ঢাকার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে ফিরে এলেন বিতর্কিত অফিসার আব্দুর রহমান
স্বৈরাচার সাবেক সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সকল সরকারী প্রতিষ্ঠানের মত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের নানান দুর্নীতির খবর সকলের সামনে উঠে আসে। এই প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অতিষ্ঠ ও জিম্মি করে রেখেছিল সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। নিয়োগ, বদলি, লোন, টাকা উত্তোলন করে লুট থেকে নিয়ে পদে পদে দুর্নীতি করেছে আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও নিষ্পেষিত করেছে সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। একে একে নিত্য নতুন সব খবর বেরিয়ে আসছে আওয়ামী ঘরানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে অপরাধের আর এক গুরুতর তথ্য গুঞ্জরিত হচ্ছে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের স্টাফদের মধ্যে।
অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট এই ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে বসে বিভিন্ন মাদকের যোগান দিতেন। প্রধান কার্যালয়ের এমডি জামিনুর রহমান ও তার স্ত্রীর সাথে পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে বলে প্রচার করে ব্যাংকে শক্তিশালী অবস্থ্ন নিয়ে থাকা এই আব্দুর রহমান সাতক্ষীরার কলারোয়া পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে তৎকালীন কর্মরত তাঁর মামা আনারুলের কাছ থেকে ফেন্সিডিলের চালান এনে ব্যাংকের বাইরের কিছু ঘনিষ্ঠদের কাছে সরবরাহ করতেন। এই সব কারণে আনারুলের বদলি হয় ঝিকরগাছায়।
তাই বর্তমান ঝিকরগাছার শাখা ব্যবস্থাপক আনারুলের মাধ্যমে ফেন্সিডিলের বড় বড় চালান এনে মগবাজার ও মালিবাগ এলাকার আওয়ামী লীগের নেতা মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী নাহিদকে সাপ্লাই দিয়ে থাকে বলেও জানা যায়, যার ফলে তিনি যে কোনো মূল্যে আবার ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছেন। এই সিনিয়র অফিসার আব্দুর রহমান সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেখ জামিনুর রহমানের নিয়োগ দুর্নীতির কাজে ঘনিষ্ঠ সহযোগিকারী হিসেবে পরিচিত ব্যাংকের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট শাহেদ আলমগীর ও সিস্টেম এনালিস্ট আল্লামা মোহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া তানহা ও অন্যান্যদেরও ঘনিষ্ঠ হিসেবে প্রধান কার্যালয়ে দাপটের সাথে মাস্তানি করে গেছেন।
তৎকালীন শৃঙ্খলা ও আপিল বিভাগে কর্মরত আব্দুর রহমান এমডি’র নিয়োগ দুর্নীতির সকল কাজ গোপনীয়তার সাথে সম্পন্ন ও দুর্নীতির টাকার হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা যায়। তাঁকে গ্রেফতার করলে সাবেক (এমডি) শেখ মো. জামিনুর রহমানের দুর্নীতির সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে। সিনিয়র অফিসার আব্দুর রহমান প্রধান কার্যালয়ে শৃঙ্খলা ও আপিল বিভাগে কর্মরত ছিলেন সম্প্রতি বগুড়া জেলা আঞ্চলিক কার্য্যলয়ে তাকে বদলি করা হলে তিনি বেসামাল হয়ে পড়েন। ফলে বিভিন্ন তদবির ও স্ত্রীর অসুস্থতা তথা (ক্যান্সার) হয়েছে দেখিয়ে বদলি হয়ে আবার ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে কমপ্লেন বিভাগে যোগদান করেছেন।
তিনি সীমাহীন দুর্নীতির সাথে জড়িত আছেন। যার বিরুদ্ধে আগের কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তিনি মনিরামপুরে শাখা ব্যবস্থাপক থাকাকালীন প্রায় ১২০০ জন সদস্যের সঞ্চয়ের টাকা উত্তোলন করে, সদস্যেরকে লাভের একটি টাকাও প্রদান করেননি। টাকার পরিমাণ প্রায় ১২ লাখ, এককভাবে তিনি এই টাকা আত্মসাৎ করেন। যা ২ বার অডিটে তাঁর অডিটর সহকর্মীরা ধামা-চাপা দেয়। যা নিয়ে অফিসের মাঠ সহকারীরা এবং ভুক্তভোগী সদস্যরা অডিটরদের কাছে আপত্তি জানাতে আসলে অল্প সময়ের মধ্যে আব্দুর রহমান বিমানে করে মনিরামপুর শাখায় এসে মাঠ সহকারী এবং সদস্যদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে দেন।
জানা যায় ঝাপা ইউনিয়নের স্বপন পাল, আতিয়ার রহমান এবং ষোলঘাটা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির রাবেয়া সুলতানা প্রমুখের টাকা আত্মসাৎ করে। এবিষয়ে আব্দুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকালের সময়’কে বলেন, সাবেক এমডি জামিনুর রহমানের সাথে আমার সম্পর্ক অত্যান্ত ভালো থাকলে আমি তাঁর নিয়োগ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিষয়ে জানিনা এবং মাদক ব্যবসার সাথে তাঁর সংশ্লিষ্ঠতা নেই।
জামিল আহমেদ / এমএসএম
তিতাস গ্যাস জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন সিবিএ এর অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত
ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি
জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত
কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত
পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম
ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে
উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ
হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার