দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের প্রত্যাহার দাবিতে বিয়ানীবাজারের খলাগ্রামবাসীর স্মারকলিপি

সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার খলাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমের প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছেন খলাগ্রামবাসী।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকালে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসে ৪০ জন গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসংবলিত স্মারকলিপিটি প্রদান করেন আলীনগর ইউনিয়নের আনসার কমান্ডার মো. বদরুল হক। এ সময় তার সাথে স্কুলের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। বির্তকিত এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমের প্রত্যাহার ও শাস্তির দাবিতে গত ১৬ অক্টোবর বিয়ানীবাজার উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন গ্রামবাসী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, খলাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রহিমা বেগম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পদে আসার পর থেকে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি সহকারী শিক্ষক থাকাবস্থায় ইতিপূর্বে তিনজন প্রধান শিক্ষকের সাথে খুটিনাটি বিষয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ও দুর্ব্যবহার করেন। পর্যায়ক্রমে এসব শিক্ষক অন্যত্র বদলি হয়ে যান। তাই রিহিমা বেগম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না এবং বিদ্যালয় ছুটির কোনো বিধি মেনে চলেন না।
খলাগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমের বিভিন্ন অপকর্মের বিষয় তুলে ধরে স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়, গত ৮ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকদের সাথে বাকবিতণ্ডার জের ধরে তিনি বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে জিম্মি করে রাখেন। অভিভাবক হিসেবে আমি কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে কথা বলেন। কারণ উনার বাবার বাড়ি বিদ্যালয়ের সন্নিকটে হওয়ায় এবং উনার সন্ত্রাসী দুই ভাইয়ের সহযোগিতায় উনার খেয়াল-খুশিমতো বিদ্যালয় পরিচালনা করছেন। স্লিপ কমিটির সাথে আলোচনা না করেই তিনি স্লিপের যাবতীয় টাকা ইচ্ছামতো খরচ করছেন। এছাড়া উনার মামা, চাচা ও ভাইদের দোকান থেকে সস্তায় জিনিসপত্র ক্রয় করে টাকা আত্মসাৎ করছেন। এ বিদ্যালয়ে থাকাবস্থায় তিনি দুটি সিএনজি ও অটোরিকসা ক্রয় করেন, যার যাবতীয় হিসাব-নিকাশ অফিস কক্ষে করে থাকেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ ও মারধরের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে, যা গ্রামের মুরব্বিরা অবগত এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে সালিশিও বসে, যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য হিতকর নয়। উনার ছেলে অত্র বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। বিভিন্ন প্রতিযোগিতা ও ফলাফলের ক্ষেত্রে নিজের ছেলের পক্ষ নিয়ে সর্বক্ষেত্রে প্রথম স্থান দিয়ে থাকেন, যা অন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মনে অনেক ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু উনার ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা কিছু বলতে পারে না। এসব অন্যায়-অনিয়মের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। উনার বাবার বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশে থাকার কারণে তিনি যে কোনো সময় সেখানে অবস্থা করেন। প্রায় প্রতিদিনই সেখানে যাতায়াত করেন। এতে শ্রেণি কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাহত হয়। প্রধান শিক্ষিক রহিমা বেগমের আচার-আচরণে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনো সময় এ ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে নানা অঘটন ঘটতে পারে।
স্মারকলিপিতে খলাগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির নিমিত্তে অনতিবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমের অপসারণ এবং তদন্তসাপেক্ষে তার শাস্তির ব্যবস্থা করে অবিলম্বে একজন দক্ষ, চরিত্রবান ও বিজ্ঞ প্রধান শিক্ষককে অত্র বিদ্যালয়ে পদায়নের জোর দাবি জানানো হয়।
T.A.S / জামান

গাজীপুরে সাংবাদিক রুবেল আহমেদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, আহত ৩

বরগুনায় পল্লী বিদ্যুতকর্মীকে শিকলে বাঁধলেন নারী গ্রাহক

সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু

দুমকিতে গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

কাহালুতে জনতার হাতে ৫ ডাকাত আটক

গজারিয়ায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আটক ৩

পাঁচবিবি রেলওয়ে প্লাটফর্ম বর্ধিত করণ শুধুই আশ্বাস আন্তঃনগর ট্রেনে উঠা নামায় যাত্রীদের দূর্ভোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

মুকসুদপুরে উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের উদ্যোগে পোনা জাতীয় মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে

জরার্জীণ মহেশখালী আদালত ভবন,ভাড়া কক্ষে চলছে বিচারকার্য

নাসা গ্রুপের শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত

রৌমারীতে শিক্ষার্থীর অশালীন ভাষায় গালিগালাজের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে
