ঢাকা সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের গাফিলতি

পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পে উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা


কমল চৌধুরী   photo কমল চৌধুরী
প্রকাশিত: ১-১১-২০২৫ রাত ১০:৫৩

দেশের দক্ষিণাঞ্চল কৃষি ও মৎস্য সমৃদ্ধ। পাশাপাশি বাণিজ্যিক গতিশীলতায় বঙ্গোপসাগরের তীরেই নির্মাণ করা হয় দেশের তৃতীয় পায়রা বন্দর। এর পণ্য পরিবহন ও যোগাযোগ সহজ করতে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ পর্যায়ে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের এই সড়কটির নির্মাণ কাজ চলছে ধীর গতিতে। সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর উদাসীনতা ও গাফিলতির কারণে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটির এমন অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। সরেজমিনে পায়রা বন্দরের ছয় লেন সড়ক ধরে চলতে গিয়েই সংযোগ সড়কটির কাজের স্থবিরতা চোখে পড়ে। চলছে না স্কেবেটর, রোলার এবং ঢালাই মেশিন। কিছু শ্রমিক মাটির ছাঁটাইয়ের কাজে ব্যস্ত। এসময় কাজের অগ্রগতি ও সরেজমিন পরিদর্শনে থাকা প্রকল্পের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ প্রদান করে সরে পড়েন। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রশাসনিক জটিলতা ও ভেরিয়েশন অর্ডার (পরিবর্তনের আদেশ) অনুমোদনে বিলম্বের কারণে কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে। প্রায় ৬৮ কোটি টাকারও বেশি বিল ঝুলে থাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম ধীরগতিতে পরিচালনা করছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রকল্পটির মূল কর্তৃপক্ষ পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রকল্পটি একটি ডিপোজিট প্রকল্প হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরিশাল জোনের মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান এবং চুক্তি সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে নকশা, অ্যালাইনমেন্ট এবং কিছু ডিজাইন পরিবর্তনের কারণে মূল চুক্তি থেকে কিছু কাজের পরিমাণ এবং ধরণের পরিবর্তন হয় এবং কিছু নন-টেন্ডার আইটেম (ড্রেনেজ লেয়ার, জিও-টেক্সটাইল ও উচ্চ মানের কংক্রিট) সংযোজন করা হয়। এর জন্য ভেরিয়েশন অর্ডার (পরিবর্তনের আদেশ) অনুমোদন জরুরি হয়। ইতিমধ্যে প্রকল্প কাজের প্রায় ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ভেরিয়েশন অর্ডার অনুমোদন না হওয়ার কারণে ঠিকাদার অনেক সম্পন্ন কাজের বিল পাননি। উল্লেখযোগ্য, ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট মাসে এসপেক্ট্রা লিমিটেড (Spectra Engineers Ltd.) এর সঙ্গে প্রায় ৬৫৫.০০ কোটি টাকায় এ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পের আওতায় ৬.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬ লেন সড়ক, ৭টি পিসি/আরসিসি ব্রিজ, ৭টি কালভার্ট, টোল প্লাজা ও বৈদ্যুতিক কাজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। নকশা, অ্যালাইনমেন্ট ও ডিজাইন পরিবর্তন করলেও পরিবর্তন আদেশ না হওয়া এবং মূল্য সমন্বয় না হওয়ায় স্থবিরতা দেখা দিয়েছে প্রকল্পটিতে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি সংস্থার প্রকল্প ম্যানেজার মো. মামুন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মোট অঙ্কের বিল না পাওয়ার কারণে অর্থ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। উক্ত প্রকল্পে ডিপিডিপিতে Price Adjustment (মূল্য সমন্বয়) এর বিধান থাকা সত্ত্বেও চুক্তি সম্পাদনের সময় Price Adjustment এর প্রয়োগের বিধান রাখা হয়নি। এ কারণে জ্বালানি তেল সহ (প্রতি লিটার ৬৫ টাকা থেকে ১০৫ টাকা) অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী অতিরিক্ত মূল্য বৃদ্ধিতে ঠিকাদারি সংস্থা আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে গতিহীনতা বিরাজ করছে। মূল্য সমন্বয় দ্রুত অনুমোদন এবং বকেয়া বিল প্রাপ্তি ত্বরান্বিত হলে কাজের গতি বাড়ানো সম্ভব হবে এবং যথাসময়ে সম্পন্ন কাজটি পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, পায়রা বন্দরটি আগামী বছর থেকে প্রথম জেটি থেকে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু করবে। এর আগে সড়কটি সম্পন্ন না হলে বন্দরের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে। পায়রা বন্দর ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এ বিষয়ে দৃষ্টি প্রদান এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষ জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় বন্দর ব্যবহার এর সুফল থেকে দেশবাসী বঞ্চিত হবে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরিশাল জোনের অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম এর সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

এমএসএম / এমএসএম

দুর্নীতির টপ লিষ্টে রাজউকের ইমারত পরিদর্শক আল নাঈম মুরাদ

অনিশ্চয়তায় নির্বাচন

পায়রা বন্দর সংযোগ সড়ক প্রকল্পে উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা

দুর্নীতির টাকায় কোটিপতি চসিকের মোরশেদ

রকিবুল হাসান রনি ও তার পরিবারের ভয়ঙ্কর প্রতারণার জাল

পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন

আপিল বিভাগের নিদের্শনা অমান্য করে জনবল নিয়োগ

ঘুষ কেলেংকারীতে ১৫ দিন খালি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের চেয়ার

ওয়েস্টার্ন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের এমডির বিচার চেয়ে ফের দুদকে আবেদন

উৎপাদন বেড়েছে, খরচ কমেছে, নতুন প্রকল্পে আশার আলো

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সকল সেক্টরে ইতিবাচক পরিবর্তন করবে : জননেতা অধ্যাপক মামুন মাহমুদ

কারা অধিদপ্তরে সক্রিয় বদলী বাণিজ্য সিন্ডিকেট, মূলহোতা রিয়াল

দুদকের ফাঁদে ফেঁসে গেলেন এম এ কাশেম