‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্তে সরকার উৎখাতের মিশন নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ)-এর মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করছেন রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান মজিব। ভারতে পালিয়ে থাকা সরকারবিরোধী চক্রের পরিকল্পনায় তিনি কাফনের কাপড় পরে আন্দোলনে মাঠে নেমেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান মজিব জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর আগারগাঁওয়ের দ্বিতীয় তলায় তার অফিস থাকলেও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে দপ্তরে ঘুরে বিভিন্ন তদবির, দালালী এবং সরকারবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে হওয়ার সুবাদে তিনি এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার অ্যাসোসিয়েশন ‘বাকাএভ’ নামের সংগঠন দুটির কোনো নিবন্ধন নেই। রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান মজিব এই সংগঠনের নামেই নানা ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। আন্দোলনের উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যেও দপ্তরে দপ্তরে বহিরাগতদের মাধ্যমে আগের চেয়ে দ্বিগুণ হারে ঘুষ বাণিজ্য চালানো হচ্ছে। এনবিআরের আওতাধীন বিভাগীয় দপ্তর ও সার্কেলগুলোতে কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট বিভাগীয় দপ্তর সার্কেলসমূহে বহিরাগতদের উৎপাতে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত জিম্মি হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি বিভাগীয় দপ্তর ও ভ্যাট সার্কেলের দপ্তরগুলোতে শত শত বহিরাগত ব্যক্তি ঘুষের টাকা বহনকারী হিসেবে অবস্থান করছেন। ভ্যাট সার্কেলে বহিরাগত দালালরাই ফিটফাট পোশাকে প্রত্যেক অফিসে বসে কর্মকর্তার মতো চেয়ারে বসে কম্পিউটার চালাচ্ছেন। তারা সেবা প্রত্যাশীদের মাসিক দাখিলপত্র এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাইরে নিয়ে তা গায়েব করে দিচ্ছেন বলেও চঞ্চল্যকর তথ্য অফিসে অফিসে আলোচনা হচ্ছে।
জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঐক্য পরিষদের আন্দোলনে মাস্টারমাইন্ড ও স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের কাস্টমসে অন্যতম সিপাহী মজিবুর রহমান মজিবের ছায়ায় ঐক্য পরিষদের নামে সরকার বিরোধী আন্দোলন পরিচালিত হয়। অথচ বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার অ্যাসোসিয়েশন 'বাকাএভ' নামের এই সংগঠনের কোনো নিবন্ধনই নেই। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস ফার্স্ট সেক্রেটারি আবুল আল মোহাম্মদ আমীনুল ইসলাম খান, যিনি বর্তমানে মোংলা কাস্টম হাউসে কর্মরত, তার নেতৃত্বে 'কমপ্লিট শাটডাউন' ঘোষণার মাধ্যমে প্রেস ব্রিফিংয়ে পেপার্স নিজে হাতে কম্পিউটারে তৈরি করেন এবং সরকার বিরোধী চক্রান্তের নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেছিলেন। বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে বর্তমানে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে যে, মজিবুর রহমান মজিব বাংলাদেশের সকল কাস্টমস কমিশনারেটের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা এবং সমিতির সদস্যদের 'বাকাএভ' দপ্তরে নিয়মিত আসতে বাধ্য করছেন। এছাড়া, বিভাগীয় দপ্তর ও সার্কেলসমূহ থেকে কর্মচারীদেরকে সরকার বিরোধী চক্রান্তের মাধ্যমে সকল কমিশনারেট কর্মকর্তাগণসহ দেশের চক্রান্তকারীদের নির্দেশে মজিবের প্ল্যানে জোরপূর্বক আন্দোলনে নামতে বাধ্য করেছেন বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, মজিবুর রহমান মজিব ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগের একজন অন্যতম দোসরও ছিলেন। কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন এর নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক প্রকার জোরপূর্বক ঐক্য পরিষদের আন্দোলনে নামতে বাধ্য করেন। আর মানস কুমার বর্মণের জোরালো ভূমিকায় দাবি আদায়ের নামে সরকার উৎখাতের আন্দোলন বেগবান করা হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তাদের বড় একটি অংশ মজিবুর রহমান মজিব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশব্যাপী আন্দোলনে নামেন। আর সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবে কাফনের কাপড় পড়ে মিছিল, অনশন, কর্মবিরতি, কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির মতো আন্দোলন করেন। তাদের সেই আন্দোলনে বা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ফলে আয়কর, ভ্যাট, কাস্টমস হাউসের সকল রাজস্ব বিভাগে চরম স্থবিরতা তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, সরকার বিরোধী আন্দোলনের প্রধান উদ্যোক্তা প্রতিটি কমিশনারেটের কমিশনারগণ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন যুগ্ম কমিশনার ও আন্দোলনে যুক্ত একজন উপকমিশনার বলেছেন, আমরা আন্দোলন করেছি জনস্বার্থে কিন্তু 'বাকাএভ' নামের সংগঠনের নেতারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি বড় কক্ষ, যা ১৩০০ থেকে ১৪০০ স্কয়ার ফুট, দখল করে সেখানে নানা ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করছেন। আর 'বাকাএভ' এর নেতা মজিবুর রহমান মজিব একজন রাজস্ব কর্মকর্তা। 'বাকাএভ' সভাপতি কে এম মাহবুব আলম এবং মহাসচিব তানভীর আহমেদ বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানিয়েছেন, মজিবুর রহমান মজিব তিনি তার নিজের কর্মস্থলে না গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সদস্যগণের কক্ষে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের বদলি জটিল ফাইল ছাড়ানোর তদবির কাজে ব্যস্ত সময় ব্যয় করছেন। তিনি এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি বাণিজ্যের দালালি মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে আয়কৃত অর্থে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ঐক্য পরিষদের আন্দোলনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনে সরকার বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন। যা আন্দোলনের সময় ধারণকৃত বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ ও পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর আন্দোলনকারী বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করলেও নামমাত্র কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যা সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদেরকে সাসপেন্ড করা হয়। কিন্তু যারা সরকার বিরোধী চক্রান্তের মূল মাস্টারমাইন্ড বা উসকানি দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নিয়ে আন্দোলন বিরোধী কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাস্টমসের যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, অতিরিক্ত কমিশনার মোংলা কাস্টম হাউসের আবুল আল মোহাম্মদ আমীনুল ইসলাম খান, কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের অতিরিক্ত কমিশনার মানস কুমার বর্মন, মো. মজিবুর রহমান মজিব, কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা (বাকাএভ নেতা) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড দ্বিতীয় তলা, মো. মাজহারুল ইসলাম কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা (বাকাএভ নেতা)। এছাড়াও, মো. আলহেলাল তাজ সিপাই, কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট (বাকাস মহাসচিব), মো. মাহবুব হোসাইন সাব ইন্সপেক্টর (বাকাস সহ-সভাপতি) কাস্টমস ঢাকা পূর্ব কমিশনারেট, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন সিপাই (সাংগঠনিক সম্পাদক) কাস্টমস পশ্চিম কমিশনারেট, মো. বাবুল হোসেন সিপাই (বাকাস নেতা) কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট, মো. আবুল হোসেন সিপাই (সাংগঠনিক সম্পাদক) কাস্টমস বৃহত্তর করদাতা ইউনিট এল টি ইউ ঢাকা, মো. মনজুরুল ইসলাম সিপাই (আঞ্চলিক কমিশনারেট নেতা) কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট, মো. আবুল কাশেম তুহিন সিপাই (আঞ্চলিক কমিশনারেট নেতা) কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট, মো. রাজিব হোসেন সিপাই (সাংগঠনিক সম্পাদক) কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট, মো. আবু সাঈদ সিপাই (বাকাস নেতা) কাস্টমস ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেট ঢাকা, মো. মিজানুর রহমান সাব ইন্সপেক্টর কাস্টমস আঞ্চলিক (কমিশনার নেতা) ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট।
কাস্টমস ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেটের সিপাহী তাইজুল ইসলাম উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করলেও কাস্টমস অফিসে বহিরাগতদের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি জানান, অফিসের কাজেই বহিরাগতরা অফিসে বসছেন। আর এখন ডিজিটাল সিস্টেম হওয়ায় আমাদের অনেক কর্মকর্তাগণ তা পারছেন, তাই বহিরাগতরা এই সুযোগ নিয়ে অফিসে বসে কাজ করছেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য জানান।
ব্যবসায়ী মহল ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, কাস্টমসের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী সরকার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন। তারা সরকারের রাজস্ব আদায় বন্ধ করে দেশকে অচল করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিলেন। আন্দোলনে যারা দোষী তাদের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
এনবিআরের নির্ভরযোগ্য এক সূত্রে জানা গেছে, সরকার উৎখাতের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে সরকার। ইতিমধ্যে চারজনকে বাধ্যতামূলক অবসর এবং ২৩ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা করা হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তালিকার মধ্যে যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছেন ও অফিস বন্ধ রেখে কাজে অনুপস্থিত থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৪৬ জন এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সেই তালিকার যাচাই-বাছাই পূর্বক রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে যাদের সম্পৃক্ততা, অংশগ্রহণ, সমর্থন ও সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তবে কাস্টমস সহ এনবিআরের কখন কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে। ক্ষমা চাওয়ার পরও এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশার মধ্যে অফিস করছেন অনেকেই। আর সরকার বিরোধী আন্দোলনের অভিযোগে ঢালাওভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে অসন্তোষ তৈরি হবে এবং রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ১২ মে সরকার এনবিআর পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে এনবিআর ভেঙে দুটি বিভাগ (রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা) গঠনের জন্য অধ্যাদেশ জারি করে। সেটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে নামেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকারের পক্ষ থেকে সেটি সংশোধনের আশ্বাস দিলে আন্দোলন কিছুটা স্তিমিত হয়। তবে স্বার্থ সংরক্ষণে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে চেয়ারম্যানের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। এরপর গত ২২ জুন কয়েকজন কর্মকর্তাকে বদলি করে আদেশ জারি করে এনবিআর। তাদের গত ২৪ জুন বা তার আগে নতুন কর্মস্থলে যোগ দিতে বলা হয়। কিন্তু তাদের সেই বদলি আদেশ প্রত্যাখ্যান করে ২৪ জুন এনবিআর ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বদলির আদেশ ছিঁড়ে প্রতিবাদ জানান কর্মকর্তারা। এরপর গত ২৯ জুন ব্যবসায়ীদের মধ্যস্থতায় কোনো সাজা দেওয়া হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন কর্মকর্তারা।
আর আন্দোলন প্রত্যাহারের পরে এনবিআরের তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বদলি আদেশ ছিঁড়ে ফেলা এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কটূক্তি করায় একজন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আরও অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানা গেছে।
বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ) এর সহসভাপতি মাহবুব হোসাইন 'সকালের সময়'কে উল্লেখিত আন্দোলনে বিষয়ে কিছু না বললেও কাস্টমস হাউসগুলোতে বহিরাগতদের বিষয়ে জানান, এগুলো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তাদের সুবিধার্থে রেখেছেন। তাই তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য জানান। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কাস্টমস অফিসার অ্যাসোসিয়েশন (বাকাএভ) এর নেতা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ওরফে মজিবের সেল ফোনে ফোন করা হলেও তিনি প্রথমে রিসিভ করেননি। পরে তিনি প্রতিবেদকের ফোনে ফোন করলে উল্লেখিত সরকার বিরোধী আন্দোলন ও তদবির বাণিজ্য ঘুষ দুর্নীতিতে জড়িত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের পুরো নাম ও অফিসের ঠিকানা জানতে চেয়ে প্রতিবেদককে তার কার্যালয়ে দেখা করার জন্য বলেন।
এমএসএম / এমএসএম

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
