ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফলতির অভিযোগ

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৭-৮-২০২৫ বিকাল ৫:১

রাজধানীর পুরান ঢাকার লালমোহন শাহ স্ট্রীট এলাকা থেকে ব্যবসায়ী মো. শাহীন (৪১) নিখোঁজের ঘটনায় থানা পুলিশের তৎরতা না থাকায় ১৮ দিন পর কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ক্ষত বিক্ষত লাশ উদ্ধার করে জিআরপি থানা। এ ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও প্রধান সন্দেহভাজন ঘাতক প্রকাশ্যে থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ফলে নিহদের পরিবার স্বজন ঘাতকদের বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, রাজধানী দক্ষিণ যাত্রাবাড়ি এলাকার মো. মানিক এর ছোট ভাই মো. শাহিন কোতোয়ালী থানাধীন কুমারটুলীস্থ আকলিমা টাওয়ারের দ্বিতীয় তলায় আমার নিউ বাহার ডিজিটাল স্টুডিও নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা করতেন। ১৯৯ নম্বর লালমোহন শাহ স্টীট তার শ্বশুরবাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। গত ১৮ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে মো. শাহিন তার বাবা মায়ের আবাসস্থল ১ নম্বর পিসি ব্যানাজী লেন সূত্রাপুর হতে দোকানের উদ্দেশ্যে আসেন। এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১২ টার দিকে মো. শাহিন তার দোকান বন্ধ করার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যায়। পরে দোকানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামরা (সিসিটিভি) ফটেজে ঘটনার আগের দিন ১৭ জুলাই দিবাগত রাত ভোর আনুমানিক ৪ টার দিকে শাহিনের শ্যালক মো. আকাশ (২১) পিতা, নাসির উদ্দিন,  শাহিনের শ্বশুর মো. নাসির উদ্দিন (৬০), সাঈদ (৩৪) সাং দক্ষিণ মুসুন্দী, থানা ওয়ারি সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যাতে তাকে টানা হেচড়া ও মাইরধর করে। এসময় শাহিনের শ্যালক মো. আকাশের হাতে ধারালো ছোড়া ছিল। তা দিয়ে শাহীনকে আঘাত করার জন্য উত্তেজিত ও অপহরণের হুমকি দেওয়া হয়। যা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে। 
নিহত শাহীনের বড় ভাই মো. মানিক অভিযোগ করে জানান, তার ছোট ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর কোতোয়ালী থানায় গত ১৯ জুলাই ৯৮৫ নম্বর জিডি করা হয়েছিল। পুলিশ শাহীনের শ্যালক ও তার শ্বশুরকে থাকায় ডাকছিলেন কিন্তু তারা থানা বা পুলিশ ফাঁড়িতে উপস্থিত হননি। এতে আমাদের সন্দেহ হয় যে, শাহীনকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণের পর অজ্ঞাতনামা জায়গায় নিয়ে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে। গত ৩০ জুলাই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের ট্রেনে তুলে ঢাকায় এনে কমলাপুর রেল স্টেশনে নামিয়ে রাখা হয়। এরপর পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর কমলাপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ এনআইডি নম্বরের সূত্র ধরে তাদেরকে খবর দেয়। সংবাদ পেয়ে তারা শাহিনের লাশ সনাক্ত করেন। তার কপালে ও পায়ের গোড়ালিতে কাটা জখম ছিল। আর পুরো শরীরের আঘাতে দাগ ছিল। কমলাপুর থানা পুলিশ সূত্রাপুর থানা পুলিশের কাছে তার ভাই শাহিনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। এঘটনায় ৩০ জুলাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, তার ভাই অপহৃত হওয়ার পর পুলিশের তৎপরতা রহস্যজনক ছিল। আর তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনের বেলায় ঘুমান, সন্ধ্যায় ঘুম থেকে উঠেন। তিনি লালবাগ জোনের উপ পুলিশ কমিশনারের ভাই পরিচয় দেন। একদিন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার সামনে তাকে গালমন্দ করেছেন। থানায় জিডি করার পর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশ যদি তৎপর হতেন, তাহলে তার ছোট ভাই শাহীনকে জীবিত উদ্ধার করতে পারতো পুলিশ। তার লাশ পেতে হতো না। অপহৃত হওয়ার আগে ও পরের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বা সিসিটিভি’র ফুটেজ তিনিই উদ্ধার করে পুলিশের কাছে দিয়েছেন।
থানা সূত্র জানায়, কমলাপুর থানা থেকে শাহীনের লাশ উদ্ধারের পর নিহতের ভাই বাদি হয়ে সূত্রাপুর থানায় তার শ্বশুর, শ্যালক ও শ্যালকের বন্ধসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় গত ৩০ জুলাই হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরি নিহতের শ্বশুর ও শ্যালককে গ্রেফতার করে রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে পুলিশ একদিনের রিমান্ডে নিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গ্রেফতারকৃতরা শাহীনকে অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে মামলার তদন্ত সূত্র জানিয়েছে।
আর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানায়, শাহীন নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছিল। পুলিশ সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষন করে তদন্ত করে। এরপর তার লাশ উদ্ধারের পর থানায় নিহতের বড় ভাই বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আইসি-১২ তদন্ত করছেন। এজন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তিনি বলেন।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সোহেল কুদ্দুস এর সেল ফোনে ফোন করা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, নিহতের বউ এর বড়ভাই শাহীনের কাছে আগের দিন রাতে টাকা পয়সা চেয়েছিল। আর সেই ঘটনা নিয়ে তাকে হুমকি দিয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আর নিহতের লাশের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে