বেবিচক এ ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত
রবিবার সকাল ১১ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমার্জেন্সি ফায়ার এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মহড়া প্রত্যক্ষ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর এ এফ এম আতিকুজ্জামান।
মহড়া শুরু হয় এবিসি এয়ারলাইন্সের (ছদ্মনাম) একটি উড়োজাহাজ দিয়ে।এবিসি এয়ারলাইন্সের (ছদ্মনাম) একটি ফ্লাইট ৫০ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণ করলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। রানওয়েতে কিছুক্ষণ চলার পর পাইলট দেখলেন তার ডান পাশের ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে। তিনি তাৎক্ষণিক কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি অবহিত করলেন। এরপর কন্ট্রোল রুম থেকে সকল সংস্থাকে ইমারজেন্সি তথ্য পাঠানো হয়।
শুরু হয় উড়োজাহাজের আগুন নেভানো ও যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার প্রক্রিয়া। আর এই প্রক্রিয়াতে যোগ দেয় সিভিল এভিয়েশনের নিজস্ব ফায়ার টিম, ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স টিম, বিমান বাহিনীর টিম এবং এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের টিমসহ নানা সংস্থার সদস্যরা।
দ্রুততার সাথে রানওয়েতে পৌঁছে শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। একদিকে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা অন্যদিকে যাত্রীদের অক্ষত অবস্থায় বের করে আনা এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। আগুন নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি আহত যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে বের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
এমন অবস্থায় গুরতর আহত যাত্রী বের করার পর দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে হবে এমন অবস্থায় যোগ দেয় বিমান বাহিনীর বিশেষ হেলিকাপ্টার। এমনিভাবে আধাঘন্টার কম সময়ের মধ্যে উড়োজাহাজের আগুন নিয়ন্ত্রন আনা হয়। পাশাপাশি ৫০ যাত্রীকে বের করে তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় যাতে যোগ দেয় বিমান বাহিনীর বিশেষ হেলিকাপ্টার।এটি আসলে দূর্ঘটনার মহড়ার একটি গল্প। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোন উড়োজাহাজে হটাৎ যদি আগুন ধরে যায় তাহলে কিভাবে এবং কত দ্রুততার সাথে তা নিয়ন্ত্রন ও যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনা যায় তারই একটি মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুরো আয়োজন সমন্বয় করেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, আজকের মহড়ার উদ্দেশ্য হলো জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তৎপরতা পরীক্ষা করা। ফায়ার ফাইটিং গাড়িসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতির পরীক্ষা নিরীক্ষা করাসহ জাতীয় পর্যায়ে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে জরুরী অবস্থা মোকাবেলায় দক্ষতা অর্জন করা।
তিনি বলেন, আইকাওয়ের বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী আমরা প্রতি দুই বছর পর পর এ ধরনের মহড়া করে থাকি। এ ধরনের মহড়ার ফলে আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের সক্ষমতারও জানান দেয়।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ অবস্থা মোকাবেলায় সারাবিশ্বেই আমাদের একটি সুনাম রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আমরা যেভাবে এটি মোকাবেলা তা আন্তর্জাতিকভাবে অনেক প্রশংসা কুড়ায়।
বর্তমান সরকার সিভিল এভিয়েশন সেক্টরকে গুরুত্ব দিয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। আমরা আস্থা অর্জন করতে পেরেছি বলে নানা উন্নত পরিকল্পনা হচ্ছে এবং নতুন বিমানবন্দর স্থাপনের বিষয়টিও সরকারের সুনজরে আছে।
আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত এ ধরনের দূর্ঘটনা ঘটেনি। তারপরও আমরা সতর্ক থাকি যেন আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলা করতে পারি।
এমএসএম / এমএসএম
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার
ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা