ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

দু’জন উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভোগাবে উপদেষ্টা পরিষদকে নতুন নিয়োগ অপরিহার্য


নিজস্ব প্রতিবেদক photo নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১-১২-২০২৫ রাত ১২:৫৯

দু’জন উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেন আজ বুধবার ১০নভেম্বর। কমলো অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের দৈর্ঘ্য। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আজ বিকেল পাঁচটা নাগাদ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। উপদেষ্টারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপস্থিত হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিলে প্রধান উপদেষ্টা গ্রহণ করেন। তাদের পদত্যাগ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বল্প পরিসরের উপদেষ্টা পরিষদের জনবল কমায় কাজে বেশ বেগ পেতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে। এক দিকে নির্বাচন ও অপর দিকে মন্ত্রণালয়ের কাজে দারুন ঘাটতি দেখা দেবে, ফলে সরকার পরিচালনায় বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি জাতীয় কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মোটা দাগে ঘাটতি দেখা দিবে বলে মনে করেন রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা। ফলে কাজের সুবিধার্থে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের বিকল্প নেই। 

এমনিতেই বর্তমানে উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে সরকার সাচ্ছন্দের সাথে কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যে দু’জন উপদেষ্টার পদত্যাগ সরকারকে তার কাজে ব্যাপকভাবে ভোগাবে। প্রতিদিনকার রুটিন ওয়ার্কে চরম ভাটা পড়বে। এতে দেশের ক্ষতি যে হবে না তা নিশ্চিত নয়। কিছুটা তো ক্ষতি হবেই। 

মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনকার কাজের ফাঁকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের প্রতিদিন বিভিন্ন সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে দেখা যায়। এই সব সেমিনারে বেশ সময় ব্যয় হয়, পাশাপাশি রাজধানীর নিত্য দিনকার ভয়াবহ যানজট উপদেষ্টাদের চলাচলে দীর্ঘ সময় অপচয় হয়। এত তাদের কর্ম পরিধি ব্যাপকভাবে কমে যায়। এতে আজকের কাজ আগামীকাল করতে হয়। এসব সামাল দিতে অবশ্যই একজন দক্ষ সততা ও নিষ্ঠাবান কর্মঠ মানুষের প্রয়োজন এবং অবম্যই শূন্যস্থান পূরণ করা জরুরী। 

এক্ষেত্রে মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একজন যথাযথ পরিপূরক হতে পারেন। জাতীয়ভাবে সম্মানিত বাংলাদেশী বিশেষ কৌশলবিদ এবং যার নেতৃত্বের দূরদর্শী চমকে দেয়ার মত। উৎপাদন, জ্বালানি, অবকাঠামো, প্রকৌশল, বিমান চলাচল, রাসায়নিক শিল্প এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বিস্তৃত। ১৮টি প্রধান উদ্যোগের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানি ক্ষমতা এবং দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক স্থায়িত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বৃহৎ আকারের প্রতিষ্ঠান গঠন এবং জটিল ব্যবস্থা পরিচালনার দক্ষতা তাকে দেশের আধুনিক শিল্প ভূদৃশ্যে একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে। তার সততা, কৌশলগত শৃঙ্খলা এবং জনকেন্দ্রিক নেতৃত্বের জন্য বিখ্যাত, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং সংস্কারমুখী শাসনের জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলীর উদাহরণ তুলে ধরেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থাপত্য সম্পর্কে তার গভীর ধারণা- তৃণমূল স্তরের শিল্প বাস্তুতন্ত্র এবং সরবরাহ শৃঙ্খল থেকে শুরু করে জাতীয় উৎপাদন ব্যবস্থা এবং বিশ্ব বাণিজ্য কাঠামো- তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রান্তিকালীন সময়ে উচ্চ-স্তরের নীতি নির্ধারণের সাথে প্রাসঙ্গিক বিরল এবং অমূল্য অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শাসন শৈলী স্পষ্টতা, শৃঙ্খলা এবং নীতিগত নেতৃত্বের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতি দ্বারা তিনি সুচিহ্নিত। সুশীল সমাজ, শিল্প নেটওয়ার্ক এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মহলজুড়ে তার বিস্তৃত প্রভাব তাকে জাতীয় চ্যালেঞ্জগুলি পূর্বাভাস দিতে, অংশীদারদের সহযোগিতা একত্রিত করতে এবং স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় স্বার্থের উপর ভিত্তি করে নীতিগত সমাধানগুলি এগিয়ে নিতে সক্ষমে সহায়ক হবে। 

বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে দাঁড়িয়ে আছে এবং জরুরিভাবে স্থিতিশীলতা, নির্বাচনী বিশ্বাসযোগ্যতা, প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্গঠন এবং পেশাদার ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন, বর্তমানে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সাংগঠনিক রূপান্তর, সংকটে নেতৃত্ব এবং বহু-ক্ষেত্রের দক্ষতার প্রমাণিত রেকর্ড তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা (মন্ত্রীর মর্যাদা) হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য সবচেয়ে যোগ্য বেসামরিক নেতাদের মধ্যে স্থান দেয়। উপদেষ্টা হিসেবে তার নিয়োগ জনসাধারণের আস্থা জোরদার করবে, নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে আস্থা পুনরুদ্ধার করবে এবং দেশের ক্রান্তিকালীন সময়ে দায়িত্বশীল, সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিত করবে বলে রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

এদিকে শোনা যাচ্ছে, খালি হওয়া তিন মন্ত্রণালয়ে শেষ মুহূর্তে এসে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের সম্ভাবনা কম। কারণ, তফসিল ঘোষণার পর নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দিলে সমালোচনা হতে পারে। সেজন্য পুরোনো উপদেষ্টাদের মধ্যে এই মন্ত্রণালয়গুলো বণ্টন করা হতে পারে। এক্ষেত্রে কয়েকজন উপদেষ্টা আলোচনায় রয়েছেন।

এদের মধ্যে শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। অতিরিক্ত হিসেবে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। তিনি বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব রয়েছেন।

অন্যদিকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রিজওয়ানা বর্তমানে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপক আলী রীয়াজকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে। এই আলোচনা বাস্তবসম্মত নয় বলে মনে করেন রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা। একজন উপদেষ্টা পরিপূর্ণভাবে সামাল দিতে পারবেন না। এটাই বর্তমান বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বাস্তব।

এমএসএম / এমএসএম

দু’জন উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভোগাবে উপদেষ্টা পরিষদকে নতুন নিয়োগ অপরিহার্য

বিটিসিএল এর হিন্দু কর্মচারীকে চাঁদার দাবিতে বিশেষ অঙ্গ কেটে ভারতে পাঠানোর হুমকি

এনা পরিবহনের মালিক এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে ১০৭ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং মামলা সিআইডি’র

অধরায় গৃহায়ণের প্রশাসক

অনিশ্চয়তায় নির্বাচন

পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পে উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

দুর্নীতির টাকায় কোটিপতি চসিকের মোরশেদ

রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল

পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন

আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন

উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো