উখিয়ায় টেইলার্স কর্মচারীর বেপরোয়া মাদক ব্যবসা
অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে ইয়াবাসহ মায়ানমারের বিভিন্ন চোরাই মাল ব্যবসায়ীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নব্য ও পুরাতন অনেককেই এসব অবৈধ ব্যবসায় সক্রিয় হতে দেখা গেছে। এই কারবারিদের রুখে দিতে প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কুতুপালং পূর্বপাড়ার রাজেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক কারবারি দিপন বড়ুয়া টেইলার্স ব্যবসার আড়ালে গোপনে ইয়াবাসহ মায়ানমারের বিভিন্ন চোরাইপণ্যের ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে নানান অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। দিপন বড়ুয়া ২০১৯ সালে ইয়াবা নিয়ে উখিয়া থানা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর উখিয়া এসটি ১৫১/১৯নং মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করে। পরে জামিনে এসে কিছুদিন নীরব থেকে নিজেকে আড়াল করতে বেছে নিয়েছিলেন টেইলারিং কাজ।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলে সে পুরোদমে ইয়াবাসহ বিভিন্ন চোরাইপণ্যের ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে বেপরোয়া জীবনযাপন করছে। সে দৃশ্যমান টেইলার্সের দোকানে কর্মরত থাকলেও তার সাথে সখ্য রয়েছে বিভিন্ন জায়গার ইয়াবা সম্রাট ও কালোবাজারিদের সঙ্গে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে ইয়াবা পাচারকারীর ভূমিকায় গডফাদারের সাথে দেনা-পাওনার লেনদেন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
ঘুমধুম সীমান্ত ও ক্যাম্পভিত্তিক এলাকায় বসবাস করার সুবাদে ক্যাম্পভিত্তিক ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সে তৈরি করেছে একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট। জেল থেকে বের হয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে প্রথমে অতিসাধারণ জীবনযাপন করে থাকলেও বর্তমানে সে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসায় সক্রিয় হয়ে রীতিমতো আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, তাকে গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে তার ইয়াবা ব্যবসার গুপ্ত রোডম্যাপ। এছাড়া তার অবৈধ পণ্য মজুদের গোপন আস্তানার তথ্যও জানা যাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুতুপালংয়ের এক ব্যবসায়ী জানান, দিপন বড়ুয়া হচ্ছে নীরব ঘাতক। তাকে আইনের আওয়াতায় আনা এত সহজ নয়। কারণ সে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে বিগ পার্টিদের সাথে খুব সতর্কতার মাধ্যমে মাদকের লেনদেন করে। বেশিরভাগ কাজই সে রোহিঙ্গাদের দিয়ে করায়। সে আটকের পর থেকে নানান কৌশলে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সচেতন মহলের দাবি, সম্প্রতি যৌথবাহিনীর অভিযানে এসব মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা জরুরি। তারা যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এসব ছদ্মবেশী মাদক কারবারির কারণেই দেশে মাদকের আগ্রাসন বেড়েছে।
অভিযুক্ত দীপন বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন জানান, উখিয়ায় পুলিশ সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। মাদক ও অন্যন্য অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অপরাধ দমনে পুলিশ মাঠে নিয়মিত অভিযান শুরু করেছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কোনো অপরাধী রেহাই পাবে না। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।
T.A.S / জামান
হোটেল–রিসোর্টের আড়ালে অনৈতিকতার বিস্তার, অভিযানে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন
এনসিপি পার্থী হাসনাত আবদুল্লাহকে চেনেন না বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান
বিএমএসএফ এর যুগ্ম সম্পাদক আরিফ রহমান এর সফল অস্ত্রোপচার
তর্ক-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন কবির আহমেদ ভূইয়া
ত্রিশালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা
বাগেরহাটে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি উপলক্ষে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন এডভোকেট হাবিবুর রহমান
ছাতকে সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্বে বাধা: অনলাইন প্রেসক্লাবের নিন্দা
নতুন পোশাকের দামে হাঁসফাঁস, রায়গঞ্জে স্বল্পমূল্যের শীতবস্ত্রে ভিড়
কোটালীপাড়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ১৭ ব্যক্তির বিএনপিতে যোগদান
বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে যুবকের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার
ভোমরা শুল্ক স্টেশন কাস্টম অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী বদরুলের বিরুদ্ধে সীমাহীন ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ