রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল

* বিয়ে করে টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার নেশা
* প্রতারণার সহায়ক বোনের জামাই
* পার পায়নি এলাকার মানুষও
* পবিবারের যোগসাজেসে অপরাধ বেড়েই চলছে
* টার্গেট ধনি পরিবারে সুন্দরী মেয়ে
প্রতারণা এমন এক যন্ত্রনা, যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু মনে রক্তক্ষরণ ঘটায়। এটি কখনো আসে মিষ্টি কথায় কখনো ভালোবাসার ছলে, কখনো স্বার্থের টানে, আবার কেউ করে অভ্যাসে তেমনি আজ বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা অবলম্বনে এমন এক ব্যক্তিত্বহীন প্রতারকের কথা তুলে ধরা হচ্ছে যার প্রতারণার শিকার বহু নারী। বহু জীবন, ধংসকারী এই লম্পট। প্রতারক ও ছদ্মবশী। ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর এলাকার ধোপাবিলা গ্রামের মো. আলতাফ হোসেনের পুত্র মো. রকিবুল হাসান রনি, একজন বড় ধরনের প্রতারক। বর্তমানে তিনি বোম্বে সুইটস কোম্পানিতে খাশপারা, কাঁচপুর, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ জেলায় কর্মরত আছেন। মো. রকিবুল হাসান রনি এমন এক বড় ধরনের চক্রান্তকারী প্রতারক যার প্রতারণা করার স্বভাব একেবারে রক্তের সাথে মিশে আছে। তিনি প্রতারণা করেন কথার মিষ্টিতে, ভালোবাসার ছলে স্বার্থের টানে সবমিলিয়ে তিনি এক বড় ধরনের চক্রান্তকারী ভয়ঙ্কর প্রতারক। ভয়ঙ্কর চক্রান্তকারী রকিবুল হাসান রনি বহু বিবাহ করে অসংখ্য নারীর জীবন নষ্ট করেছেন। ভয়ঙ্কর চক্রান্তকারী প্রতারক রকিবুল হাসানের নেশা-ই হচ্ছে সুন্দরী নারীদের খোঁজ করা, তাদের ফোন নাম্বার পারিবারিকভাবে সংগ্রহ করা, কথার মিষ্টিতে ফুসলিয়ে বিয়ে করা। কথায় আছে দুষ্টু মানুষের মিষ্টি কথা। বাস্তব ক্ষেত্রেও তাই সে এমনভাবে সুন্দর করে মিষ্টি কথা বলে মনে হয় সে ফেরেশতা, আসলে সে একটা মানুষরূপী জানোয়ার। তার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সুন্দরী নারী ও আর্থিক অবস্থা সমপন্ন পাত্রী খোঁজা। প্রতারক রকিবুল হাসান রনি প্রথমে সুন্দরী নারী এবং আর্থিক অবস্থাপূর্ণ পাত্রী খোঁজ করেন এবং বিশেষ কৌশলে বিয়ে করেন। নতুন নতুন ভালো মানুষের মুখোশ পরে থাকেন এবং স্ত্রীকে ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে গায়ে হাত বুলিয়ে মেয়ের অনেক টাকা পয়সা হাতিয়ে নেন। তার পর থেকেই শুরু হয় আসল খেলা। যখনই বাবার থেকে মেয়ের টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়ে যায় তখনই তার ফুটে ওঠে আসল রূপ। তখন থেকেই সে তার স্ত্রীর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে ক্রমশ তার খারাপ ব্যবহারের মাত্রা বাড়তেই থাকে এবং যখনই খারাপ ব্যবহার কেন করে জিজ্ঞাসা করা হয় তখনই সে দাবি জানায় বাবার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা পয়সা আনতে হবে। এমনকি টাকা পয়সা ঠিকমতো দিতে না পারলে তালাক দিয়ে সম্পর্কের ছিন্ন করে আবার নতুন নারী পটানোর কাজে লেগে যায়। এভাবে সে একে একে বহু বিবাহ করে আগের বিবাহ গোপন রেখে নিজেকে অবিবাহিত দাবি করে একের পর এক বিবাহ করেই চলেছেন।
এছাড়া বহু অনুসন্ধানে জানা গেছে বউ থাকা সত্ত্বেও সে একাধিক পরনারীতে আসক্ত থাকেন এবং বিভিন্ন মেয়েদের সাথে অবৈধ অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এমনকি বিয়ের কথা গোপন রেখে তাদেরকে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখান বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের সাথে অনৈতিক সম্পার্কে স্থাপন করেন। তার এই প্রতারণার শিকারে আজ বহু নারীর জীবন চরম সংকটে রয়েছে।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যে, আলতাফ হোসেনের পুত্র রকিবুল হাসান রনি বহু বিবাহকারী, ধুর্ত, মিথ্যাবাদী, দুশচরিত্র ও বড় ধরনের প্রতারক। যার নেশাই হলো নতুন নতুন বিয়ে করা ও জিনিসপত্র টাকা আত্মসাৎ করা আর দুইদিন পরেই তাকে তালাক দিয়ে আরেকটি বিয়ে করা। ধোপাবিলা গ্রামের মানুষ আরও জানিয়েছেন যে, আলতাফ হোসেনের পুত্র রকিবুল হাসান রনি বার বার নতুন নতুন বিয়ে করে। প্রতারক রনি ঢাকাতেও নতুন নতুন বিয়ে করে এমনকি নিজের ভালো মানুষি সাঁজতে সে গ্রামেও বিয়ে করে। বিয়ে করে আর তার কিছুদিন পর মেয়ের বাবার থেকে অনেক টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে তাকে তালাক দিয়ে পুনরায় অন্যজনকে পটিয়ে বিয়ে করেন এমনকি বউ থাকা সত্ত্বেও সে একাধিক মেয়ের সাথে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে স্থাপন করেন। প্রতারক রকিবুল হাসান রনির নতুন নতুন বিয়ে করা তার বড় ধরনের ব্যবসা। তিনি বিরল ধরনের প্রতারক। গ্রামের মানুষ আরও জানান, প্রথমে একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে বিবাহ করেন ও কিছুদিন পর তাকে তালাক প্রদান করেন।
জানা যায়, ২০২১ সালে কুষ্টিয়া জেলার ভাদালিয়া বাজার এলাকায় আর্থিক অবস্থা সম্পন্ন একটি মেয়েকে বিয়ে করেন পরবর্তীতে ২০২২ সালে তাকে তালাক দেন। এ বিষয়ে বিশেষ কারণে তথ্যসূত্র গোপন রাখা হয়েছে, পরবর্তীতে ২০২২ সালে আর ও একটি মেয়ের সাথে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে তাকেও তালাক দেন বিশেষ কারণে এর’ও তথ্যসূত্র গোপন রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে ২০২৪ সালে আবারও আরও একটি মেয়ের সাথে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে ২০২৫ সালে তাকে তালাক দিয়ে দেন। আরো একটি ঘটনার বিষয়ে বিশেষকারণে তথ্যসূত্র গোপন রাখা হচ্ছে।
এদের মধ্যে দুইজনের বাসা চুয়াডাঙ্গা জেলার, একজনের বাসা কুষ্টিয়া জেলা আরেকজনের বাসা যশোর জেলায় এছাড়া ঢাকাতে তার একাধিক স্ত্রী আছে বলে জানা যায়। ঢাকাতে একাধিক স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও শুধু ভালো মানুষিকতা ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য পারিবারিকভাবে গ্রামের মানুষদেরকে দেখানোর জন্য বিয়ে করে থাকেন। তার কার্যসিদ্ধ সম্পন্ন হয়ে গেলে পরে তালাক দিয়ে জিনিসপত্র, টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে এবং পুনরায় বিয়ের কথা গোপন করে বিয়ে করেন।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে যে, প্রতারক রকিবুল হাসান রনি’র সাথে জড়িত আছে তার বড় দুলাভাই মো. মশিউর রহমান (শাহীন) চুয়াডাঙ্গার জিঙ্গেদহ খেঁজুরায় এর বাড়ি, প্রতারক রনি ও লোভী শাহীন টাকার লোভে বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে সুন্দরী ও আর্থিক অবস্থা সমপন্ন ভালো পরিবারের মেয়ে তার শালার জন্য যোগাড় করে প্রতারক রনির সাথে বিয়ে দিয়ে রনি’র থেকে মোটা অংকের টাকা ভাগ নেন এই শাহীন। প্রতারক রনি মেয়ের পরিবার থেকে বিয়ের পর পরই মোটা অংশের টাকা-পয়সা জিনিসপএ নেন যা থেকে তার বড় দুলাভাইকে ভাগ দেয়। প্রতারক রকিবুল হাসান রনির পিতা আলতাফ হোসেন ছেলেকে বার বার বিয়ে দেন এবং ছেলের শশুর বাড়ি থেকে টাকা পয়সা, জিনিসপত্র নেন যা তাদের মূলতঃ একটা পেশাতে পরিনত হয়েছে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে গ্রামের মানুষ আরও জানায় যে, ছেলে খারাপ হওয়া সত্ত্বেও বাবা-মা, বোন দুলাভাইরা তাকে কোন শাসন করে না। বরং তাকে নতুন আরেকটি বিয়ে দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়ে। উল্টো মেয়েদের নামে মিথ্যা দোষারোপ দেয়, মিথ্যা রটিরে বেড়ায়। আর নিজের নিজের ছেলে ভাই ধোয়া তুলশি পাতা দাবি করেন এবং পরবর্তীতে একাধিক বিয়ের কথা গোপন রেখে, ছেলে ও ভাইয়ের জন্য সুন্দরী ও আর্থিক অবস্থাসম্পন্ন পাত্রী দেখা শুরু করে দেয়। যেই নেওয়া খাওয়া পরা টাকা পয়সা নেওয়া হয়ে যায় দুইদিন পরেই তারাও ভাইয়ের সুরে সুর মিলিয়ে মেয়েগুলোর জীবন নষ্ট, করে। এমনকি মেয়েদের নামে মিথ্যা বদনাম রটিয়ে বেড়ায়।
এছাড়াও অনুসন্ধানে আর ও জানা গেছে যে, যেসব মেয়েদের সাথে তার আগে বিয়ে হয়েছিল সেসব মেয়েদের সাথে ব্যক্তিগত ছবি উঠে, ভিডিও করে পরে সুযোগের সৎব্যবহার করে তাদেরকে ব্লাকমেলিং করে বলেন জানিয়েছেন তার আগের স্ত্রীরা ও তার শিকার হওয়া নারীরা। তারা মুখ খুলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে গেলে তাদেরকে বিভিন্ন ছবি, ভিডিও এডিট করে নানাভাবে ব্লাকমেলিং করে এই জন্য সাহস করে কেউ কোন পদক্ষেপ নেয় না মানসম্মানের ভয়ে। সে একজন বড় ধরনের খারাপ ছবি ও ভিডিও এডিটর। যখন বউ হিসাবে থাকে তখন ছবি তুলে এডিট করে মেয়েদেরকে ফাসায় যাতে কেউ তার বিরুদ্ধে এ কোন কথা বলতে না পারে। প্রতারকরা সময় মত মুখোশ বদলায় কিন্ত্ত তাদের মন কখনো বদলায়না তাই এই রকম ভয়ঙ্কর চক্রান্তকারী প্রতারক রনি ও প্রতারক রনির ফ্যামিলি হতে সাবধান।
Aminur / Aminur

রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল

পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন

আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন

উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন করবে : জননেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

কারা অধিদপ্তরে সক্রিয় বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেট, মূলহোতা রিয়াল

দুদকের ফাঁদে ফেঁসে গেলেন এম এ কাশেম

দরপত্র খোলার আগেই ২.৫ কোটি টাকার চুক্তিতে কাজ নিশ্চিত করলো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রুভেন বুল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক

বিআরটিএ-এর দালালি করে কয়েক কোটি টাকার মালিক

চট্টগ্রাম দিয়ে কখনই দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে চাইনি : রায়হান কবির
