ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

এখনো ৩৭০ জন রাজধানীর ৫ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন 


সিনথিয়া পপি photo সিনথিয়া পপি
প্রকাশিত: ১১-৮-২০২৪ বিকাল ৭:৫৫

রাজধানীর পাঁচ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩ জন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে আহত হয়ে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১৫২ জন। শুধু চোখে গুলি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৫ জন। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৭০ জন। আহত অনেকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও আশঙ্কামুক্ত নন।

গত ১৬ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড হাসপাতাল), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৮০ শতাংশ আহত ব্যক্তি হাসপাতালে এসেছেন ছররা গুলি, রাবার বুলেট বা গুলিবিদ্ধ হয়ে। আবার কেউ কেউ এসেছেন কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেডের কারণে অসুস্থ হয়ে।

এ ছাড়া গত সোমবার বিকেল থেকে ইটপাটকেল, লাঠি ও রডের আঘাতে আহত হয়ে বেশি মানুষ হাসপাতালে এসেছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও নতুন অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের পর হাসপাতালে আহতদের গ্রেপ্তার আতঙ্ক আর নেই। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে আহতরাও চিকিৎসা নিতে ঢাকায় আসছেন। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

গত ১৮ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ১ হাজার ৭০০ আহত ব্যক্তি আসেন। মারা গেছেন ৯৮ জন। এখনও ভর্তি রয়েছেন ২২৯ জন। গতকাল সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দুই তলার ২০১ নম্বর ওয়ার্ডের পাশে বারান্দায় শুয়ে আছেন গুলিবিদ্ধ আবুল বাশার (২৬)। চিকিৎসক ও নার্স তাঁর ক্ষতস্থান পরিষ্কার করছেন। গত সোমবার বিকেলে তিনি বিজয় মিছিলে অংশ নিয়ে সাভার থানার সামনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। রাজধানীর কবি নজরুল কলেজের চতুর্ষ বর্ষের এই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় প্রথমে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এখনও শঙ্কামুক্ত নন।

তাঁর চাচা সাইদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ইচ্ছামতো গুলি করেছে। ছাত্ররা বিজয় মিছিল নিয়ে সাভার থানার সামনে গেলেই পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এদের বিচার হওয়া উচিত। ঢামেকের চক্ষু বিভাগে ১১৫ জন চোখে গুলি নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। এই বিভাগে এখনও ১০ জন চিকিৎসাধীন। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, ওই প্রতিষ্ঠানে মোট ১ হাজার ৭০০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

বর্তমানে ২২৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন, যাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান বা পঙ্গু হাসপাতালে ১৭ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ৬৮৬ জন চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ ছিলেন ৪৪১ জন। বর্তমানে ৬৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকে হাত ও পা হারিয়েছেন। এই হাসপাতালের উল্টা পাশে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। আন্দোলন ঘিরে যারা চোখে আঘাত পেয়েছেন, তাদের অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়েছেন এই হাসপাতালে।

এ পর্যন্ত ৭০২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ৪৭০ জনের। বর্তমানে ২৬ জনকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, যাদের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয়েছে, তাদের সবার চোখে গুলি লেগেছে। কারও ছররা আবার কারও বুলেট। এদের অনেকের চোখে দৃষ্টি ফিরবে না। প্রায় ৮০ শতাংশের এমন অবস্থা।

আন্দোলনে আহত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬২৮ জন চিকিৎসা নেন। এদের মধ্যে ৩৩ জন মারা গেছেন। বর্তমানে ৪০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৮৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০ জন।

জামিল আহমেদ / জামিল আহমেদ

শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান- ছাত্রনেতা মাইদুল হাসান সিয়াম

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলোচনা সভা

বাড়তি টাকা দিলে কাগজপত্র ছাড়াই বাসায় পৌঁছে যায় ট্রেড লাইসেন্স

অডিট আপত্তির ভিত্তিতে রেলওয়ে মহাপরিচালকের অপসারণ বেআইনি : রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি

জুলাই সনদের দাবি নিয়ে শাহবাগ অবরোধ

আড়াইহাজারে বিএনপি'র অফিসের ভাড়া চাওয়ায় ঘর মালিককে হত্যা

ডেমরায় জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কর্মসূচি