ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে দিশেহারা সোনাপুরের মানুষ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে তীব্র আকার ধারণ করেছে নদীভাঙ্গন। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর,চর গেন্দার আরগা,ঘুঘুমারী ও সুখের বাতী এলাকা ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। এখন পর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পার্শে দাড়ায়নি কোন সরকারী, বে-সরকারী সংস্থা ও জনপ্রতিনিধি। তারা নদের পার্শে ঝুপড়ী ঘর তৈরীকরে ও খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
জানাযায়, উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর ও চর গেন্দার আলগা গ্রামে নদের পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তীব্র ভাঙ্গন দেখাদিয়েছে। গত ৩দিনে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গে বিলিন হয়েছে ৩০টি বাড়ী ও কয়েক একর ফসলী জমি। ভাঙ্গন কবলে পড়ে দিশেহারা হয়েছে সেনাপুর ও চর গেন্দার আলগার মানুষ। এলাকা বাসীর অভিযোগ, ভাঙ্গন রোধে এখন প্রর্যন্ত কোন জিও ব্যাগ ও ভাঙ্গন রোধে কোন কার্যকর ব্যাবস্থা নেইনি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সোনাপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন(৯০) বলেন, আমি এর আগেও কয়েকবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে আমর সব কিছু শেষ হয়েগেছে। আমার ছেলে মেয়েরা বাহিরে থাকে। বৃদ্ধবয়সে আমর ঘর নদীতে ভেঙ্গে গেলো আমি কিছুই করতে পারলাম না। আমাগরে গ্রামের মানুষ নদী ভাঙ্গনের কারনে দিশেহারা হয়েগেছে। তিনি আরো বলেন, সরকার আমাগরে সোনাপুর এলাকার মানুষের দিকে একটু সু নজর জেন দেয়।
সোনাপুর গ্রামের মো. সামাদ আলী বেদনা দায়ক কন্ঠে বলেন, আমার আবাদী জমি ও বাড়ীভিটা সব নদীতে বিলিন হয়েগেছে। আমি নিস্বহয়ে গেলাম আমার বাড়ি করার মতো কোন জায়গা নাই, নদীরপাড়ে অন্যের জমিতে ছাপড়া ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কোনমতে আছি জমির মালিকরা চইলা জাইতে কয়তেছে আমি এহন কোথায় যামু তার কোন নিশানা পাইতেছিনা আমি এহন দিশা হারাহয়েগেছি।
সোনাপুর গ্রামের ৬নং য়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সংশের আলী মাদার বলেন,ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাবার সাথেসাথে সোনাপুর গ্রামে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তিন দিনে ৩০টা বাড়ী নদীতে বিলিন হয়েছে। যেভাবে নদীতে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে নদীতে ভাঙ্গন দেখে এলাকার মানুষ দিশেহাড়া হয়ে পড়েছে। এখন প্রর্যন্ত ভাঙ্গন কবলিত মানুষেরা সরকারি-বেসরকারি ভাবে কোন সাহায্য পায়নাই। এবং তাদেরকে কেউ দেখতে আসেনাই। তারা নদের পার্শে ঝুপড়ী ঘর তৈরীকরে ও খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি চেয়ারম্যন, ইউএনও ও পিআইও কে ফোন দিয়েছিলাম কেউ রিসিভ করেনাই।
চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান কে এইচ এম সাইদুর রহমান দুলাল বলেন, আমি কাজের জন্য বাহিরে আছি তবে আমি শুনেছি আমার ইউনিয়নের তিন চারটি গ্রামে পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমার ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত কোন বরাদ্দ পাইনাই। আমি আসতেছি এসেই নিজের অর্থদিয়ে হলেও ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পার্শে দাড়াবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দিন বলেন, আমি সোনাপুর ও চর গেন্দার আলগা গুরেদেখেছি, তারা অনেক কষ্টে আছে। আমার কাছে কোন বরাদ্দনাই তবে ডিসি স্যার প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য ২টন জিআর বরাদ্দ দিয়েছে আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যনের কাছে তালিকা চেয়েছি। তবে ভাঙ্গন এলাকার জন্য ২টন সামান্য মাত্র। আরো বরাদ্দর জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে।
উপজেল্ ানির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, কয়েকদিন থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র হচ্ছে নদী ভাঙ্গন। ইতিমধ্যে উপজেলা কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন দেখাদিয়েছে তার মধে সোনাপুর ও চর গেন্দার আলগা এলাকায় বেশি ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। উপজেলায় ২টন জিআর বরাদ্দ আছে এবং আরো বরাদ্দর জন্য জেলায় কথাবলা হয়েছে আশা করছি দ্রুতই পাবো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বাড়ার সাথেসাথে কিছু কিছু এলায় তীব্র হচ্ছে নদের ভাঙ্গন। তবে ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলোতে আপাদতো জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলমান আছে।
এমএসএম / এমএসএম

গোপালগঞ্জে দিনব্যাপী পালিত কর্মসূচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড
