ঢাকা সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাজশাহী শিক্ষা ভবনের পরিচালককে লিগ্যাল নোটিস দিলেন অধ্যক্ষ


শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান  photo শাহিনুর রহমান সোনা, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
প্রকাশিত: ২৩-৮-২০২১ দুপুর ১২:২

রাজশাহী আঞ্চলিক শিক্ষা ভবনের বিভিন্ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একগাদা অভিযোগ উঠেছে। ভোগান্তির শিকার শিক্ষকরা নানা অনিয়ম আর দুর্নীতিতে ছেয়ে যাওয়া দপ্তরটির পরিচালক ও সহকারী পরিচালককে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন। লিগ্যাল নোটিসের বিষয়ে জানতে গেলে ভুক্তভোগী কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দপ্তরটিতে ভোগান্তির শেষ নেই। করোনাকালীন প্রণোদনা পাচ্ছেন না ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। ফাইল ছাড়তে লাগে মোটা অংকের উৎকোচ। এ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন ভোগান্তির চরম পর্যায়ে গেলে উকিলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন। লিগ্যাল নোটিস পাওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন- রাজশাহী অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার (কলেজ) পরিচালক ড. মো. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজা আজাদ।

লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়েছে, যথারীতি নিময়মাফিক জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের শূন্যপদে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি দৈনিক পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। সে নিয়োগে ওই বছরের ১০ জুন অধ্যক্ষ পদে শাহাবুদ্দিন চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পান। ৮ অক্টোবর বিধিমোতাবেক তা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক পূর্বানুমতি পায়। এরপর কলেজ কর্তৃপক্ষ ৯ অক্টোবর শাহাবুদ্দিনকে অধ্যক্ষের নিয়োগপত্র দেয়। আগের কলেজ থেকে ১০ অক্টোবর দায়মুক্তি ছাড়পত্র নিয়ে ১১ অক্টোবর জামবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি যোগদান করেন।

নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সংঘটিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-১৮’ প্রণয়ন করে।   উক্ত নতুন বিধির ১১.১৭ নং অনুচ্ছেদে এই নীতিমালা বর্ণিত প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদ এমপিওভুক্ত হতে পারবে উল্লেখ করে বিধান রাখা হয়। বিগত ১৩ জানুয়ারি ২০২১ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.০০২.২০.৩৭) মাধ্যমে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-১৮ জারির পূর্বে নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়ে ১২ জুন '১৮ তারিখের পরে অবশিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, এমন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত করার জন্য স্ব স্ব অঞ্চলকে নির্দেশ প্রদান করে। সর্বশেষ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২১ গত ২৮ মার্চ-২১ প্রকাশিত হয়। এমপিও নীতিমালা-২১-এর ধারা ১১.২৭-এর আলোকে অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ গত ৪ এপ্রিল-২১ তারিখে অধ্যক্ষ শূন্যপদে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনসহ পরিচালক বরাবর আবেদন করলে তা রিজেক্ট করে দেয়া হয়। কোনো কারণ ছাড়াই কেন তা রিজেক্ট করা হলো- এ বিষয়ে পরিচালক প্রফেসর ড. মো. কামাল হোসেন ও সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজা আজাদকে নোটিস প্রদান করেন তিনি।  

নোটিসে আরো উল্লেখ আছে, উভয়ে (পরিচালক ও সহকারী পরিচালক) পরস্পর যোগসাজশে গত ১০ মে ২০২১ সুনির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ ছাড়াই আবেদনটি রিজেক্ট করেন। রিজেক্টের যেসব কারণ উল্লেখ করা হয় তা সঠিক তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে নয়। তবুও অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন এ সম্পর্কিত কারণের ব্যাখ্যা ও যথাযথ কাগজপত্রাদি দিয়ে পুনরায় আবেদন করেন। কিন্তু সেগুলো পর্যালোচনা না করেই পরিচালক ও সহকারী পরিচালক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তা আবার রিজেক্ট করেন। পরিচালক ও সহকারী পরিচালক ভুল ব্যাখা দিয়ে রিজেক্ট কপিতে তুলে ধরেন। রিজেক্ট কপিতে যোগদানের তারিখ ১১ জুন '১৮ বলে লেখা হয়, অথচ শাহাবুদ্দিন যোগদান করেন ১১ অক্টোব' ১৮। এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নিয়োগ অনুমোদন হয় ৮ অক্টোবর '১৮ইং অথচ রিজেক্ট কপিতে ১৭ অক্টোবর '১৮ উল্লেখ করে রিজেক্ট করা হয়, যা উক্ত দপ্তরটির পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের চরম অদক্ষতা। 

গত ১০ অক্টোবর '১৮ পরিচালকের চাহিদা মোতাবেক দায়মুক্তি ও ছাড়পত্র দেয়া সত্বেও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০১৮০এর ১১.১৭নং অনুচ্ছেদ ও জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা ২০২১-এর ১১.২৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন এমপিও পেতে হকদার হওয়া সত্বেও পরিচালক ও সহকারী পরিচালক ২০২১ এমপিও নীতিমালায় ১২(ক) অনুচ্ছেদ না থাকা সত্বেও উল্লেখ করে তার এমপিওভুক্তিটি রিজেক্ট করেন, যা অদক্ষতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার চরম বহিঃপ্রকাশ। 

উল্লেখ্য, মাউশির পরিষ্কার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও একমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা আবারো চাহিয়াছেন, যা জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালাসমূহের পরিপন্থী। 

অভিযোগকারী অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন বলেন, পরিচালকের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজাদি দেয়া সত্ত্বেও তা উপেক্ষা ও অবজ্ঞা করে সম্পূর্ণ বিদ্বেষমূলক ও বেআইনিভাবে আমাকে এমপিওভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করে রিজেক্ট করেন, যা পরিচালকের ক্ষমতার অপব্যবহার মাত্র। 

অপরদিকে সরেজমিন দেখা যায়, পরিচালক ও সহকারী পরিচালক পরিচালক অফিসে নেই। সহকারী পরিচালক ড. আবু রেজা আজাদের অফিসে তালা দেয়া। অপরদিকে পরিচালকের অফিস খোলা কিন্তু অফিসে পিয়ন ছাড়া তিনি নেই। একাধিকবার পরিচালক প্রফেসর ড. কামাল হোসেনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। অফিস পিয়নকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা পরিচালকের বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করে বলে, পরিচালক ঠিকমতো অফিস করেন না। 

অফিসের নিচে আসতেই সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কয়েকজন শিক্ষক এগিয়ে এসে বলেন, ভাই এই দপ্তরটির নানা অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে। এখানে টাকা ছাড়া কোনো ফাইল পাস হয় না। চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় শিক্ষকদের। ওই সময় পবা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দু-একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা এখনো পাইনি আমরা। একই অবস্থায় তারাও অভিযোগ দিতে এসেছেন।

এমএসএম / জামান

চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন এর দিনব্যাপী প্রশাসনিক কার্যক্রম

বাগেরহাট টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নব-নির্মিত ৫ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর

কুমিল্লা-৯ আসনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল

কুমিল্লায় প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় শাড়ি জব্দ

নিসচার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জয়পুরহাটে র‍্যালি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল

টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষকদের পদসোপান আন্দোলন: দুই বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত

কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন : শফিকুর রহমান

আমরা হিন্দু-মুসলিম নয় আমরা বাঙ্গালী এটাই আমাদের পরিচয়ঃ মহিত তালুকদার

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মুজিবনগরে দোয়া মাহফিল

ময়মনসিংহ রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, পিতার আহাজারি

ভূরুঙ্গামারীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত