ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এফএইচটি টেকনোলজি এন্ড মোবাইল এক্সেসরিজ: কোম্পানির আড়ালে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৪-৯-২০২৪ রাত ৯:৩২

# শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স দিয়েই চলছে ব্যবসার কার্যক্রম
# আবাসিক হিসেবে অনুমোদন নেয়া হলেও ভবনটি ব্যবহার হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে
# জরুরি বহির্গমন পথ নেই, অগ্নিঝুঁকি এড়াতে কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি
# কর্মচারী নিয়োগে শ্রম নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি
# কোম্পানির লেনদেন করা হয় ব্যক্তিগত দুটি ব্যাংক হিসাবে

বিশ্বের নামি দামি ব্রান্ডের লোগো (স্যামসাং, এমআই, নকিয়া, ভিভো ইত্যাদি) নকল করে নিম্নমানের মোবাইল চার্জার উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছে এফ এইচ টি টেকনোলজি এন্ড মোবাইল এক্সেসরিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। আর এসব পণ্য কিনে সাধারণ গ্রাহকরা প্রতারিত হলেও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। 

রাজধানী ঢাকার আফতাবনগরের একটি সাড়ে ছয় তলা (বাসা-৬১, রোড-৬, সেক্টর-১, ব্লক-এফ ) আবাসিক ভবনে দীর্ঘ এক যুগ ধরে প্রতিষ্ঠানটি কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করলেও মানা হয়নি দেশের কোন প্রচলিত আইন।অভিযোগ রয়েছে, শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ব্যবসা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ এক যুগ ধরে আবাসিক ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চললেও রাজউক, বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুর্বল তদারকির কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। 

এফএইচটি টেকনোলজি এন্ড মোবাইল এক্সেসরিজ নামের এই কোম্পানিতে কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রেও শ্রম নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এফএইচটি টেকনোলজি এন্ড মোবাইল এক্সেসরিজ কোম্পানির আড়ালে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফাভোগীরা ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি, মাদক সেবন এবং নারী পাচারের মত জঘন্য কাজে জড়িয়ে পড়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

 সদ্য পলাতক স্বৈরশাসক সরকারের স্থানীয় পেটুয়া বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে মোটা অংকের মাসোহারার মাধ্যমে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। 

কোম্পানির নামে ব্যাংক হিসাবে নামমাত্র লেনদেন দেখিয়ে ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করে ভ্যাট ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আসছে বহু বছর ধরে। কোম্পানীর সকল টাকা পরসা সাইফুল ইসলাম এবং আল আমিন নামের দুইজনের ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসেবে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেনের হয়।বিষয়টি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্র এবং সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, আফতাবনগরের ৬১ নং হোল্ডিংয়ের ভবনটিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম প্রায় এক যুগ ধরে চলছে। ভবনটি আবাসিক হিসেবে ব্যবহার করার কথা থাকলেও অধিক মুনাফার লোভে ভবন মালিক বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহারের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে । ভবনটিতে জরুরী মুহূর্তের জন্য নিরাপদ বহির্গমন পথ নেই এবং অগ্নিঝুঁকি এড়াতে কোন ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। 

অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে বেশিরভাগ শ্রমিকই শিশু-কিশোর ও নারী।