কালুরঘাট সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রীকে নাগরিক ফোরামের অভিনন্দন
কালুরঘাট নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের আগ্রহের ফলে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য ৪টি প্রস্তাবনাও পেশ করেছেন নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামবাসী তথা বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি ও নাগরিক ফোরামের কর্ণধার ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে দীর্ঘ বছরের আন্দোলনের ফসল কর্ণফুলী নদীতে কালুরঘাটে নতুন সেতু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব মো. কামাল উদ্দিন, সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর বক্তব্য প্রদান করেন সাবেক সাংসদ মাজহাজারুল হক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক মাঈনুদ্দীন কাদের শওকত, দোকান মালিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সভাপতি আলহাজ্ব ছালামত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব নুর আলী, নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ওয়াসার সাবেক প্রধান প্রকৌশলী নুরুল আবছার, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহ্ আলম সিকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব আকরাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলম মনছুর, কামরুল ইসলাম, তসলিম খাঁ, মো. মাসুদ খান, মো. আকতার উদ্দিন, মো. আলী আজম, মো. নুর, নারীনেত্রী মেহেরুন্নেছা নিপা, শারমিন আক্তার, রহিমা আক্তার ডলি, পঙ্কজ কুমার রাহুল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. কামাল উদ্দিন বলেন, "ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম ১৯৯০ সালে কালুঘাট সেতু বাস্তবায়নের দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি বোয়ালখালী শাখার মাধ্যমে দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল। দীর্ঘ আন্দোলন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে গঠিত চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে অনশন, মানববন্ধন, প্রতিবাদীসভা, মতবিনিময়, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কালুরঘাট সেতুর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পোস্টার ব্যানার পেস্টুনসহ বিভিন্নভাবে প্রচার করে জনমত গঠন করা হয়।পাশাপাশি তৎকালীন সংসদ মঈনুদ্দীন খান বাদল, মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এর সক্রিয় সহযোগিতায় আন্দোলন জোরদার করা হয়। চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম ও কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের সম্মিলিত আন্দোলনের ফসল সেতু বাস্তবে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নাগরিক ফোরামের ৪ প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে এই জুলাই মাসের মধ্যে প্রকল্প একনেকে পাশ করা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে কাজ শুরু করা হবে, ফোরামের প্রস্তাব হল ২০২৫ সালের মার্চের দিকে এগিয়ে আনার, প্রকল্পের শুরুর মূল চ্যালেঞ্জ ১৪০ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা, যার মধেধ্য ষাট শতাংশ রয়েছে রেলওয়ের মালিকানা ও সরকারি খাস জমি। বাকি চল্লিশ শতাংশের মতো ব্যক্তিমালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে, তা সতর্কতার সাথে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটা দ্রুত করা প্রয়োজন, সরকার বলেছে ২০৩০ সালে সেতু নির্মাণকাজ শেষ হবে, এ সময়টাকে এগিয়ে এনে ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সবাই অবগত আছেন দেশের সর্ববৃহত্তম পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬.১৫ কি:মি অর্থাৎ ৬১৫০ মিটার, প্রস্তাবিত কালুরঘাট সেতু হল মাত্র ৭০০ মিটার যা পদ্মা সেতুর চেয়ে ৮ ভাগেরও কম, সেখানে পদ্মা সেতুতে বিশাল ভূমি হুকুম দখল ও নদী শাসন পূর্বক নির্মাণ করতে সময় লেগেছে ৮ বছর সেই তুলনায় ২০২৮ সালের মধ্যে কালুঘাট সেতুর কাজ সরকার আন্তরিক হলে শেষ করতে পারবে। তাতে জাতীয় অর্থে বড় অংকের টাকা সাশ্রয় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের সর্বশেষ প্রস্তাবনা মতে সেতুর কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনে দেশের সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সাহায্য নেয়ার আহ্বান জানান।
এমএসএম / এমএসএম
হাদি’র হত্যার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল
শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: পাঁচ ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ, জরিমানা ১৭ লাখ টাকা
চাঁদপুরে মাদকবিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু
রাঙ্গামাটিতে বিএনপি প্রার্থী দীপেন দেওয়ানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
ওসমান হাদির মৃত্যুতে গোবিপ্রবি উপাচার্যের শোক
রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়
টিকটক ভিডিওকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী আটক
হান্নান মাসউদের ৩ সমর্থককে কুপিয়ে জখম, মামলা দায়ের
সাতগাঁও হাইওয়ে থানা বাৎসরিক পরিদর্শন করেন সিলেট রিজিয়ন পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভুয়া চিকিৎসক আটক
কুমিল্লায় তিন বাস টার্মিনালে কর্মবিরতি ৪০ সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপির কাজী সালিমুল হক কামাল