কমলগঞ্জে ৭ ফুট লম্বা কাঁদিতে ধরেছে হাজারের বেশি কলা
একটি কাঁদিতে কতটি কলা থাকতে পারে? ভাবছেন কত আর, ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০। কিন্তু কখনো কি শুনেছেন কলার কাঁদি ৭ ফুট লম্বা আর তাতে হাজারের বেশি কলা ধরেছে? এমনই অবাক করা দুটি কলাগাছের দেখা মিলেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের মুনিম সিদ্দীকির বাড়িতে। আশ্চর্য এই কলার কাঁদি দেখতে আসছেন আশপাশের এলাকার কৌতূহলী মানুষ।
কৃষিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে এটি হাজারি কলা নামে পরিচিত হলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর নাম থাউজ্যান্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা। থাউজ্যান্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কাঁদির কলা হিসেবে পরিচিত। মানুষ শখের বশে চাষ করেন এটি। এ প্রজাতির কলার আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়। এ ধরনের কলাগাছে একেকটি কাঁদি ৬ থেকে ১০ ফুট লম্বা হয়। কাঁদির উপরের অংশের কলা বড় হলেও নিচের অংশের কলা ছোট থেকে যায়। এ ধরনের কাঁদি গাছের সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দেয়।
কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের যোগীবিল গ্রামের বাসিন্দা এবং ‘এসো বাগান করি’ নামক একটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডমিন মুনিম সিদ্দীকি। তিনি বলেন, আমি ফিলিপাইন থেকে এই কলাগাছ সংগ্রহ করেছি। আমার বাড়িতে দুটি কলাগাছে ফল ধরেছে। ৬-৭ ফুট লম্বা কাঁদি হয়েছে। এগুলো আরো লম্বা হবে। একেকটি কাঁদিতে হাজারের উপরে কলা ধরেছে। আমি শখের বশে রোপণ করেছি। এটির প্রকৃত নাম থাউজ্যান্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা আর বাংলাদেশ হাজারি কলা বলে ডাকা হয়। আমার কাছে এই কলাগাছের কিছু চারা ছিল। যারা দেখতে আসেন তাদের মধ্যে অনেকেই আমার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমি বৃক্ষপ্রেমী মানুষ। আমার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ফলদ ও বনজ গাছ রয়েছে। অনেকেই আসেন কলাগাছসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ দেখতে। আমরা এই কলাকে দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারি। একটি হচ্ছে খাওয়ার জন্য, অপরটি অর্নামেন্টাল প্লান্ট হিসেবে। আমি মূলত বাড়িতে সাজসজ্জা বৃদ্ধির জন্য লাগিয়েছি। এই কলার ছড়ির উপরের অংশের কলা পোক্ত হলে খাওয়া যায়।
থাউঝ্যান্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা দেখে প্রকৌশলী রাকিব আহমেদ বলেন, আমরা মুনিম সিদ্দীকির বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি আছে। তবে থাউজ্যান্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা দেখে অবাক হয়েছি। একটি কলাগাছে ৭-৮ ফুট লম্বা কলার ছড়ি ধরেছে। ছড়ির উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কয়েক হাজার কলা ধরেছে। দেখতে অনেক সুন্দর লেগেছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, এ প্রজাতির কলাকে বিদেশে থাউজ্যান্ডস ফিঙ্গার ব্যানানা বলে। আমাদের দেশে খুবই বিরল এই কলা। এই কলা আকারে অনেক ছোট হলেও কাঁদিতে কয়েক হাজার হয়।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ হাজারি কলা হিসেবে এটি পরিচিত। কেউ চাইলে এই কলা খেতে পারবেন আবার কেউ বাড়ির সাজসজ্জার জন্য লাগিয়ে থাকেন। সঠিক পদ্ধতিতে এই কলাগাছ পরিচর্যা করলে ছড়ির আকার বড় হতে পারে।
জামান / জামান
শ্যামনগরে ড. মনিরুজ্জামানের পক্ষে বিশাল গন-মিছিল ও পথ সভা
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের চার নেতার দল থেকে পদত্যাগ
কোম্পানীগঞ্জে মেধা বিকাশ বৃত্তি পরীক্ষায় ৩৫০ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ও বৃত্তি প্রদান
উলিপুরে শহীদ রায়হান ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে উলিপুর লালদল চ্যাম্পিয়ন
গাজীপুরের নয়া জেলা প্রশাসকের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
ঘরহীন জীবনের গল্প: রায়গঞ্জে নৌকার ওপর ভাসমান এক বৃদ্ধ দম্পতির দিনযাপন
ধামইরহাটে ‘আরডিআরএস’ এর ২৯৮ তম শাখার উদ্বোধন
মাদ্রাসা এ তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া (ফাজিল)-এর নতুন বহুতল একাডেমিক ভবন নির্মাণকাজের উদ্বোধন
জয়পুরহাটে গণপ্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
সিএসডিকে এনজিও'র বাস্তবায়নে বিএনএফ এর অর্থায়নে হত-দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান।
শেরপুরে গারো পাহাড়ের জঙ্গল থেকে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
আত্রাইয়ে হাটকালুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি'র উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত