মানব উন্নয়ন শুধু মানুষের বস্তুগত কুশলের ওপরে নির্ভর করে না
বৈষম্যহীন দেশের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের কথাই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে স্থিত। তাই মানব উন্নয়ন বিষয়টি উঠে আসছে দেশের বর্তমান সংস্কারের আলোচনায়। যেমন আইন সংস্কারে মানব উন্নয়নের কথা আসছে মানুষের সম-অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে, জনপ্রশাসন সংস্কারের ক্ষেত্রে সেটি আসছে মানুষের অংশগ্রহণের বলয়ে, ব্যাংক-ব্যবস্থার বিষয়ে মানুষকে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে মানব উন্নয়নটি প্রাসঙ্গিক। প্রশ্ন উঠতে পারে, তা এত যে মানব উন্নয়নের কথা বলা হচ্ছে, মানব উন্নয়ন বিষয়টি কী? প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন সন্দেহ নেই।
কারণ, আমরা অনেক সময়ই মানব উন্নয়নকে মানবসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলি। ন্যূনতম মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণকেও অনেক সময় মানব উন্নয়নের সমার্থক বলে মনে করা হয়।আসলে কিন্তু মানব উন্নয়নের সংজ্ঞাটি মানবসম্পদ উন্নয়ন, ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা, কিংবা মানবকল্যাণ-এর ধারণা থেকে ব্যাপক ও বিস্তৃততর। মানবসম্পদ উন্নয়ন মানুষকে উৎপাদনপ্রক্রিয়ার একটি উপকরণ হিসেবেই দেখে, কিন্তু সেই প্রক্রিয়ার সুফলভোগী হিসেবে দেখে না। ন্যূনতম মৌলিক চাহিদার ধারণাটি অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়ের মতো মানুষের সনাতন প্রয়োজনগুলো মেটানোর কথা বলে, কিন্তু মানুষের সক্ষমতা প্রসারের কথা বলে না। মানবকল্যাণ মানুষকে নিষ্ক্রিয় গ্রহীতা হিসেবে বিবেচনা করে, কিন্তু তাকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে বিবেচনা করে না। মানব উন্নয়নের ধারণাটি ব্যাপক ও বিস্তৃত। এককথায়, মানব উন্নয়ন মানে হচ্ছে মানুষের চয়নের ক্ষেত্রটি প্রসারিত করার প্রক্রিয়া এবং তা থেকে লব্ধ ফল। যুদ্ধ এবং সংঘাত একটি জনগোষ্ঠীর জীবনে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে। এর মধ্যেও দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের জগৎকে যুদ্ধ এবং সংঘাত একদম বিপর্যস্ত করে দেয়। যুদ্ধের ফলে বহু অমূল্য প্রাণ ঝরে যায়,খাদ্যের অভাব দেখা দেয় এবং খাদ্যনিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়।
ফলে যুদ্ধাক্রান্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে অপুষ্টির মাত্রা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে যুদ্ধাক্রান্ত জনগোষ্ঠীর বাড়িঘরসহ অন্যান্য সম্পদ বিলুপ্ত হয়ে যায়, অবকাঠামো বিনষ্ট হয় এবং বিশুদ্ধ জল, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সেবার জোগান ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। স্কুল ও হাসপাতালের কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। সবচেয়ে বড় কথা, যুদ্ধ এবং সংঘাতের দেশ ও মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সংঘাত এবং দারিদ্র্য উভয়ে উভয়কে বিঘ্নিত করে। কারণ সংঘাত দারিদ্র্য বাড়িয়ে দেয় এবং দরিদ্র সমাজে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করে। পারস্পরিক এই বিনষ্ট চক্রের কারণে সংঘাত ও দারিদ্র্য উভয়েই উভয়কে গভীরতর সংকটের দিকে নিয়ে যায়। অর্থনীতির ওপরে আঘাত করে এবং বৈষম্যের বিস্তার ঘটিয়ে সংঘাত অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে দারিদ্র্যকে বৈরীভাবে প্রভাবিত করে। দেশের সেবা অবকাঠামোগুলো বিনষ্ট করে সংঘাত বঞ্চনা বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে দারিদ্র্যের উপস্থিতি সমাজে সংঘাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। একটি বঞ্চিত সমাজে লভ্য সম্পদে নিজ নিজ ভাগ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় সমাজের বিভিন্ন উপগোষ্ঠী পরস্পরের সঙ্গে বিবাদে জড়ায়। সমাজে বৈষম্য, অন্তর্ভুক্তির অভাব এবং অন্যায্যতার ধারণা তীব্র হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে সেই বঞ্চিত সমাজে সংঘাত অনিবার্য হয়ে ওঠে। প্রথাগতভাবে দারিদ্র্যের কথোপকথনে প্রায়ই আয় দারিদ্র্যই প্রাধান্য পায়। বিশ্লেষণাত্মক আলোচনায় এবং পরিমাপেও। কিন্তু এ কথা আজ সর্বজনস্বীকৃত, দারিদ্র্য বিষয়টি একরৈখিক কিংবা একমাত্রিক নয়। আয়বহির্ভূত বিষয়গুলোতেও বঞ্চনা থাকতে পারে। যেমন: শিক্ষায়, স্বাস্থ্যে, পুষ্টিতে, সুপেয় জলের ক্ষেত্রে কিংবা কর্মনিয়োজনে। আয়ের ঘাটতি সব সময় এসব বঞ্চনাকে প্রতিফলিত করতে পারে না। যেমন– একজন ব্যক্তি অত্যন্ত ধনশালী হতে পারেন কিন্তু তিনি যদি অশিক্ষিত হন, তাহলে আয়-দারিদ্র্যে তিনি দরিদ্র নন, কিন্তু শিক্ষা মাত্রিকতায় বঞ্চনার শিকার।
সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখা দরকার, মানব উন্নয়ন শুধু মানুষের বস্তুগত কুশলের ওপরে নির্ভর করে না, তার কণ্ঠস্বরের স্বাধীনতা, তার অংশগ্রহণের অধিকার, মানুষ-পরিবেশের ভারসাম্য ইত্যাদির ওপরেও নির্ভর করে। এগুলোর ঘাটতিও মানুষকে বঞ্চিত করে। সুতরাং চূড়ান্ত বিচারে মানব-দারিদ্র্য একমাত্রিক নয়, বহুমাত্রিক।বহুমাত্রিক এই দারিদ্র্য পরিমাপের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি এবং অক্সফোর্ড দারিদ্র্য ও মানব উন্নয়নের যৌথ প্রচেষ্টায় বেশ কয়েক বছর আগে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের একটি বহুমাত্রিক সূচক গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মানুষের জীবনযাত্রা মানের অনেকগুলো সূচক আছে। যেমন: পুষ্টি, বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, সুপেয় জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদি নিয়ে এই সমন্বিত সূচক তৈরি করা হয়। সুতরাং আয়-দারিদ্র্য সূচকের মাধ্যমে আলাদা করে আয়ের বঞ্চনাটা বুঝতে হবে। বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচকও শুধু মানুষের বস্তুগত কুশলকেই আমলে আনে।বিশ্বের ১১২টি দেশের জন্য বিভিন্ন সময়কালের উপাত্ত নিয়ে এ দেশগুলোর জন্য সূচকটি নির্মিত হয়েছে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে, বিশ্বের ৬৩০ কোটির মধ্যে ১১০ কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। এই ১১০ কোটি বহুমাত্রিক দরিদ্র মানুষের ৯৬ কোটি মানুষই আবার গ্রামে বাস করে। অন্যদিকে বহুমাত্রিক দরিদ্রের মধ্যে অর্ধেকই শিশু-কিশোর, অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় ৫৪ কোটি শিশু-কিশোর বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। সুতরাং চূড়ান্ত বিচারে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের একটি তাৎপর্যপূর্ণ গ্রামীণ ও কৈশোর মাত্রিকতা আছে। সংঘাতের সঙ্গে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সম্পৃক্ততার দিকে তাকালে দেখা যায়, যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলোতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের আপাতন ৩৪ শতাংশ, অর্থাৎ এসব দেশের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন দরিদ্র। ক্ষুদ্র সংঘর্ষের দেশগুলোতে এই দারিদ্র্যের আপাতন ২৩ শতাংশ।
অন্যদিকে যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং ক্ষুদ্র দেশের বাইরের দেশগুলোতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের আপাতন ১০ শতাংশ। সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ১১০ কোটি বহুমাত্রিক দরিদ্রের মধ্যে ৪৬ কোটি মানুষই সংঘাতসংকুল দেশগুলোতে বাস করে। এর মধ্যে ২২ কোটি মানুষ যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলোতে বসবাস করে। বিশ্বের কিছু দরিদ্রতম দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। যাদের ৮৪ শতাংশ, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের ৮১ শতাংশ এবং বুরুন্ডির ৭৫ শতাংশ মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। এ থেকেই বোঝা যায়, কোথায় দরিদ্র মানুষের বসবাস এবং দারিদ্র্যের সঙ্গে সংঘাতের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সমন্বিত সূচকের অঙ্গসূচকগুলোর দিকে তাকালেই বোঝা যায়, প্রতিটি সূচকে যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলোর অবস্থা শোচনীয়। যেমন:যে দেশগুলো যুদ্ধাক্রান্ত, সেগুলোর মাত্র ৪ শতাংশ মানুষের বিদ্যুতের লভ্যতা আছে; অন্যদিকে বাকি দেশগুলোর ২৭ শতাংশ মানুষের বিদ্যুৎ লভ্যতা আছে। তেমনিভাবে যেখানে যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলোর মাত্র ১০ শতাংশ মানুষের রন্ধন-জ্বালানির লভ্যতা আছে, সেখানে যুদ্ধবহির্ভূত দেশগুলোতে ৩১ শতাংশ মানুষের রন্ধন-জ্বালানির লভ্যতা নেই। সংঘাত এবং বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সম্পৃক্ততার বিশ্লেষণ থেকে নিখাদ সত্যগুলো বেরিয়ে আসে। যেমন: সংঘাতসংকুল দেশগুলোতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের আপাতন বেশি; যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে দারিদ্র্যের আপাতন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ উন্নয়নের শ্লথতা, ভৌত কাঠামোর ভেঙে পড়া, সেসব দেশের সেবা কাঠামো সংকুচিত হয়ে যাওয়া এবং মানুষের জীবন-জীবিকা বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। এবং যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলোর জনগোষ্ঠী শুধু যে সংঘাতের তাৎক্ষণিক প্রভাব নিয়েই ব্যতিব্যস্ত তা নয়, আগামী প্রজন্মগুলোর জন্য তারা একটি সংঘাত-দারিদ্র্য চক্রের মধ্যে পড়ে যায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈশ্বিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে যুদ্ধাক্রান্ত দেশগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে দারিদ্র্য নিরসন পথযাত্রায় কোনো মানুষই পেছনে পড়ে না থাকে। এর জন্য যে কোনো সংঘাত বন্ধ করা অত্যন্ত প্রয়োজন, যাতে অবকাঠামো বিনষ্ট না হয়, অর্থনৈতিক অগ্রগতি পিছিয়ে না পড়ে এবং উন্নয়ন ব্যয় আকাশচুম্বী না হয়ে ওঠে। বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে একত্রে কাজ করতে হবে, যাতে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা নিশ্চিত করে এবং বিধ্বস্ত কাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে যারা বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার তাদের জন্য একটি মুক্তির পথযাত্রা তৈরি করে দেওয়া যায়। এ প্রচেষ্টার অন্যতম অঙ্গ হচ্ছে সংঘাতাক্রান্ত দেশগুলোতে উপাত্ত সংগ্রহের কাজ আরও সংহত করা। যেসব অঞ্চল সুগম্য নয়, সেসব জায়গায় সৃজনশীল পন্থা এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আঁতাত করার মাধ্যমে সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ নিশ্চিত করা যায়। উপাত্ত কাঠামোকে আরও মজবুত করার জন্য সম্পদ আহরণ এবং অর্থায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সংঘাতসংকুল দেশগুলোতে বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের ব্যাপ্তি ও প্রকৃতি বোঝার জন্য এবং লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবস্থার কার্যকারিতার জন্য সঠিক উপাত্তের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য।সংঘাতাক্রান্ত দেশগুলোর বহুমাত্রিক দারিদ্র্য নিরসনের জন্য একটি সমন্বিত প্রয়াস প্রয়োজন। শান্তিরক্ষা, মানবিক সহায়তা প্রদান এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রচেষ্টা এ সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হবে। এর মাধ্যমে সমতা গড়ে উঠবে এবং বজায়যোগ্য পুনরুদ্ধারের পথ সুগম হবে। সংঘাত নানাভাবে মানুষের, বিশেষত দরিদ্র মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে দেয়। যদি সংঘাতের মূল কারণ ও অভিঘাতগুলোকে মোকাবিলা করা হয়, তাহলে সংঘাতসংকুল দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের জীবন-জীবিকা পুনর্গঠনের একটি বিশাল সুযোগ পাবে।
মানুষের বস্তুগত কুশলের বাইরে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সক্ষমতা মানব উন্নয়নের আলোচনার মধ্যে আসেনি, সেগুলো হচ্ছে কণ্ঠস্বর ও স্বায়ত্তশাসনের সক্ষমতা, অংশগ্রহণের সক্ষমতা, পরিবেশের সঙ্গে মানবজীবনের ভারসাম্যের সক্ষমতা। এ বিষয়গুলো মানুষের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ শুধু বস্তুগত অর্জন নিয়ে তুষ্ট থাকতে পারে না, সে তার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ও ক্ষেত্র চায়। যেসব বস্তু, ঘটনাপ্রবাহ ও সিদ্ধান্ত তার জীবনকে প্রভাবিত করে, সেখানে সে অংশগ্রহণ করতে চায়, সেসব ক্ষেত্রের সক্ষমতা অত্যন্ত জরুরি। মানুষ অনেক সময় তাদের জীবনে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের প্রভাব বুঝতে পারে না। অনেক সময় তারা মনে করে যে এটা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাদের জন্য নয়। কিন্তু পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানব উন্নয়নের জন্য জরুরি। সুতরাং চূড়ান্ত বিচারে মানব উন্নয়ন শুধু বস্তুগত কুশলতা বা জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নয়, সেখানে কণ্ঠের স্বাধীনতা, স্বায়ত্তশাসন, অংশগ্রহণের সক্ষমতা, পরিবেশের সঙ্গে মানুষের জীবনের ভারসাম্যও জরুরি।মানব উন্নয়নের বিশ্লেষণাত্মক কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে মানবাধিকার ও মানব নিরাপত্তার বিষয়গুলো। তাই উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করতে হবে নৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে।নৈতিকতা সম্পৃক্ত বিষয়গুলো-মানুষকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার সক্ষমতা এবং সহনশীলতা ও পরমত সহিষ্ণুতার সক্ষমতাও সামগ্রিক মানব উন্নয়নের অংশ।
T.A.S / T.A.S