সরকার পরিবর্তন হলেও বেস রকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ভাতার কোন পরিবর্তন হয়নি
বেসরকারি এমপিও ভুক্ত স্কুল -কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা অবসরে যাওয়ার পর তাদের কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা এবং অবসর ভাতা পেতে তিন থেকে চার বছর লেগে যায়,এচিত্র দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এর কোন উন্নতি নেই। মূল সংকট হচ্ছে টাকার, সরকার থেকে টাকা আসলেই সব সমস্য সমাধান হবে বলে আশা করছে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিরা। এ বিষয় হাইকোর্টের দিক-নির্দেশনা থাকলেও দ্রুত কার্যকর হওয়ার সম্ভাবন া নেই বলে জানিয়েছে কল্যাণ ট্রাস্টের সংশ্লিষ্টরা।
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা অবসরে যাওর পর তাদেরকে দুই ভাবে টাকা দেয়া হয়,অবসর সুবিধা বোর্ড এবং কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে।
রাজধানীর পলাশীতে ব্যানবেইস ভবনে অবসর সুবিধা বোর্ডের কার্যলয়ে গিয়ে জানা গেছে, গত ৪বছর আগের অবসর সুবিধার আবেদন বর্তমানে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। ২০২০ সালের জুন মাসে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের টাকা এখন দেওয়া হচ্ছে। অবসর বোর্ডে জমে আছে ৩৭ হাজারে মত আবেদন। জানা গেছে, সরকার থেকে এ বোর্ডকে থোক বরাদ্দ হিসেবে কয়েক দফায় মোট ৮২৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এ টাকার সুদ বাবদ মাসে সাড়ে ৩ কোটি টাকা বোর্ডের আয় হয়। আর প্রতি মাসে ৫ লাখ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন থেকে দেওয়া ৬ শতাংশ চাঁদা বাবদ আয় হয় ৭০ কোটি টাকা। সুদ ও চাঁদার টাকা মিলিয়ে ৭৩ কোটি টাকা আয় হয়। অবসর বোর্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩০টি আবেদন জমা পড়ে। মাসে ৯০০ থেকে ১ হাজার আবেদন আসে।
একটি আবেদন নিষ্পত্তি করতে গড়ে ১২ লাখ টাকা লাগে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে ৯০০ আবেদন নিষ্পত্তি করতে বোর্ডের টাকা দরকার ১০৮ কোটি। ৩৫ কোটি টাকা প্রতি মাসে ঘাটতি থাকে।
অপরদিকে কল্যাণ ট্রাস্টে আবেদন পড়ে আছে ৩৫হাজারে মত। ২০২২ সালের জুন মাসে অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন বর্তমানে নিষ্পত্তি করছে এই ট্রাস্ট। কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব মো.আবুল বশার (রুটিন দায়িত্ব) জানান, প্রতি মাসে বেসরকারি শিক্ষককর্মচারীদের দেওয়া ৪ শতাংশ চাঁদা ও ডিপোজিট থেকে তাদের আয় ৫২ কোটি টাকার মতো। প্রতি মাসে প্রায় ৮০০ আবেদন জমা পড়ে। যে পরিমাণ আবেদন জমা পড়ে, তা নিষ্পত্তি করতে গেলে লাগে ৬২ কোটি টাকার বেশি। ঘাটতি থাকে ১০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে প্রতিবছর জুলাইয়ে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দেওয়ায় ঘাটতি আরও বেড়ে যাচ্ছে। এ জন্যই আমাদের এখানে এত আবেদন জমা পড়ে আছে। এ থেকে স্থায়ী ভাবে উত্তরণ পেতে গেলে কল্যাণ ট্রাস্টের ফাে ন্ড ২হাজার কোটি টাকা এক কালিন দিতে হবে এবং শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাজেটে অন্তভূক্ত করতে হবে।
চট্রগ্রামের পুটিয়া উপজেলার এ এস রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রায় চার বছর হলো অবসরে গেছেন কিন্তু তিনি এখনও অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পাননি। তিনি আসা যাওযা করিতেছি কিন্তু এখনো আমাার টাকা বুঝে পাইনি। এখানে অনেক অনিয়ম করা হয়, আমার পরেও অনেকে আবেদন জমা দিয়ে টাকা তুলে নিয়েছে কিন্তু আমাকে এখনো টাকা দেয় হয়নি। এ রকম অভিযোগ শফিউল আলমের একার নয় হাজার হাজার শিক্ষকের একই অভিযোগ রয়েছে
শিক্ষক- কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টেও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু ২০০৯ সাল থেকে টানা আ,লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত ৪ বার কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ছিলেন। তিনি বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে তার পছন্দের ব্যাক্তিদেরকে টাকা দিতেন আর তার অপছন্দের
ব্যাক্তিদের বছর পর বছর ঘুড়াতেন।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ লাখের বেশি শিক্ষক ও কর্মচারীকে ছয় মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। কিন্তু তাও কার্যকর হচ্ছেনা টাকার অভাবে। এ বিষয় কল্যাণ ট্রাস্টের ও অবসর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর এবি এম রেজাউল করীম বলেন, এটা শিক্ষার আলাদা একটি উইং,আমি ফাইল না দেখে বলতে পারবো না।
হাইকোর্টের নির্দেশের বিষয় শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব মো. আবুল বশার বলেন, আমরা এখনো রায়ের কপি হাতে পাইনি। কপি পেলেও লাভ নেই কারন আমাদের কাছে টাকা নেই,৬ মাসের মধ্যে টাকা দেব কোথা থেকে।
এমএসএম / এমএসএম
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় অভিমুখে ডাকসুর মার্চ শুরু
ইবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস পালন উপলক্ষে কর্মসূচী ঘোষণা
মাধ্যমিকের বই বছরের শুরুতে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না
৬ দিনের অচলাবস্থার পর আজ শুরু সরকারি প্রাথমিকের বার্ষিক পরীক্ষা
জাবিতে চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির নতুন নেতৃত্বে রিয়াদ-তানভীর
ইবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপন
নকল সাইটেশনে দেশসেরা গবেষকের তালিকায় শেকৃবি প্রোভিসি অধ্যাপক বেলাল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার: চাকরিচ্যুত মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
জাবিতে অর্থনীতি বিভাগকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন দর্শন বিভাগ
সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেছেন ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা
জবিস্থ চুয়াডাঙ্গা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে সজিব ও তরিকুল
অপ্রচলিত ফসল খাদ্যনিরাপত্তায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে: বাকৃবি সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা