ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

সিলেটের তারাপুর চা বাগানের জমি বিক্রি করে ম্যানেজার রিংকু শত কোটি টাকার মালিক


সিলেট ব্যুরো অফিস photo সিলেট ব্যুরো অফিস
প্রকাশিত: ১২-১২-২০২৪ দুপুর ৪:১০

সিলেটের তারাপুর চা বাগানের জমি বিক্রি করে ম্যানেজার রিংকু শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তিনি বাগানের জমি দখলদারদের কাছে ৯৯ বছরের জন্য বাগানের জমি ইজারা দিয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত দুই যুগ থেকে এই চা বাগানটি লুটেপুটে খেয়েছেন। বাগান ম্যানেজার রিংকু চক্রবর্তীকে ম্যনেজ করে বাগানের প্রায় অর্ধেক ভুমি দখল করে নিয়েছে দখলদাররা।

এক সময় বাগানটি ছিলো সিলেটের আলোচিত ভূমিখেকো হিসাবে পরিচিত রাগীব আলীর দখলে। পরে বাগানের ভুমি শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ জিউ দেবতার নামের এই ভূমি নিয়ে অনেক মামলা মোকদ্দমা হয়। পরে বিগত ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসন থেকে প্রকৃত সার্ভে ছাড়া অবৈধ দখলসহ ৩২৩.দশমিক ৮ একর ভূমির দায়িত্ব নেন সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত। এসব দখলদার সরাতে প্রশাসন থেকে অভিযানের নামে কেবল আইওয়াশ হয়েছে। সম্প্রতি সময়ে এমন একটি অভিযান নিয়ে বাগান জবর দখলের বিষয়টি আসে আলোচনায়। উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ৫ বছর আগে বাগানের মালিকানা পায় সেবায়েত অংশ।

এরপর থেকে সেবায়েতরাই পরিচালনা করছেন বাগান। প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাগানের ভূমি দখল নিয়ে এলাকায় উত্তাপ-বিরাজ করছে। সরজমিন দেখা গেছে-চা বাগানের ভূমি দখল থেকে অট্টালিকা নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া শতাধিক দোকানপাট নির্মাণ করে বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দেয়া হচ্ছে। ম্যানেজার  রিংকুর ছত্রছায়ায় ভূমিখেকোরা বাগানের ভূমি দখলের মহোৎসব চালাচ্ছে।

চা বাগানের দেবোত্তর দলিলে উল্লেখ আছে ৩৮ হাল এক কেদার ৩ পোয়া ভূমি। এখন সেই পরিমাণ ভূমিও নেই তারাপুর বাগানের। অবৈধ দখলদারদের ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেটের পেটে তারাপুর বাগানের ভূমি। এ যাবত ৭২৩ দখলদার রয়েছেন বাগানের ভূমিতে। কাগজে কলমে ৫০০ একরের মধ্যে ৩২৩ দশমিক ৮ একরের মধ্যে ১৩০ একর বাগানের দখলে আছে। বাকি সব ভূমি গিলে খাচ্ছে ভূমিখেকোরা। যুগের পর যুগ অবৈধ দখলে নিজস্ব মানচিত্র হারিয়েছে ঐতিহ্যবাহি তারাপুর বাগান। আর চা বাগানটি কেবল ঐতিহ্য ধরে রেখেছে।শহরের লাগুয়া হওয়াতে ভূমিখেকোদের চোখ বাগানের ভূমিতে। বিশেষ করে পাঠানটুলা কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট যুগের পর যুগ তারাপুর বাগান দখল করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে, পাঠানটুলা এলাকায় একটি প্রভাবশালী চক্র জোট সরকারের সময় থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাগানের বেশিরভাগ জায়গা দখল করে নেয়।

স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক খান রাজা মিয়া গংরা তারাপুর বাগানের প্রায় ২৮ কেদার ভূমিতে গড়ে তুলেন ‘পার্কভিউ আবাসিক প্রকল্প’। প্রকল্পের প্লট বিক্রি করেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর আরো আবাসিক স্থাপনা গড়ে ওঠে আশপাশে। এসব জমি তারাপুর বাগান থেকে বেদখল হয়। রাজনৈতিক নেতাদের অনেকের দখলে রয়েছে তারাপুর বাগানের ভূমি। প্রবাসীদের অনেকে অল্প টাকায় সিন্ডিকেটের কাছ থেকে জায়গা কিনে বসতি গড়েছেন। এছাড়া ২০১৬ সালে পঙ্কজ কুমার গুপ্ত’র কাছে জেলা প্রশাসন থেকে ভূমি হস্তান্তর হয়। ওই সময় আদালতের রায় বহমান থাকাবস্থায় অবশিষ্টাংশ ভূমির ৯৫ শতাংশ তড়িগড়ি করে নিয়ন্ত্রণে নেয় অবৈধ দখলবাজরা। এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক শের মোহাম্মদ মাহবুব মুরাদ বলেন, তারাপুর চা বাগান নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে। এরপরও অবৈধ দখলের বিষয়ে জেলা প্রশাসনের নজর রয়েছে। ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সহ একটি টিম বাগানের ভূমি পরিদর্শন করে এসেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারাপুর চা বাগানের ভূমি ১৯৮৮ সাল থেকে ক্রমান্বয়ে দখল হয়ে আসছে। ওই বছর তারাপুর চা বাগান রাগির আলীর নিয়ন্ত্রণে যায়। এরপর ১৯৯৫ সালে বাগানের জায়গায় গড়ে তোলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বাগানেই স্থাপন করা হয় মদনমোহন কলেজের ক্যাম্পাস  ও রাগির রাবেয়া মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের আবাসিক হোস্টেল, ইন্টারন্যাশনাল ভয়েজ হোস্টেল, যেটি নেপালি হোস্টেল নামে পরিচিত। সেই থেকে দখলদারের সংখ্যাই বেড়েছে। এ যাবত ৭২৩ জন দখলদার রয়েছেন বাগানের ভূমিতে। ভূমিখেকোরা জাল দলিল সৃজন করে অবৈধ দখল নিয়ে জায়গার মালিকানা দাবি করেন।

তাদের অনেকে ভূমির দখল নিয়ে বিক্রি করেছেন অন্যত্র। ভূমির দখল নেওয়া ৭২৩ জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে এসেছে অনুসন্ধানে। তারমধ্যে জালালাবাদ রাগিব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দখলে ৬ একর পাকা দালান ও খালি জায়গা, রাগিব রাবেয়া হাসপাতালের নার্সিং হোস্টেলে ৪৫ শতক, মদন মোহন কলেজের দখলে এক একর, সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নামে ২ একর ১২ শতকে পাকা টিনশেড বাংলোবাড়ি ও খালি জায়গা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাবুল আহমদ, সাইদ আহমদ, গোলাম রব্বানী, শাহিদা আক্তার মুন্নী ও এহছান মিয়ার নামে এক একর ৮০ শতকে পুকুর, দিঘী, ৩টি টিনশেড ঘর ও খালি জায়গা, মোহনা আবাসিক এলাকার সাজিদ আলীর ছেলে আবু মিয়ার দখলে এক একর ৬৫ শতকে সাজিদ আলী কমিউনিটি সেন্টার ও মার্কেট, পার্কভিউ আবাসিক এলাকায় ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর ২৭ শতকে টিনশেড বাসা ও খালি জায়গা, জগদীশ চন্দ্র দাস সাড়ে ৫শতক পাকা ভবন ও খালি জমি, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খান রাজা মিয়ার দখলে ১০ ও ২২ শতকে পাকা টিনশেড ও দোকান এবং খালি জমি, মোহনা আবাসিক এলাকার আজিজ খান সজিব গংয়ের দখলে ২৪ শতকে মার্কেট ও টিনশেডের ৫টি ঘর, আওয়ামী লীগের শাব্বির খানের দখলে ৮ শতক খালি জমি এবং আরও ৮ শতকে পাকা ঘর, অ্যাডভোকেট এমদাদুল হকের নামে ৬ শতকে টিনশেড বাসা, আব্দুর রাজ্জাক খান গংয়ের নামে ২২ শতক খালি জমি, লতিফিয়া হিফজুল কুরআন মাদরাসার উস্তার আলীর দখলে ১৫ শতকে মাদরাসার ৫ তলা ভবন, শাহপরান জামেয়া ইসলামিয়া এতিমখানার দিয়ে দখল নেওয়া হয়েছে ২ একর ২০ শতক ভূমি, গৌছুল উলুম জামেয়া ইসলামিয়া মাদরাসা পীরমহল্লায় ৪৫ শতক, আব্দুল আহাদ এতিমখানার দখলে ৩০ শতক পীরমহল্লায়, শ্রী শ্রী সৎ সংঘ বিহারের দখলে ৩০ শতক, পার্কভিউ আবাসিক এলাকায় শাব্বির খানের মালিকানায় সাড়ে ৯ শতকে ১ তলা পাকা ভবন, শাব্বির খাং গংয়ের নামে আরো ৬৬ শতকে টিনশডে বাসা ও খালি জায়গা, আজিজ খান সজিব গংয়ের নামে আরও ৩ শতক খালিজমি, আজিজ খান সজিব গংয়ের নামে আরো ১৯ শতকে টিনশেড ও খালি জায়গা, পান্না লাল চৌধুরী ৬০ শতককে টিনশেড ও খালি জায়গা, জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট বাহারুল ইসলামের নামে ১০ শতকে খালি জমি, মখবুল হোসেন মজুর নামে ৬৪ শতক খালি জমি, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুর রহমান সমছুর নামে ১৫ শতকে টিনশেড ঘর, সাগরদিঘীর পাড়ের হেলাল মিয়া গংয়ের নামে ৬০ শতকে আধাপাকা কলোনী, উচমান মিয়ার নামে ৫২শতকে ১ তলা দালান ঘর, টিনশেড বাসা খালি জমি,  হাজি সোনা মিয়ার ছেলে আব্দুল বারীর নামে ২ একরের টিলা, কর্ণেল ওলি আহমদের দখলে ১০ শতকে ২ তলা দালান, দুসকী এলাকার কলিম উল্লাহর নামে ৯০ শতকে পাকা ৩টি ঘর ও খালি জায়গা, মানিক মিয়া ৩০ শতকে আবাসিকসহ ৮টি দোকান কোটা, আনোয়ার হোসেন ১৬ শতকে পাকা ৩ তলা বিল্ডিং, তুরণ মিয়া ৪৮ শতকে ১০টি দোকান কোটা ও খালি জায়গা, সাজ্জাদ আলী ১২ শতকে রেস্টুরেন্ট, ফার্মেসী ও ৯টি দোকান কোটা, একই মালিকের দখলে গ্রীণ হিল হোটেল আরো ৬০ শতকে খালি জমি, উস্তার আলী ৮০ শতকে ৩য় তলা বিল্ডিং, মার্কেট, ১৮টি দোকান ও খালি জায়গা, ফারুক মিয়া ১২০ শতকে কলোনী, খালেদা বেগম’র ২৬ শতকে ২ তলা বিল্ডিং ও ৪টি দোকান, খালি জমি, আব্দুল হাসিম ২৬ শতকে দোকান বাসা ও খালি জমি, হাজী মো. রফিক মিয়া ২০ শতকে পাকা ৩ তলা ভবন, কামরুন্নেছা ১৭ শতকে পাকা ২ তলা ভবন, আব্দুল মনাফের নামে ৫১ শতকে পাকা  দেওয়াল বেস্টিত খালি জমি, পল্লবী আবাসিক এলাকার হুমায়ন কবিরের রয়েছে ১৭ শতকে সীমানা প্রচীর দিয়ে টিনের ঘর, জকিগঞ্জের আব্দুল মোমিন চৌধুরীর সাড়ে ১৪ শতকে আধাপাকা টিনের ঘর, ওয়াছিমুল হাসান চৌধুরীর দু’টি দাগে ১০ শতকে টিনের ঘর, পল্লবী এলাকার আপিয়া বেগমের ১১ শতকে পাকা ঘর, পল্লবীর হাজি মঈনুল ইসলামের সাড়ে ৫ শতকে পাকা বিল্ডিং, একই এলাকার রাক্সি ভিলার ১০ শতকে পাকা বিল্ডিং, লিলু মিয়ার ১০ শতকে পাকা বিল্ডিং, পল্লবীর আজমল হোসেন কোরেশির ২২ শতকে আবাসিক, বাণিজ্যিক পাকা বিল্ডিং ও দোকান কোটা, বিশ্বনাথের সিরাজ মিয়ার ২০ শতকে আবাসিক/বাণিজ্যিক পাকা দোকান ও বাসা, পল্লবীর আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহমদ খান গংয়ের ১০ শতকে পাকা ৫ তলা ভবন, জকিগঞ্জের ইলিয়াছুর রহমানের ১০ শতকে পাকা বিল্ডিং, ইনামুল হকের ১০ শতকে আবাসিক পাকা বিল্ডিং, পল্লবীর শাহীনা’র ১০ শতকের পাকা ঘর, বিশ্বনাথে মানিক মিয়ার ১০ শতকে পাকা বিল্ডিং, সুনামগঞ্জের তুরণ মিয়া চৌধুরীর ৪৮ শতকে আবাসিক ৫ তলা ভবন ও খালি জায়গা, পল্লবী ডি ব্লকের আব্দুল কুদ্দুছের ৬০ শতক বাণিজ্যিক ও ফ্লাট বাড়ি, সুন্দর আলীর ১৫ শতক খালি জায়গা, নজরুল ইসলামের ৩২ শতকে কলোনী ও খালি জমি, আকলাস উদ্দিনের ১১ শতকে পাকাঘর, শংকর প্রসাদ দেব’র ৩০ শতকে কাচা ঘর ও খালি জায়গা, ফুলজান বিবি’র ১০ শতকে পাকা ২ তলা বাড়ি, পনিটুলার আনোয়ার হোসেনের ১৫ শতকে টিনশেড বাসা ও খালি জায়গা, আজমান আলীর ১৫ শতকে টিনশেড কলোনী, হামিদুল ইসলামের ১৫ শতকে টিনশেড ঘর, নজরুল মিয়া (কেয়ারটেকার) ১০ শতকে টিনশেড কলোনী, শিউলি রানী মজুমদারের ১১ শতকে পাকা টিনশেড, সাজ্জাদুর রহমানের ১৫ শতকে নির্মানাধিন ভবন, ওয়াছির খানের ১৫ শতকে ১৫ শতকে ১৫ শতকে টিনশেড কলোনী, ধীরেন্দ্র দেব’র ১৮ শতকে টিনশেড কলোনী, পল্লবীর হারুন মিয়ার ৩০ শতকে সীমানা প্রাচীর ঘেরা খালি জমি, মোহনা আবাসিক এলাকার জাবেদ আহমদের ১৫ শতকে বিল্ডিং, পল্লবীর আহাদ মিয়ার সাড়ে ৭ শতকে ৮ তলা টাওয়ার, শংকর দে ১২ শতকে খালি জমি, প্রতাপ ঘোষ সাড়ে ৭ শতক টিনশেড বাসা, বিজয় কান্তি দে ১১ শতক টিনশেড, প্রদীপ ঘোষ সাড়ে ৪ শতক, শক্কুর আলী সাড়ে ৬ শতক আধাপাকা দোকান ও বাসা, হাবিবুর রহমান সাড়ে ৮ শতক পাকা ২ তলা বিল্ডিং, দোকান ও বাসা, সিদ্ধার্থ শিবির দেব গং ১০ শতক আবাসিক ও বাণিজ্যেক বিল্ডিং, কমলা বেগম ১১ শতক আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, হাবিবুর রহমান ২১ শতক আবাসিক ২টি পাকা দালান,করের পাড়ার শফিকুর রহমান  সাড়ে ৫ শতক খালি জায়গা, রণধীর চন্দ্র তালুকদার দোকান জনসেবা ফার্মেসী ১ .১০ শতক, পল্লবী আ/এ ১৪ বাসার ২০ শতকে কলোনী, এনামুর রশীদ গং ১১ শতকে খালি জায়গা ও টিনশেড ঘর, মানিক মিয়া ১০ শতকে ৫ তলা বাসা, এমএ রউফ তালুকদার গং-এর সাড়ে ১১ শতকে টিনশেড বাসা, আছর বিবি ১৫ শতকে আবাসিক এক তলা বিল্ডিং, আব্দুল আলী ২৫ শতকে ১ তলা বিল্ডিং ও খালি জমি, সিরাজুল ইসলাম ২৩ শতকে টিনশেড বাসা, আলিমুল ইসলাম ১৮ শতকে টিনশেড বাসা, হোছনা চৌধুরী গংয়ের ২২ শতকে ৫ তলা বিল্ডিং ও খালিজমি, আবু হাছান ১১ শতকে ৩ শতকে ৩ তলা বিল্ডিং, ওমর ফারুক বাপ্পী ১৩ শতকে টিনশডে ঘর, খালেদা বেগম ২৬ শতকে ২ তলা বিল্ডিং/৪টি দোকান ও খালি জমি, হাজী আনোয়ার হোসেন সাড়ে ৮ শতকে ২ তলা বিল্ডিং, কাদির মিয়া ১০ শতকে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন, মাহমুদ আলী ২৪ শতকে ২ তলা পাকা বিল্ডিং, নুনু মিয়া ১৬ শতকে আধাপাকা ও টিনশেড বাসা, মো. এসএ মতিনের নামে সাড়ে ১৩ শতকে ২ তলা বিল্ডিং, পার্কভিউ আবাসিক এলাকায় ১২ শতকে ১ তলা পাকা ভবন, ক্বারী আব্দুল আহাদ ১৫ শতকে ১ তলা বিল্ডিং ও খালি জমি, পার্কভিউ আবাসিক এলাকায় নেহার মিয়া মিলন সাড়ে ১৬ শতকে ৫ তলা বিল্ডিং, রুস্তুম মিয়া গংয়ের নামে ২৮ শতকে কলোনী ও বাসা, ফখরুল ইসলাম ফারুকের নামে ১৩ শতকে ৩ তলা বাসা, পারভীন বেগম ১৫ শতকে ওয়াল বেস্টিত খালি প্লট, আব্দুর রহমানের নামে ১০ শতকে খালি প্লট, নুর আহম্মদ গংয়ের ১০ শতকে টিনশেড বাসা ও খালি প্লট, মো. ওয়াহিদ মিয়া গংয়ের ১০ শতকে টিনশেড ও খালি জায়গা, আব্দুল কুদ্দুছ শাহ’ নামে ৩০ শতকে পাকা টিনশেড ও খালি জায়গা, আব্দুল কুদ্দুছের নামে ১৭ শতকে পাকা টিনশেড ও খালি জায়গা, সৈয়দ বাহারুল ইসলামের নামে ৭ শতকে পাকা টিনশেড, তারিনা সুলতানা চৌধুরী ১৩ শতকে পাকা টিনশেড, আব্দুল কাদির ১৫ শতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক, আফসর উদ্দিন গং ১২ শতকে পাকা বাসা ও দোকান, মৌলভী ফখর উদ্দিন ১২ শতকে পাকা বাসা ও দোকান, সুন্দর আলী ২৫ শতকে পাকা টিনশেড ও কলোনী, রতন চন্দ্র গং ১৫ শতকে পাকা টিনশেড ও খালি জায়গা, মসাইদ আলী ২৮ শতকে টিনশেড ও খালি জায়গা,  হাজি হোসেন আলী ২০ শতকে পাকা ঘর ও টিনশেড, ইসলাম মিয়া ২০ শতকে পাকা টিনশেড ও দোকান, অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সাড়ে ১৭ শতকে পাকা, টিনশেড ও খালি জমি, মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী ৩০ শতকে টিনশেড কলোনী।

অবৈধ দখলদাররা ভূমি বিক্রয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়ছেন। এছাড়া পাঠানটুলা করের পাড়ায় শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ জিউর দেবতার নামে মার্কেট বানিয়ে দখলে নেওয়া হয়। ২০১৮ সালে সুদীপ দে নির্বাচনী টুকেন লেখার জন্য একটি টিনশেড ঘর তৈরী করেন। পরে এটা অবৈধ দখলে নেন। সাবেক কাউন্সিলর ইলিয়াস সিসিকের বরাদ্দে গোয়াবাড়িতে বাগানের ভূমিতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করিয়ে আশপাশের ভূমির দখল নেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নেতাকর্মীরা ভূমি দখলে সক্রিয় ছিলেন বিগত বছরগুলোতে। তাদের সঙ্গে মিলেমিলে ভূমি দখলে সক্রিয় ছিলেন বিএনপি ও অংগসংগঠনের কতিপয় নেতাকর্মীও। ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর তারাপুর বাগানের ভূমি দখলে আরো সক্রিয় হয়ে ওঠেছে নতুন একটি চক্র। এ ব্যাপারে তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী বলেন, তারাপুর চা বাগানের বেদখল হওয়া ভূমি উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যারা বাগানের ভূমি জবর দখল করেছে তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২৬টির বেশি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। বেদখলকৃত ভূমি উদ্ধারের বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। বাগানের ভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

T.A.S / T.A.S

চৌদ্দগ্রামে মুন্সীরহাট ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

মিরসরাইয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা ভর্তি প্রাইভেটকারসহ একজন আটক

নগরকান্দায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার

লোহাগড়ায় শরিফুল মোল্লার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, বিএনপির প্রতিবাদ

কোনাবাড়ীতে ইমরান বেকারিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা

কুতুবদিয়ায় আগাম তরমুজ ও খিরা চাষ করে স্বাবলম্বী কৃষক

ধামইরহাটে এতিমখানা ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে সৌদি সরকারের দুম্বার মাংস বিতরণ

বাঁশখালীতে একাধিক মামলার আসামি বৈলছড়ীর মিজান গ্রেফতার

সাগর পথে মায়ানমারে সিমেন্ট পাচার; বোট ডুবে সাগরে ভসছিল রোহিঙ্গাসহ ৬ জন

গুইমারা রিজিয়নের আওতাধীন সিন্দুকছড়ি জোনের মাসিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজশাহীতে আইডায়াস্পোরা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

জামলা বহুমুখী তা'লিমুল কুরআন ও নুরানি মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

শাহজাদপুরে কৃষকদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন