জনস্বার্থে পাসপোর্ট প্রাপ্তি: মৌলিক অধিকার এবং মামলা সংক্রান্ত বাধা

আমাদের দেশে অসংখ্য অসংগতি রয়েছে, এমন অনেক কিছুই আছে যা নিয়ে না লিখলেই নয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই দেশে জন্মগ্রহণ করাটাই যেন এক অপরাধ। দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত সমস্যার জালে জড়ানো এই জীবন, এক কথায় বলতে গেলে সমস্যার শেষ নেই। সরকার বদলালেও অবস্থার তেমন কোনো পরিবর্তন হয় না। মূল সমস্যা তৈরি করেন আমলারা, যাদের আচরণে পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। তারা সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত জিম্মি করে রাখার চেষ্টা করেন। আমরা সরকারের কাছে জিম্মি নই, বরং আমলাদের কাছে বন্দি। তাদের কাজের ধরণ এমন যেন ছাগল দিয়ে বাঘ পাহারা দেওয়া হচ্ছে। আমলাদের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে।
আমি নিয়মিতভাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখে আসছি, পাশাপাশি প্রতিবাদও করে চলেছি। তবুও আমলাদের মনোবৃত্তি পরিবর্তন হচ্ছে না, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আজ আমি পাসপোর্ট সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি, যা ইতিপূর্বেও কয়েকবার লিখেছি কিন্তু ফল পাইনি। বর্তমানের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে একটি পরিবর্তনের আশা জেগেছে। জনগণ এখন আমলাদের কবল থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। আজ সময় এসেছে জনগণ তাদের অধিকার বুঝে নেবে। আমলারা ভুলে গিয়েছে যে, তারা জনগণের চাকর। তাদের শাসন ও শোষণের দিন শেষ হয়ে আসছে।
প্রতিটি নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার অধিকার রয়েছে। পাসপোর্ট পাওয়া একটি সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার। কিন্তু পাসপোর্ট পেতে যে সকল বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়, তা শুধুমাত্র পাসপোর্ট প্রত্যাশীরাই জানেন। পাসপোর্ট কেউ শখ করে বানায় না, এটি একটি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল। প্রয়োজন ছাড়া কেউ পাসপোর্ট করেন না। তবে পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া সহজ না হওয়ায় অনেকেই তা পেতে ব্যর্থ হন। এর মধ্যে একটি বড় কারণ হলো, মামলা থাকলে পাসপোর্ট মেলে না!
মামলা থাকলেই পাসপোর্ট পাওয়া যাবে না, এটি একটি অবাস্তব সিদ্ধান্ত। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষের নামে কোনো না কোনোভাবে মামলা হয়, বিশেষ করে রাজনৈতিক কারণে। সেই মামলার কারণে একজন ব্যক্তির জীবন-মরণের সংকট হলেও তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয় না। কেন পাসপোর্ট দেওয়া হবে না, তার কোনো যুক্তিসঙ্গত উত্তরও পাওয়া যায় না। আদালত মামলা চলাকালীন কোনো রায় দিতে পারেন, তবে পাসপোর্ট ইস্যু করতে নিষেধ করতে পারেন না। এমনকি দোষী সাব্যস্ত হলেও আদালত কখনো পাসপোর্ট ইস্যু বন্ধ করার নির্দেশ দেননি। কিছুদিন আগে মাননীয় হাইকোর্ট মামলা থাকলেও পাসপোর্ট পাবে তা নিশ্চিত করে একটা রায় প্রদান করেছেন। মামলা থাকলে পাসপোর্ট না পাওয়ার সিদ্ধান্ত বা
নীতিমালা সম্পূর্ণ অমানবিক এবং অন্যায়। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা এমন নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সকলেরই প্রতিবাদ করা উচিত। এক দেশে দুই ধরনের আইন হতে পারে না। মামলা থাকা অবস্থায়ও যেন পাসপোর্ট পাওয়া যায়, সে ব্যবস্থা সরকারকে নিতে হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিও আমি এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না পাসপোর্টের অভাবে। পাসপোর্ট অফিসের হয়রানি বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। এছাড়া, আইডি কার্ড সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিদেশিদের জন্য এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু চালু রাখা প্রয়োজন।
পরিশেষে, সময় এসেছে সব কিছুর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার। যারা এই ধরনের অমানবিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, তাদেরকেও চিহ্নিত করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে দেশকে মুক্ত করে জনগণের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। জনগণই এই দেশের প্রকৃত মালিক, সেই মালিকরা আজ অসহায়। পাসপোর্ট অফিসের কোটি কোটি টাকা ঘুষ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে এবং জনগণের জন্য হয়রানি মুক্ত একটি সেবাপ্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক, গবেষক, টেলিভিশন উপস্থাপক
এমএসএম / এমএসএম

নরসিংদীতে ১৪ দল ও জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াত বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

তানোর গোদাগাড়ীতে ধানের শীষের মনোনয়নের শীর্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন

নেসকোর উপার ক্ষেপে গিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াদের কলিজা ছিড়ে রাস্তায় ফেলতে চাইলেন সারজিস

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি
