আবারও কি লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির কবলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই রাজনীতি বন্ধ করতে হলে সবার আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক–রাজনীতি বন্ধ করা উচিত বলে মনে করেন বিজ্ঞজনরা। দলীয় রাজনীতিতে যুক্ত কিছু শিক্ষকের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি কোনো অংশে কম হয় না। নষ্ট দলীয় ছাত্ররাজনীতির কারণেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়, এটা এখন সর্বজনস্বীকৃত।
শিক্ষক–রাজনীতির কারণে শিক্ষার প্রকৃত মান নষ্ট হচ্ছে। বড় পদ ও বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য একশ্রেণির শিক্ষক ছাত্রনেতাদের ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা ছাত্রনেতাদের অন্যায় কাজে বাধা দেওয়ার নৈতিক মনোবল ও অধিকার হারিয়ে ফেলেন। গবেষণা ও শিক্ষাদান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রধান কাজ হলেও তাঁদের একটি বড় অংশ রাজনীতির নামে সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত থাকেন।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ব্যানারে বিভিন্ন প্রোগ্রামে বেশ সরভ দেখা যায় একাংশ শিক্ষকদের। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর-২৪ ছাত্রদলের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে একাংশ শিক্ষকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ছাত্রদের ব্যানারে ছাত্ররা থাকবে, শিক্ষক কেন? প্রশ্ন সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তারা বলেন,'৫ আগষ্টের আগে ছাত্রদের সাথে শিক্ষকদের মিছিল, শোডাউন নিয়ে সমালোচনা যাদের মুখে তারাই দাঁড়িয়ে গেলেন ছাত্রদের ব্যানারে!' 'শিক্ষকতা আর রাজনীতি এক করে জগাখিচুড়ি বানিয়ে ফেলেন বলেই হয়ত এমন শিক্ষকদের ছাত্ররা ক্লাসে চান না, বর্জনের ঘোষণা দেন, চাকরিচ্যুতি চান, ঘৃণা করেন।'
জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা বলেন, জাতির মেধাবী সন্তানেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করেন, তাঁদের পরামর্শ রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে খুবই গুরুত্ব বহন করে। তাঁরা লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে না জড়ালে জাতি উপকৃত হতে পারে। শিক্ষক যেমন মানুষ গড়ার কারিগর, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই এখনই সময়, দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করার। এ জন্য বন্ধ হোক দলীয় লেজুড় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সমন্বয়ক আল রাকিব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যখন পদ–পদবির জন্য কোনো দলের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি করেন, তখন শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা লজ্জা বোধ করি। শিক্ষক যেমন মানুষ গড়ার কারিগর, তেমনি ছাত্রছাত্রীরা দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। তাই এখনই সময়, দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করার। এ জন্য বন্ধ হোক দলীয় লেজুড় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি।
T.A.S / T.A.S