তালায় রেকর্ড বৃষ্টিতে পানিবন্দি মানুষ, দিশেহারা কৃষক

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গত কয়েক দিনের বিরতিহীন প্রবল বর্ষণে প্রত্যন্ত অঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শত শত মাছের ঘের ও ফসলি জমির মালিকরা। পানি থই থই করছে বহু বসতবাড়ির আঙিনায়, ভেঙে গেছে কাঁচা ঘরবাড়ি। এসব এলাকার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে গবাদিপশু নিয়ে রাস্তায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। অনেকে আবার নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বন্যাকবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মাছের ঘের, আমন ধান, সব্জিক্ষেত, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং খেলার মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে। বহু নলকূপ তলিয়ে যাওয়ার ফলে সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির। এসব গ্রামের মানুষ গবাদিপশু নিয়ে উঁচু রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। রান্নার ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় অভুক্ত অবস্থায় দিন পার করছেন তারা। এরই মধ্যেই দেখা দিয়েছে জ্বর-সর্দিকাশিসহ পানিবাহিত নানান রোগ, যার প্রাদুর্ভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা।
গত দুদিন ধরে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এনজিওদের সহযোগিতায় এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা স্বেচ্ছাশ্রমে এসব এলাকার পানি সরানোর কাজ করার বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। জানা গেছে, পানিবন্দি লক্ষাদিক অসহায় মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক উপজেলার নগরঘাটা, তালা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে স্থায়ী জলবদ্ধতা নিরসনে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। এমনকি নিজেরাই উপস্থিত থেকে বিভিন্ন খাস খাল দখলমুক্ত করে পানি সরানোর ব্যবস্থা করছেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম মফিদুল হক লিটু জানান, তার ইউনিয়নের সবকটি গ্রাম তলিয়ে গেছে। এলাকার অধিকাংশ ঘের ও ফসলি জমি ভেসে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মন্দির এমনকি মানুষের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের ঘের মালিক আব্দুর রউফ সরদার (৪৮) জানান, আমার ১৮০ বিঘা মাছের ঘের এখনো পানির নিচে। ঘেরে কোনো মাছ আছে কিনা বলতে পারব না। আল্লাহই ভালো জানেন। যদি মাছ না থাকে তাহলে ঋণের জন্য বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। এ ধরনের অভিযোগ উপজেলার প্রায় সকল মৎস্যচাষির বলে জানা গেছ।
উপজেলা পানি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান জানান, উপজেলার টিআরএম কার্যকর থাকলে এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো না। অপরিকল্পিত নদী খনন, সংযোগ খাল উন্মুক্ত না থাকা এখানকার জলাবদ্ধতার মূল কারণ। এখনই যদি পদক্ষেপ না নেয়া হয় তাহলে তালাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সকল উপজেলা পানির নিচে তলিয়ে যাবে। এ ধরনের অভিযোগ স্থানীয় বহু সচেতন মহলের।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, উপজেলাব্যাপী কৃষি ফসলের ক্ষতির তথ্য সংগ্রহ করছি। এখনো চূড়ান্ত তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা খাঁ বাবলি বলেন, উপজেলায় ৫২০টি মাছের ঘের সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ৮২৭ দশমিক ৪৫ টন মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ওবায়দুল হক বলেন, এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য সব ইউপি ও সরকারি দপ্তরে তথ্য চাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছে সমাধানের জন্য আর্থিক চাহিদা দেয়া হয়েছে। পানি দ্রুত নামানোর জন্য ইউএনও সাহেবের সঙ্গে বিভিন্ন খাল পরিষ্কার করার কাজ চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
