১ যুগ পর লিজকৃত জমি বাতিলের অভিযোগ ভূক্তভোগীর আর্তনাদ
নওগাঁর মান্দায় সাবেক এক ভূমি কর্মচারীর বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাবেক ভূমি কর্মচারী আব্দুর রহিম উপজেলার কামারকুড়ি গ্রামের মৃত ফারিদ উদ্দিনের ছেলে। অপরদিকে ভূক্তভোগী উপজেলার কামারকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে শাহ সুলতান।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভূক্তভোগীর পিতা মৃত আব্দুল হাকিম ভূমিহীন হওয়ার সুবাদে গত ৭ এপ্রিল ১৯৮০ সনে ভূমি অফিস থেকে ১০ শতক জমি লিজ নেন। পররর্তীতে আব্দুল হাকিমের লিজ নেওয়া জমি শ্রেণী ভুল দেখিয়ে আব্দুল হাকিম নামে এক ভূমি অফিসের কর্মচারী গত ৯ মে ১৯৯২ সনে জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে থেকে ৩৬০৬ নাম্বার দলিল মূলে রেজিস্টি করে নেন। এরপরে ভূমি অফিস কর্মচারী আব্দুর রহিম গত ৮ জুন ১৯৯২ সনে লীজকৃত কামারকুড়ি মৌজার ৩৭৪/৮০ নং পত্তনীকৃত জমি বাতিলের জন্য ভূমি অফিস বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করেন। উক্ত পত্তনকৃত জমি ভোগ দখলের ১যুগ পর মান্দা-কুসুম্বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস বাতিলের আবেদন আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সুপারিশ করেন। সুপারিশের দুই মাস পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ সনে লিজ নেওয়া ৩৬০৬ নং দলিল বাতিল করেন।
উল্লেখ্য: দলিলটি বাতিলের প্রায় ৫ মাস আগেই গত ৯মে ১৯৯২ সনে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কাজ থেকে ভূমি কর্মচারী আব্দুর রহিম জমি রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার পর সেখানে একতলা ছাদ ঢালাই বাড়ি নির্মান করে বসবাস করে আসছেন।
আব্দুল হাকিমের ছেলে সুলতান অভিযোগ করে বলেন, তার বাবার ১৯৯২ সনের পিয়ন বুক লিষ্টে যে স্বাক্ষরটি রয়েছে তার সাথে তার বাবা স্বাক্ষরের মিল নেই। এটি ভূয়া ও জাল করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, আব্দুর রহিম ভূমি অফিসের চাকরি করার সুবাদে আমাদের জমিটি তার নামে রেজিষ্ট্রি করে নেন। আমাদের লিজকৃত জমিটি বাতিলের প্রায় ৫ মাস আগে উক্ত জমিটি তার নামে রেজিষ্ট্রি করে নেন তিনি। সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ভূক্তভোগী জমিটি ফেরতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। সেইসাথে স্বাক্ষর জাল ও রক্ষক হয়ে ভোক্ষকের কাজ করেছেন। এমন নেক্কারজনক কাজের জন্য সাবেক ভূমি কর্মচারী আব্দুর রহিমের উপযুক্ত শাস্তি চেয়েছেন ভূক্তভোগী শাহ সুলতান।
এ ব্যাপারে সাবেক ভূমি কর্মচারী আব্দুর রহিমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরর্বীতে বক্তব্যের জন্য তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / এমএসএম