ঢাকা শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫

সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি দমনে চান্দগাঁও থানার নতুন ওসির চ্যালেঞ্জ


চট্টগ্রাম ব্যুরো photo চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ২-৯-২০২১ রাত ৯:৫৭

চট্টগ্রাম নগরীতে অপরাধের স্বর্গরাজ্য খ্যাত চান্দগাঁও থানা এলাকা। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, জুয়ার আসর, পতিতালয় থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যা এখানে ঘটছে না। এ সব অপরাধ দমন করতে না পারায় বিগত ওসিগুলো নানা বির্তক সমালোচনা বদনামের ভাগি হয়ে থানা ছাড়তে হয়েছে। নতুন ওসি মইনুর রহমান বিগত দিনে বিভিন্ন থানা ও দপ্তরে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষের মন জয় ও সেবা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। চান্দগাঁও থানায় সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বলে জানায়। সম্প্রতি এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে হাতেনাতে আটক করে র‌্যাব-৭। এর আগে ৫ জুন বহদ্দারহাট থেকে আরো দুইজনকে আটক করেছিল। 

মাঝেমধ্যে র‌্যাবের অভিযান দেখা গেলেও অভিযোগ রয়েছে অপরাধ দমনে পুলিশের নমনীয়তা। চান্দগাঁও থানা থেকে সদ্য বিদায়ী ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। তবে এখনো বহাল রয়েছে নানা কারণে বিতর্কিত চান্দগাঁও থানার সেকেন্ড অফিসার নুরুল ইসলাম, এসআই কাউছার হামিদ, এএসআই শংকর বড়ুয়া ও বহদ্দারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই অধীর চৌধুরী। তারা এ থানায় অন্তত দুই থেকে চার বছর কর্মরত রয়েছে। 

বহদ্দারহাট ও আশপাশ এলাকায় ভয়ংকর গ্যাং নেতৃত্ব দিচ্ছে সন্ত্রাসী ধামা জুয়েল। অপরাধ জগতে জুয়েল একা নন, রয়েছে তার ভাই রাজু বাদশা ওরফে হামকা রাজুও। গত বছর ৫ নভেম্বর র‌্যাবের অভিযানে বিদেশি পিস্তলসহ র‌্যাব-৭ রাজুকে আটক করে। তবুও কমেনি গ্রুপটির ত্রাস। এর আগে তাদের চাচাতো ভাই মো.ফারুক চান্দগাঁও থানার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় পিস্তলসহ র‌্যাবের হাতে আটক হয়। তুচ্ছ বিষয়ে অস্ত্র প্রদর্শন কিংবা ফাঁকা গুলি ছুটে ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে জুয়েলের বিরুদ্ধে। দুই ভাই কারাগারে, তবুও বেপরোয়া জুয়েলের গতি থামানো যায়নি। জুয়েলের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় দ্রুত বিচারসহ ছয়টি মামলা রয়েছে। তার অন্যতম সহযোগী এক কিলোমিটার এলাকার মো. হানিফ ওরফে টানা হানিফ, বহদ্দারহাটের শাহাদাত হোসেন ওরফে ল্যাংড়া রিফাত ও তার ভাই বাবু, শাহী আবাসিকের মাহাতাব কবির, কাশবন গলির ইয়াবা তুষার২০১৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর চান্দগাঁও ফরিদের পাড়ায় তুচ্ছ বিষয়ে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় উনিশ বছর বয়সী নুরুল ইসলামকে।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা ছিল বহদ্দারহাট কালারপুল এলাকার সন্ত্রাসী নাছির উদ্দিন ওরফে লম্বা নাছিরের নিয়ন্ত্রিত কিশোর গ্যাং সদস্য। ১৫ সেপ্টেম্বর দর্জি পাড়ায় ক্যাবল ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা না পেয়ে তার ছোট ভাই কিশোর জিয়াদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। এর আগে বহদ্দারহাট হক মার্কেটের সামনে ফুটপাতে দোকান বসাতে বাধা দেওয়ায় মার্কেটের সিকিউরিটি গার্ড আব্দুর সবুরকে ২২ ফেব্রুয়ারী ছুরিকাঘাত করা হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের হয়ে এই হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয় তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী ইমন বড়ুয়া। হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে ইমন। এই অপরাধী বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার বাবা রঞ্জিত বড়ুয়া বহদ্দারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ক্যাশিয়ার ও সোর্স হিসেবে পরিচিত। 

চলতি বছরের ৩১ মার্চ আছি শাহ মাজার এলাকার একটি সন্ত্রাসী আখড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে অস্ত্র, মাদকসহ ১৩ জনকে আটক করা হয়। পুলিশের অভিযানের পরপরই স্থানীয়রা আনন্দ মিছিল বের করেন। পরেরদিন ১ এপ্রিল মিছিলে অংশ নেওয়ায় দিবাগত রাতে আনোয়ার নামে এক গার্মেন্টস কর্মকর্তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় আনোয়ার প্রাণে বেঁচে গেলেও তার বাম হাতের কব্জি অকেজো হয়ে যায়। ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল শমসের পাড়া এলাকায় চাঁদা না দেওয়ায় আমজাদ হোসেন নামে এক যুবকের দুই পা ড্রিল মেশিনে ছিদ্র করে দেয় সন্ত্রাসীরা। মধ্যযুগীয় কায়দায় নৃশংস এ ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় সন্ত্রাসী মো. জালাল ওরফে ড্রিল জালাল। এঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপর অস্ত্রসহ আটক হয়ে দুই দফা কারাগারে যায় জালাল। বর্তমানে চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়সহ মাদক ব্যবসায় সক্রিয় জালালের গ্রুপ। সিসি টিভি ক্যামেরা লাগিয়ে পুলিশের গতিবিধি নজরদারি করার মাধ্যমে অপরাধ সাম্রাজ্য পরিচালনা করছে দুর্র্ধষ এই সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশ থানায় অন্তত দশটি মামলা রয়েছে। জালালের সহযোগীদের মধ্যে সক্রিয় শমসের পাড়ার ডজন মামলার আসামী লম্বা দিদার, পুলিশের তালিকাভুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার ও চার মামলার আসামী নেওয়াজ শরীফ ওরফে কিরিচ নেওয়াজ, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী অদূর পাড়ার বাটি রাশেদ। 

স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বস্তির কিশোরদের বিপথগামী করার মেশিন বলা হয় পূর্ব ষোলশহর এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার হামিদ শিকদারকে। চব্বিশ বছর বয়সী এই কিশোর গড়ে তুলেছে ভয়ংকর গ্যাং। চুরি থেকে ছিনতাই, সংঘর্ষ থেকে মাদক কারবার সবখানে জড়িয়ে পড়েছে। এই গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন সময় আটক হলেও, বরাবর ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে হামিদ। তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা, অভিযোগ ও জিডি দায়ের হলেও আশপাশের চার থানার পুলিশ তার নাগাল পাচ্ছে না কিছুতেই। অপরাধ জগতে তার অন্যতম সহযোগী। চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মঈনুর রহমান জানান, আমি জনগণের সেবক হিসেবে এসেছি, যতটুকু সম্ভব এলাকাবাসীর সহযোগিতায় এলাকাটি সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত করব। সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্ঠা করব। এলাকা ভিত্তিক অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্ঠা করা হবে বলে জানান।

জামান / জামান

গাজীপুরে অন্তহীন অভিযোগে অভিভাবকদের তোপের মুখে প্রধান শিক্ষক!

ভূঞাপুরে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন সভা

রাণীশংকৈলে পুলিশের ওপেন হাউস ডে অনুষ্ঠিত

সবুজে ঢেকে যাক কালকিনি: পরিবেশ রক্ষায় আনসার-ভিডিপি’র অঙ্গীকার

অভয়নগরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১

তানোরে ব্যাক ডেট ও জালিয়াতি নিয়োগের তদন্তে হাজির হননি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন

চট্টগ্রামে নেক্সাস ফেস্ট-২০২৫ সম্পন্ন

পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে: জামায়াতের অধ্যাপক মজিবুর রহমান

শ্রীপুরে পরিবেশ বিপর্যয় রোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

অনার্সের খাতা দেখেন কলেজ হোস্টেলের গার্ড !

মানিকগঞ্জে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারী আটক