দিশাহারা মানুষ
নদীভাঙন : অর্ধশত বসতভিটা পায়রাগর্ভে বিলীন

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাহেরচর এলাকার অর্ধশত পরিবারের ঘরবাড়ি সর্বগ্রাসী পায়রার অব্যাহত ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চলতি মৌসুমে ঘরবাড়ি হারিয়েছে অর্ধশতাধিক পরিবার।
সরেজমিন দেখা গেছে, পশ্চিম আঙ্গারিয়া বাহেরচর এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকার লোকজন সরকারি রাস্তার পাশে, বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়স্বজনের গোয়ালঘর বা পাকের ঘরে মানবেতর জীব যাপন করছে। আবার কিছু লোকজন পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। দীর্ঘদিন যাবৎ পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইতোমধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এসব এলাকায় ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় ভূক্তভোগী সুধান চন্দ্র মিস্ত্রী (৫০), সুধারঞ্জন চন্দ্র মিস্ত্রী (৮০) বলেন, আমাদের বাড়ি এখান থেকে ২-৩ কিলোমিটার উত্তরে ছিল। পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বাবার আমলে দুবার এবং আমাদের আমলে তিনবার বসতবাড়ি স্থানান্তর করতে হয়েছে। বর্তমানেও ঝুঁকিতে আছি। আমাদের মতো অনেকেই এখন বসতঘরসহ সবকিছু ভেঙে সরকারি রাস্তার পাশে সরিয়ে নিচ্ছি।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভাঙনকবলিত ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহীন গাজী বলেন, মঙ্গলবার ভয়ংকর একটি ঘটনা ঘটেছে। সকালে খেয়াঘাট এলাকার বেশকিছু এলাকাজুড়ে বিশাল ফাটল ধরে হঠাৎ নদীগর্ভে দেবে যায়। এতে তিনজনকে ট্রলারযোগে উদ্ধার করা হয়। এরমধ্যে একজন মহিলাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ যাবৎ এই এলাকার প্রায় ২০০ একর জমিসহ তিন শতাধিক ঘরবাড়ি, তিনটি মসজিদ, চারটি মন্দির ও একটি সরকারি অফিসসহ রাস্তাঘাট পায়রা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন এলাকার লোকজন অপরের বাড়ির গোয়ালঘর, পাকঘর ও সরকারি রাস্তার পাশে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিছু লোক অন্যান্য এলাকায় চলে গেছেন।
আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সোহরাব সরেজমিন পরিদর্শন করে এসে জানান, বাহেরচর মৌজায় দীর্ঘদিন যাবৎ পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। অর্ধশত পরিবার নদীভাঙনে সবকিছু হারিয়ে এখান থেকে চলে গেছে। ভাঙনকবলিত অসহায়দের পুনর্বাসন এবং স্থায়ীভাবে পাইলিং ও ব্লক ফেলে নদীভাঙন রোধে যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত নদীভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, বাহেরচরের নদীভাঙন রোধে এর আগেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে আবার জিওব্যাগ স্থাপন করা হবে। এছাড়া স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
T.A.S / জামান

চেয়ারম্যান থেকে সাধারণ সম্পাদক জনআস্থার প্রতীক সাইফুল আলম মৃধা

জয়পুরহাটে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে ইউডিআরটি প্রশিক্ষণ এর উদ্বোধন

রাণীশংকৈলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে

নড়াইলে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে তুলারামপুর ব্রিজের সৌন্দর্যবর্ধন উদ্বোধন

রাণীনগরে রাইডো ব্রেইন ব্যাটল কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

অভয়নগরে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দালালের দৌরাত্ম, অভিযানে ৭ দালালের কারাদন্ড

শিবচরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

সাতকানিয়া কেরানীহাটের মাছ বাবুল গ্রেফতার

কোটালীপাড়ায় শরীরে আগুন দিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইয়াবা ও গাঁজাসহ ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

সিংড়ায় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক দোকান দখলের অভিযোগ
