ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু, চরম দুশ্চিন্তায় জেলেরা


সাঈদ ইব্রাহিম (পটুয়াখালী) photo সাঈদ ইব্রাহিম (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ২০-৫-২০২৪ বিকাল ৫:৪২

দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের প্রজনন, মাছের বংশ বিস্তার বাড়াতে মাছ ধরার ওপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সোমবার (২০ মে থেকে ২৩ জুলাই) পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে। নিষেধাজ্ঞার কারনে সমুদ্রগামী লাখো জেলের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। জেলেরা বলেন, বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন ধাপে ১৪৭ দিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ায় লাখো জেলে ও ব্যবসায়ীর মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। জেলেরা যে সরকারি সহায়তা পান, তা অপ্রতুল। ফলে তাদের জীবন কাটে চরম দুর্দশায়। মা ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, মার্চ-এপ্রিল ৬০দিনের অভয়াশ্রমের শেষ হতে না হতেই আবার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এমনিতেই তাদের রোজগারের টান পড়ায় ঋন আর ধারদেনায় জর্জরিত। এই ১৪৭ দিন ছাড়াও ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা ধরায় ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রঞ্জাপন জারি করেছে মৎস্য সম্পাদ মন্ত্রনালয়। সেখানে বলা হয়েছে, সামদ্রিক জলসীমায় মাছের বংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পাদ সংরক্ষন এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য ২০মে থেকে ২৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

মেসার্স রহিম ফিসের পরিচালক রহিম খান জানান, পটুয়াখালী জেলার সবচেয়ে বড় দুটি মৎস্য বন্দর মহিপুর-আলীপুর। এখান থেকে কোটি কোটি টাকার মাছ চালান হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গত কয়েক বছর যাবৎ বছরে দুবার নিষেধাজ্ঞা, বৈরি আবহাওয়া, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি। সব মিলিয়ে এই পেশা এখন হুমকির মুখে।

আনোয়ার হাওলাদার মাঝি জানান, ট্রলারে কাজ করে গত বছর ৮০ হাজার টাকা ঋণ হয়েছে, তা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। আবার ৬৫ দিনের অবরোধ, এই ঋণ পরিশোধতো দূরের কথা ঋণের বোঝা আরো বেড়ে যাবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অবরোধকালীন সময়ে প্রতিবছর ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমানায় মাছ ধরলেও কোনো ভূমিকা দেখা যায়না প্রশাসনের।

জেলে মাঝি হিরা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ একটি দাবি করে আসছি, ৬৫ দিনের অবরোধকালে আমরা মাছ ধরা বন্ধ রাখলেও পার্শ্ববর্তী ভারতীয় জেলেরা আমাদের দেশের জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে। কিন্তু সরকার এখনো এর কোনো প্রতিকার করতে পারলো না। আমাদের দাবি, এই সময়ে আমাদেরও মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করত: নয়তো অবৈধভাবে ভারতীয় জেলে ট্রলারগুলো বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ বন্ধ করা হোক।

ট্রলারের মালিক শাজাহান বলেন, কোম্পানির কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা দাদোন নিয়ে দুইটা ট্রলার তৈরি করেছি। ২ বছরে এখন পর্যন্ত লাভের মুখ দেখিনি। এর উপর আবার অবরোধ, এখন এই পেশায় টিকে থাকা আমাদের মতো মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, জেলেদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করা হচ্ছে। এছাড়াও জেলেদের ঋণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পরিকল্পনাও চলছে। তিনি আরো বলেন, মূলত দুটি কারণে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। প্রজনন সুবিধায় যাতে মাছ নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে। আর অপরটি হলো - ছোট মাছকে বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। যার জন্য  বর্তমানে বড় আকারের ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। এছাড়া আমাদের নৌ-পুলিশ, কোষ্টগার্ড সমুদ্রসীমানা পাহাড়া দিবে, যাতে ভারতীয় ট্রলার আমাদের জলসীমায় এসে মাছ ধরতে না পারে। 

এমএসএম / এমএসএম

আশুলিয়ার মামলাবাজ গাজী নাছরিন, উপরে টিকটকার, ভেতরে আওয়ামীলীগার

কাপাসিয়ার টোক বিএনপির দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে ডাসকো ফাউন্ডেশন: তানোর-গোদাগাড়ীতে ৮০ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ

বারহাট্টায় বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ী ও থ্রি-পিস জব্দ

জয়পুরহাটে ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাঁতার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী

কর্ণফুলীতে জমি বিরোধে ব্যবসায়ীকে মারধর, থানায় মামলা

‎ধোপাজান নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ঠাকুরগাঁওয়ে জলপাই ও বিস্কুট খেয়ে হঠাৎ অসুস্থ বিদ্যালয়ের ৫ ছাত্রী

‎মিরসরাইয়ে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো

মেহেরপুরে শ্বশুর হত্যার দায় জামাতা আলমগীর হোসেনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড

ধামরাইয়ে বিএনপি'র ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

উলিপুরে আব্দুল খালেকের মনোনয়ন দাবিতে মানববন্ধন ও র‍্যালি অনুষ্ঠিত

সাবেক হুইপ ওয়াহিদুল আলমের কবর জিয়ারতে মাধ্যমে হাটহাজারীতে মীর হেলালের নির্বাচনী প্রচারনা শুরু