খাল ও রাস্তার দুইপাশের জঙ্গল পরিষ্কার: দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি এলাকাবাসী

ডাসারে দিনমজুর রুবেলের জীবনে দুঃখের ছায়া

উল্লাপাড়ায় ইউএনও মোহাম্মদ হাসনাত: দায়িত্ব পালনের ১৩ মাসে বাড়ছে বিতর্ক

’প্রথম বাংলাদেশ ফোরাম’ সম্মাননা পেলেন সাংবাদিক এস এম পিন্টু

চট্টগ্রামে খুনের মামলার আসামি ছোবানের ৬ মাসের সাজা, ৩০ লাখ টাকা জরিমানা

ধনু নদে স্পিডবোট ডুবির ঘটনায় আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহে ৩ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত মামা আটক

সুলেমান জায়গীরদার অর্গানাইজেশনের নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সড়ক ভাঙন: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কায় হাজার হাজার মানুষ
