একাধিক মামলার আসামি উখিয়ার সৈয়দ আলমের তাণ্ডব
আওয়ামী লীগের সুফল ভোগ করা নামধারী বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে মাদক ব্যবসা, পাহাড় কর্তন, বনের জমি দখলসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে এলাকায় স্বৈরাচারী ক্ষমতা ব্যবহার করছে সৈয়দ আলম এমন অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উখিয়ার পশ্চিম সিকদার বিল জামতলী এলাকার মৃত নজির আহমেদের ছেলে সৈয়দ আলম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বন বিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দুই একরের বেশি জমি জবরদখল করে দালান নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে বন বিভাগ থেকে মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তা আরফাত হোসেন।
তারপরও দায়েরকৃত মামলাকে তোয়াক্কা না করে তিনি বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতার অপক্ষমতা ব্যবহার করে তার দখলকৃত জায়গায় দালান নির্মাণের কাজ শেষ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন বনাঞ্চলের পাহাড় কেটে মাটি বেচাবিক্রি করে সমতলভূমিতে পরিণত করে দিতে কন্ট্রাক্ট নিতেন। তার এলাকার অনেকগুলো বড় গর্জন (মাদার ট্রি) গাছও সন্ত্রাসী কায়দায় কেটে নিয়ে রাতারাতি বিক্রি করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বন বিভাগ সরকারি ডিপার্টমেন্ট বলে মনে হতো না তার। সবকিছু তিনি ব্যবহার করতেন নিজের পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে। তার এসব অপকর্মকে শেল্টার দিতে টাকার ভাগে রাখতেন আওয়ামী লীগ নেতাদের।
তার এত ক্ষমতার উৎস কোথায় জানতে চেয়ে বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার গাজী শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার ক্ষমতার উৎস কে বা কারা তা আমার জানা নেই। তবে বন ভূমির জায়গা জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে উখিয়া রেঞ্জ কোনো সময় আপোষ করেনি, করবেও না। সৈয়দ আলমের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। মামলা এখনো চলমান, প্রয়োজনে আরো মামলা দেয়া হবে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সৈয়দ আলম বন বিভাগের জমি দখল ও পাহাড় কর্তনে রাজত্ব করার পাশাপাশি উখিয়ার ইয়াবার অন্যতম কারবারি ছিলেন। তিনি খুচরা ও পাইকারিতে মাদক বেচাবিক্রি করতেন প্রকাশ্যে। তার বাড়ি ছিল মাদকের আঁতুড়ঘর। গাঁজা, ইয়াবা, দেশি-বিদেশি মদ ইত্যাদি তার মাধ্যমে সেবনকারীরা কিনে নিত। এসব ঘটনার সত্যতা পেয়ে কক্সবাজারের র্যাব-১৫ তার ঘর তল্লাশি করে প্রায় ১০ লাখ টাকার ইয়াবাসহ তাকে হাতেনাতে আটক করেছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, সৈয়দ আলম মাদক কারবারি ও জবরদখলকারী, সেটা এলাকার সবাই জানে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। প্রশাসনের সাথেও তার আঁতাত রয়েছে বলে সে সবাইকে হুমকি-ধমকি দিয়ে কথায় কথায় এসব বলে। কিন্তু তার ক্ষমতাটা অদৃশ্য। যখম আওয়ামী লীগ ছিল তখন সে আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতার আপন লোক ছিল। এখন আবার তার মুখে শোনা যায় সে বিএনপি নেতাদের আপন মানুষ। তার সম্পর্কে এসব বলা মানে নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা।
এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সৈয়দ আলম ঘটনা সত্য বলে স্বীকার করে বলেন, বন বিভাগ আমার নামে ৬টি মামলা দিয়েছে। ৪টিতে খালাস পেয়েছি, ২টি চলমান। মাদক মামলায় আমি জামিনে আছি। আমাকে কেউ গ্রেফতার করবে না। বনের যে জায়গার কথা বলছেন এগুলা একেকটা একেক জায়গায়। সবগুলো আমি করিনি। আমার অনেক আত্মীয়স্বজনও আছে জায়গাগুলোতে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ হোসেন জানান, চিহ্নিত কোনো অপরাধীকে ছাড় দেয়া হবে না। উখিয়া থানা পুলিশের টিম অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক তথ্য পেলে অপরাধী যত বড় হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান
হোটেল–রিসোর্টের আড়ালে অনৈতিকতার বিস্তার, অভিযানে নড়েচড়ে বসল জেলা প্রশাসন
এনসিপি পার্থী হাসনাত আবদুল্লাহকে চেনেন না বিএনপি প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান
বিএমএসএফ এর যুগ্ম সম্পাদক আরিফ রহমান এর সফল অস্ত্রোপচার
তর্ক-বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন কবির আহমেদ ভূইয়া
ত্রিশালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দুই পরিবারকে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা
বাগেরহাটে স্কুল মিল্ক কর্মসূচি উপলক্ষে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
গোপালগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিলেন এডভোকেট হাবিবুর রহমান
ছাতকে সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্বে বাধা: অনলাইন প্রেসক্লাবের নিন্দা
নতুন পোশাকের দামে হাঁসফাঁস, রায়গঞ্জে স্বল্পমূল্যের শীতবস্ত্রে ভিড়
কোটালীপাড়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ১৭ ব্যক্তির বিএনপিতে যোগদান
বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে যুবকের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার
ভোমরা শুল্ক স্টেশন কাস্টম অফিসের পরিচ্ছন্ন কর্মী বদরুলের বিরুদ্ধে সীমাহীন ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ