অটো-গ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা, ২০১৬ পরিবর্তন জরুরী
তরলীকৃত পেট্রোলিযাম গ্যাস (অটো গ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন ও রুপান্তর ওয়ার্কশপ স্থাপন, পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা,২০১৬ -অসামঞ্জস্য নীতিমালা এবং সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে উল্লেখ আছে-জাতি,ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান এবং সকলেই সমান সুবিধা পাবে।বিগত সরকার এই নীতিমালা তাদের আত্নীয় স্বজন এবং দলীয় লোকদের সুবিধা দেয়ার মানসিকতা নিয়ে তৈরী করেছে।ফলে আওয়ামীলীগ তাদের মন্ত্রী, এমপিদের ইচ্ছেমতো সুবিধা দিতো ও নিতো। ্এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ- যাদের কোনো এমপি, মন্ত্রী ছিল না -তারা বছরের পর বছর অনেক বিনিয়োগ করে ও এলপিজি গ্যাস স্টেশন অনুমোদন পায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বৈষম্য দূরীকরণের কথা বললে ও তারা সাবেক সরকারের অসামান্জস্য এই নীতিমালাটি এখনো বাতিল করেনি।ফলে সারা বাংলাদেশে এলপিজি অটো গ্যাস স্টেশন স্থাপন হচ্ছে না।ফলে সারাদেশে চরমভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।একজন মানবাধিকার কর্মী বলেছেন,অটোগ্যাস স্টেশন স্থাপনে বিগত সরকারের সময়ে যারা সুবিধাবঞ্চিত-বর্তমান সরকারের উচিত তাদের সুবিধা দেয়া ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের চরম অবহেলার কারণে ঠুনকো অজুহাতে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার মেসার্স নেকমরদ যৌথ ফিলিং স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়নি। যানবাহনে অকটেন, পেট্রোল ও ডিজেলের পরিবর্তে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (অটো-গ্যাস) একটি পরিবেশবান্ধব বিকল্প জ্বালানি হিসেবে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা লাভ করছে। যানবাহনে অটো-গ্যাস ব্যবহারের ব্যয় তরল জীবাশ্ম জ্বালানির তুলনায় কম। যানবাহনে প্রচলিত তরল জ্বালানির পরিবর্তে অটো-গ্যাস ব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় সম্ভব। অটো-গ্যাস বিপণন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও এ সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালা “তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (অটো-গ্যাস) রিফুয়েলিং স্টেশন ও রূপান্তর ওয়ার্কশপ স্থাপন, পরিচালন এবং রক্ষণাবেক্ষণ নীতিমালা, ২০১৬” নামে অভিহিত হবে। সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ সেবা প্রদানের জন্য ফি নির্ধারণ করতে পারবে। সরকার নির্ধারিত মূল্যে অটো-গ্যাস বিক্রয় করতে হবে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অটো-গ্যাস মান/স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করতে হবে। ন্যূনতম দূরত্ব: (১) সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরের আওতাভুক্ত এলাকায় সড়কের একই পার্শ্বে দুটি অটো-গ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের ন্যূনতম দূরত্ব হবে ২ (দুই) কিলোমিটার এবং সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরের আওতা বহির্ভূত এলাকায় ন্যূনতম দূরত্ব হবে ৪ (চার) কিলোমিটার; (২) সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরের আওতাভুক্ত এলাকায় সড়কের বিপরীত পার্শ্বে দুটি অটো-গ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনের ন্যূনতম দূরত্ব হবে ১ (এক) কিলোমিটার এবং সিটি কর্পোরেশন ও জেলা শহরের আওতা বহির্ভূত এলাকায় ন্যূনতম দূরত্ব হবে ২(দুই) কিলোমিটার এবং (৩) বিশেষ প্রয়োজনে সরকার ন্যূনতম দূরত্বসীমার এ শর্ত শিথিল করতে পারবে। মেসার্স নেকমরদ যৌথ ফিলিং স্টেশন স্থাপনের নকশা অনুমোদনের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলাধীন করনাইট মৌজায় ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল সড়কের পার্শ্বে করনাইট নামক স্থানে রাণীশংকৈলের করনাইটের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ আনিসুর রহমান নিজস্ব ৩৩ শতক জায়গায় একটি নতুন আধুনিক এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন স্থাপন করিতে আগ্রহী হন। স্থানটি ফিলিং স্টেশন স্থাপনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। দুরপাল্লার বাস, ট্রাকসহ হালকা ও মাঝারি প্রচুর যানবাহন এই সড়কে চলাচল করে। জায়গাটি ঠাকুরগাঁও বালিয়াডাঙ্গী রাণীশংকৈল সড়কে হওয়ায় প্রচুর এলপিজি অটোগ্যাসের চাহিদা রয়েছে। প্রস্তাবিত জায়গার সড়কের একই পাশে ও ৪কি.মি এবং সড়কের বিপরীত পাশে ২ কি.মি এর মধ্যে আর কোন এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন নেই। সে স্থানে ফিলিং স্টেশন স্থাপিত হলে নিঃসন্দেহে লাভজনক হবে। তাই সে স্থানে আনিসুর রহমান নিজ ব্যয়ে একটি আধুনিক এলপিজি অটোগ্যাস ফিলিং স্টেশন স্থাপন করতে ইচ্ছুক। ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থে করনাইট মৌজায় এই প্রস্তাবিত এলপিজি অটোগ্যাস এবং ফুয়েল ফিলিং স্টেশন স্থাপন হলে এলাকার জনসাধারন উপকৃত হবে।
্এ বিষযে আনিসুর রহমান বিগত ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর বিস্ফোরক পরিদপ্তরে প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শকের কাছে আবেদন করেন। এর সাথে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি,্ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক অনাপত্তিপত্র সনদের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, টিন সার্টিফিকেট এবং আয়কর সনদের ফটোকপি, প্রস্তাবিত জমির খারিজ খতিয়ান এবং খাজনা রশিদের ফটোকপি, প্রস্তাবিত জমির মৌজা মানচিত্রের ফটোকপি,প্রস্তাবিত জমির দলীলের ফটোকপি, ব্যাংক সলভেনন্সি সনদ পত্রের ফটোকপি, ট্রেজারী চালান ফরমের কপি, জেলা প্রশাসকের অনাপত্তিপত্রের কপি, প্রস্তাবিত প্রকল্পের নকশা কপি প্রদান করেন। সম্প্রতি বিস্ফোরক পরিদপ্তর ঠুনকো অজুহাতে মেসার্স নেকমরদ যৌথ ফিলিং স্টেশন স্থাপনের আবেদন নাকচ করেন। কারণ হিসেবে আরেকটি ফিলিং স্টেশন থেকে দূরত্ব ৪ কিলোমিটার বজায় না থাকার কথা বলা হয়েছে।অথচ বিশেষ প্রয়োজনে সরকার ন্যূণতম দূরত্বসীমার এ শর্ত শিথিল করতে পারার ক্ষমতা থাকলে ও এক্ষেত্রে তা করা হয়নি।
এমএসএম / এমএসএম