লামায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বান্দরবানের লামা উপজেলায় রাতের অন্ধকারে ঘর নির্মাণ করে জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি হেডম্যানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নয়া মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা মৃত ইউনুছ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও মো. ইব্রাহীম হোসেনসহ মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ফারজানা আক্তার মুন্নির ভোগদখলীয় জমিতে এ ঘর নির্মাণ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, ক্রয়সূত্রে ফারজানা আক্তার মুন্নির নামে লামা উপজেলার ৩০৫নং গজালিয়া মৌজার আর/৮৪৩নং হোল্ডিং মূলে ৩ একর ৮০ শতক দ্বিতীয় শ্রেণির জমি রয়েছে। লোভের বশবর্তী হয়ে ওই জমির ওপর পাশের নয়া মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলামদের (৩৫) লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তারা এ জমি দখলে নিতে পাঁয়তারা শুরু করেন। একপর্যায়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রতিপক্ষ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় জমির মূল মালিক ও ফারজানা আক্তার মুন্নিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে স্থিতিতাবস্থা চেয়ে অভিযোগ করেন। আদালত উভয়পক্ষকে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থাপনা বা নির্মাণকাজ না করার জন্য আদেশ দেয়। কিন্তু তাজুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন ও আনোয়ার হোসেনরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে ওই জমিতে নিজেরাই একটি ঘর নির্মাণ করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় তাজুল ইসলামরা জমির ঘেরা বেড়া ও জমির ফসল উপড়ে ফেলেন বলে জানান জমির ইজারাদার মো. আলম।
ভুক্তভোগীর স্বামী সাদ্দাম হোসেন রাকিব বলেন, অনেক দিন ধরে তাজুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেনরা আমার স্ত্রী ফারজানা আক্তার মুন্নির কেনা জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছেন। কিছুদিন আগেও জমিতে কাজ করতে গেলে তারা বাধা প্রদান করেন। শুধু তাই নয়, জমি ছেড়ে না গেলে আমাকে ও আমার জমির কেয়ারটেকারকে হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকিও দেন। হুমকির শিকার হয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হই।
তিনি আরো বলেন, এর আগে গত ১৯ মে ফারজানা আক্তার মুন্নি জমি মো. আলমের কাছে লাগিয়ত প্রদান করেন। এ লাগিয়ত চুক্তিনামায় সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করেন অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন। অথচ এতদিন পর এসে জমি তাদের দাবি করে অযথা ঝামেলা করছেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. আলম, মো. ফারুক ও মো. মুসাসহ অনেকে জানান, আর/৮৪৩নং হোল্ডিংয়ের ৩ একর ৮০ শতক জমি ফারজানা আক্তার মুন্নি ক্রয়সূত্রে মালিক। এ জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখলেও আছেন তিনি। কিন্তু ইদানীং ইব্রাহিম হোসেন, আনোয়ার হোসেন ও তাজুল ইসলাম গং এ জমিতে রাতের আঁধারে ঘর তুলে তাদের বলে দাবি করছেন। এটা সম্পূর্ণ অন্যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমরা আমাদের বাবার জমিতে ঘর নয়, একটি বৈঠকখানা নির্মাণ করেছি। বাবা মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশসূত্রে এ জমির মালিক আমরা। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও বিরোধীয় জমিতে ঘর নির্মাণের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি ইব্রাহীম হোসেন ও আনোয়ার হোসেনরা।
গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ম্যংক্যচিং চৌধুরী বলেন, বিরোধীয় জমির বিরোধ মীমাংসার স্বার্থে উভয়পক্ষকে নিয়ে হেডম্যান কার্যালয়ে বসার কথা ছিল। উভয়পক্ষ বসার জন্য সম্মতিও দিয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে আনোয়ার হোসেন ও তাজুল ইসলামরা কারো কথা না মেনে রাতের অন্ধকারে ঘর তুলে জমি জবরদখলের চেষ্টা করছেন।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ বলেন, গজালিয়া হেডম্যানপাড়ার জমি নিয়ে এক পক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থিতিতাবস্থা চেয়ে এবং অপর পক্ষ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছে। নোটিসের মাধ্যমে উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলার স্বার্থে বিরোধীয় জায়গায় না যেতে বলা হয়েছে। কোনো পক্ষ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ঘর তুললে বা কোনো ধরনের কাজ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান

টিসিবি'র কার্ডের কথা বলে নারী-পুরুষদের মানববন্ধনে দাঁড় করালেন প্যানেল চেয়ারম্যান, ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী

শিবির কর্মী থেকে বিএনপি নেতা, কে এই জাকির হোসেন সরকার

রৌমারীতে বিয়ের প্রলোভনে তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

মান্দায় ছয় মাস ধরে এসিল্যান্ড শূন্য

পঞ্চগড়ে বিএনপির বিজয় র্যালি

প্রশাসনিক অনুমতিতে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক

পটুয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জেলা বিএনপির বিজয় র্যালি ও সমাবেশ

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিজয় র্যালী

ঝিনাইদহে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে আনন্দ শোভাযাত্রা

ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তিতে ফটিকছড়িতে বিজয় মিছিল-আলোচনা সভা

আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম হতে দিবেনা বিএনপি
