সুন্দরগঞ্জে আ‘লীগ নেতার বিরুদ্ধে স্কুলের শতবর্ষী গাছ কর্তনের অভিযোগ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে স্কুলের শতবর্ষী একটি পাইকড়ের গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের পুটিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় থাকা শতবর্ষী পাইকড় গাছটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাটি কাপাসিয়া গ্রামের মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম কেটে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ভুয়া দলিল বানিয়ে পুটিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় থাকা শতবর্ষী পাইকড় গাছটি কেটে নিচ্ছেন। ১৯৬৯ সালে পুটিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে শ্রীপুর ইউনিয়নের শ্রী জগৎ চন্দ্র বর্ম্মন, শ্রী হরেন্দ্র নাথ বর্ম্মন ও শ্রী অভয় চন্দ্র বর্ম্মশ জমি দলিল করে দেন। সে দলিল এখনও আছে অনেকেরই কাছে। হঠাৎ করে ২০০৬ সালের দিকের দিকে প্রতিষ্ঠান থেকে জমিটি বেহাত হয়ে যায়। দখলে নেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম গং। কারণ জানতে চাইলে তারা একটি দলিল দেখান। দলিলটি করা হয়েছে ২০০৬ সালে। দাতা ওই তিনজনই।
স্থানীয়দের দাবি, ২০০৬ সালের দলিলটি ভুয়া। এটি তারা নিজেরাই সৃজন করেছেন। গাছটি এলাকার শ্রী বৃদ্ধি করে আসছে শতবছর ধরে। সেই গাছটি হঠাৎ কাটছেন আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম। কথা বলতে গেলেই তেড়ে আসেন। কেউ কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের জমি প্রতিষ্ঠানে ফেরত ও শতবর্ষী গাছটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মতিয়ার রহমান বলেন, স্থানীয় এক হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি ছিল এটি। ১৯৬৯ সালে তারা পুটিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে দলিল করে দেন। সেই থেকে বিদ্যালয়ের দখলেই ছিল ওই জমিটি। পরে ২০০৬ সালে ভুয়া দলিল বানিয়ে মমিনুল ইসলাম গংরা নিজেদের দখলে নেন এটি। প্রভাবশালী এ আওয়ামী লীগ নেতার দাপটে কেউ মুখ খোলার সাহস পায় না। এখন তিনি শতবর্ষী পাইকড় গাছটি কর্তন করছেন। এখানে আরও শতবর্ষী গাছ আছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফরিদুল হক মন্ডল বলেন, ‘আমি এই স্কুলে লেখাপড়া করেছি। জমিটি স্কুলের নামে তখন থেকে দেখে এবং শুনে আসছি। জায়গাটি ফাঁকা থাকায় ছাত্রজীবনে ওখানে আমরা খেলাধুলা করেছি। জমিটি যে স্কুলের নামে সে দলিলও দেখেছি। হঠাৎ শুনি ওই আওয়ামী লীগ নেতা নাকি ওই জমির মালিক হয়েছেন। বলার কিছু নাই সরকারি চাকরি করি। তাই প্রতিবাদ করতে পারি না। ছাত্রজীবন থেকে গাছটি দেখে আসছি। চোখের সামন দিয়ে সেটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ নেতা মমিনুল ইসলাম ভুয়া দলিল নয় দাবি করে বলেন, আমরা জমিটি ক্রয় করি ২০০৬ সালে। সেই থেকে জমিতে ঘর তুলে ব্যবসা কেন্দ্র চালাচ্ছি। আমাদের জমির গাছ আমরা কাটছি। এখানে কাউকে জানাতে হবে মনে করি না। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিপক্ষরা আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসব অভিযোগ তুলেছে।
কাপাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, পুটিমারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ওই জমি দলিল করা আছে। দাতারা ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠানের নামে দলিল করে দেন। সে দলিলও আমার কাছে আছে। কিন্তু ২০০৬ সালের একটি দলিল দেখিয়ে তারা ওই জমিটি দখলে নেন। সেই দলিলটি ভুয়া। স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশি বৈঠকও হয়েছে। প্রভাবশালী হওয়ায় সালিসি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেন না তারা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় আছি। শুনলাম গাছটি নাকি কাটছেন তারা। গাছটির আনুমানিক দাম হবে হবে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, অভিযোগ করতে বলেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জামান / জামান

খাগড়াছড়ি ও গুইমারা সংঘাত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

টাঙ্গাইলে আইসিইউ বন্ধ, পর্যাপ্ত ডাক্তারও নেই, রোগীরা আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেননা

সিংড়ায় পূজা মন্ডপে বিএনপি নেতার অনুদান প্রদান

অভয়নগরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বীজসহ সার বিতরণ

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫ উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

মাদারীপুরে অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

রায়গঞ্জে ভিডব্লিউবি'র কর্মসূচি'র পচা ও নিম্ন মানের চাল বিতরণ

মিরসরাইয়ে এতিমের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ জহুরুল হক এর বিরুদ্ধে

চন্দনাইশে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেন সাবেক বিচারপতি মামুন

কালীগঞ্জে কৃষকদের মাঝে শাক সবজি বীজ ও সার বিতরণ

হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের উপহার দৈনিক সকালের সময় প্রকাশিত সেই মানবিক এনাম

আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা মা-মেয়ে নিহত স্বামীসহ আহত-৫
