ঢাকা সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

মাটি বিক্রির টাকায় কোটিপতি


এম ফেরদৌস, উখিয়া photo এম ফেরদৌস, উখিয়া
প্রকাশিত: ১৩-৯-২০২৪ সকাল ৮:৩৮

যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়- এমন ব্যাক্তিও স্বৈরাচার সরকারের আমলে বিভিন্ন অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন উখিয়ায়। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়ার কুতুপালংয়ে এমন দৃশ্য অহরহ রয়েছে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কুতুপালংয়ের মনছানু বড়ুয়া  ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে পশ্চিমপাড়ার বিশাল পাহাড়ি বনাঞ্চল ধ্বংস করে সমতলভূমিতে পরিণত করেছেন।

তিনি অবৈধ ড্রাম্পট্রাকযোগে পাহাড়ি বনাঞ্চলের মাটি বিভিন্ন দোকান ভরাট, ঘর তৈরি ও জমি ভরাটসহ বিভিন্ন ভরাটকাজে এই পাহাড়ি মাটি বেচা-বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। তার নিজস্ব মালিকানার ৪-৫টিরও বেশি অবৈধ ডাম্পার দিয়ে বিভিন্ন পাহাড় কর্তনের কন্ট্রাক্ট নিয়ে কুতুপালং এলাকায় রীতিমতো পাহাড়খেকোর উপাধি পেয়েছেন।

এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর ম্যানেজ করে তিনি তার এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। ওই সময়ে কোনো নেতা বা প্রশাসন বাধা দিত না। সবাই তার মাটি বিক্রির টাকায় ভাগ বসিয়ে পকেট ভারি করে চুপ থাকতেন।

দক্ষিণ বন বিভাগ উখিয়া রেঞ্জের কর্মকর্ত গাজী শফিউল ইসলাম বলেন, পাহাড়া কাটা ও বনাঞ্চলের ক্ষতি করায় মনছানু বড়ুয়ার বিরুদ্ধে উখিয়া সদর বিটে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাগুলো চলমান রয়েছে। পাহাড় কাটা ও বনাঞ্চল রক্ষার্থে উখিয়া রেঞ্জ কঠোর অবস্থানে আছে। সরকারি সম্পদ রাক্ষার্থে যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, মনছানু বড়ুয়া পাহাড়ি মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। বর্তমানে তিনি ডুপ্লেক্স বাড়ি করেছেন দুই কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে। ছেলেদের বাইরে লেখাপড়া করাচ্ছেন এবং আরেকজনকে ইউরোপে পাঠিয়েছেন লাখ লাখ টাকা খরচ করে। তার এত টাকার উৎস একমাত্র পাহাড়ি মাটি পাচার ও মাটি বিক্রি।

এ বিষয়ে মনছানু বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশের মামলা রয়েছে সত্য। আমি পাহাড় কেটেছি তাও সত্য। তবে যে পাহাড়গুলো কেটেছি এগুলা বন বিভাগ পুনরায় গাছ রোপণ করেছে। 

পরিবেশবাদীরা বলছেন, মনছানু বড়ুয়া পাহাড়ি মাটি বিক্রি করে যে সম্পদ আয় করেছেন, ওই সম্পদ ক্রোক করে পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব কাজে ব্যবহার করা হোক। তার বিরুদ্ধে যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলো কচ্ছপগতিতে চলছে। দৃশ্যমান কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। সে যে এতবড় অপরাধ করল, সেটি দৃশ্যমান। অথচ তার বিচারিক কাজে এত কচ্ছপগতি কেন- প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এমএসএম / জামান

হোটেল–রিসোর্টের আড়ালে অনৈতিকতার বিস্তার, অভিযানে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন

এনসিপি পার্থী হাসনাত আবদুল্লাহকে চেনেন না বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান

বিএমএসএফ এর যুগ্ম সম্পাদক আরিফ রহমান এর সফল অস্ত্রোপচার

তর্ক-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন কবির আহমেদ ভূইয়া

ত্রিশালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা

বাগেরহাটে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি উপলক্ষে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

গোপালগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন এডভোকেট হাবিবুর রহমান

ছাতকে সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্বে বাধা: অনলাইন প্রেসক্লাবের নিন্দা

নতুন পোশাকের দামে হাঁসফাঁস, রায়গঞ্জে স্বল্পমূল্যের শীতবস্ত্রে ভিড়

কোটালীপাড়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ১৭ ব্যক্তির বিএনপিতে যোগদান

‎বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে যুবকের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার

ভোমরা শুল্ক স্টেশন কাস্টম অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী বদরুলের বিরুদ্ধে সীমাহীন ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

সিংড়ায় পরিবেশ কর্মীদের অভিযান: বাঁশের কেল্লা ধ্বংস, ৫টি বক অবমুক্ত