প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর
আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর হাইকোর্টের আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠছে। ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি) এ প্রকল্পে ১২৮জন জনবলকে রাজস্বখাতে নেয়ার জন্য আপিল বিভাগ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরেকে ৬৩৮ জন জনবল নিয়োগ দেয়ার বিপরিতে ১২৮টি পদ খালি রাখার জন্য দিক নিদের্শনা দেন। কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কোন পদ খালি না রেখে সবপদে জনবল নিয়োগ দিয়েছেন। এনএটিপি নামে প্রকল্পটি শেষ হয় ২০২৩ সালে। এ প্রকল্পে ১২৮ জন জনবল প্রায় ১০ বছর যাবৎ কাজ করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে। প্রকল্প শেষে মহা পরিচালক অভিজ্ঞতা ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জনবলের কথা বিবেচনায় নিয়ে চাকুরী রাজস্বখাতে স্থানান্তরের জন্য সুপারিশ করেন। যা এখনও অনিষ্পন্ন অবস্থায় মন্ত্রণালয়ে পড়ে রয়েছে।
অন্যদিকে তাঁরা প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে যাওযার জন্য ২০২৩ সালে হাইকোর্টে রীট পিটিশন করে, যার নং-৭২০০/২৩।
উক্ত রীটের পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় আদালত বিগত ২৯ মে ২০২৪ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের শুন্য এবং সমযোগ্যতা সম্পন্ন ৫৪টি ক্যাশিয়ার এবং ৭৪টি অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের মোট ১২৮টি পদ রীটটির শুনানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুন্য রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। পরবর্তী পর্যায়ে কর্তৃপক্ষ রীটটির শুনানীর জন্য আদালতে যোগাযোগ করেন এবং বিগত ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ চুড়ান্ত শুনানী শেষে বিগত ২৯ মে ২০২৪ প্রদত্ত আদেশটি নাকচ করে দেন এবং প্রকল্পের চাকরি প্রত্যাশী ১২৮ জনকে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু রীটকারীগনের দাবী, তাঁরা লিখিত পরীক্ষা এবং প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রথমে চাকুরীতে যোগদান করেছিলেন এবং প্রায় ১০ বছর চাকুরীর অভিজ্ঞতা রয়েছে । সুতারাং তারা লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে মৌখিক পরীক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে যাতে চাকুরী পেতে পারে। সেজন্য তাঁরা হাইকোটে বিগত ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ আদেশটি স্থগিত করে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে অধিদপ্তরের শুন্য পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল করেন। যার নং ১৫০৬/২৫ দাখিল করেন। সে প্রেক্ষিতে আপিলেট ডিভিশনের কোর্ট নং-২ এর মাননীয় আদালত কর্তৃক বিগত ১/৯/২০২৫ তারিখে শুনানীন্তে পিটিশনকারীদের পক্ষে লিভ গ্রান্ট করা হয়েছে এবং আবেদনে উল্লেখিত ১২৮টি পদ (৫৪টি ক্যাশিয়ার এবং ৭৪টি অফিসসহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক) শুন্য রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের চাকরি প্রত্যাশীরা বলছেন “আপিলেট বিভাগ কর্তৃক আমাদের পক্ষে পিটিশন গ্রহণ করা হয়েছে সে বিবেচনায় হাইকোট বিভাগের গত ১৬/১/২৫ তারিখের আদেশের কোন কার্য্যকারিতা আর বিদ্যামান নেই”।
সুতরাং তাঁরা উচ্চআদালতের নির্দেশনার আলোকে (৫৪+৭৪)=১২৮ টি পদ সংরক্ষিত রেখে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাদের মুহাম্মদ জাবের দৈনিক সকালে সময়কে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
হাইকোটের রীট পিটিশনের বিষয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইমাম উদ্দীন কবীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় জানেনা বলে জানান। বিষয়টি সম্পর্কে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সুফিয়ানের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, মাননীয় আদালতের রায় অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে। এই উত্তরের পরিপ্রেক্ষিতে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি তো নিয়োগ দিয়ে দিয়েছেন, আদালতের রায় কীভাবে পালন করবেন ? এ বিষয় তিনি কোন কথা বলেনি।
Aminur / Aminur

আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন

উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন করবে : জননেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

কারা অধিদপ্তরে সক্রিয় বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেট, মূলহোতা রিয়াল

দুদকের ফাঁদে ফেঁসে গেলেন এম এ কাশেম

দরপত্র খোলার আগেই ২.৫ কোটি টাকার চুক্তিতে কাজ নিশ্চিত করলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রুভেন বুল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক

বিআরটিএ-এর দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক

চট্টগ্রাম দিয়ে কখনই দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চাইনি : রায়হান কবির

দেড় হাজার টাকা বেতনের সেই কর্মচারী এখন শতকোটি টাকার মালিক

ক্রীড়া পরিদপ্তরে ভয়াবহ লুটপাট
