চৌগাছায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধারালো দায়ের কোপে বিএনপির চারকর্মী জখম
যশোরের চৌগাছায় আওয়ামীলীগের চিহিৃত সন্ত্রাসী হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামীদের ধরালো অস্ত্রের কোপে পিতা পুত্রসহ বিএনপির চার কর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার কাদবিলা গ্রামে এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সকলকে দ্রত যশোরে রেফার করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল হতে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়েছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
থানা ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের কাদবিলা গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেন (৫২), তার তিন ছেলে মফিজুর রহমান (৩২) হাফিজুর রহমান (৩৫) ও আজিজুর রহমান (৩০) কাদবিলা বাজার সংলগ্ন একটি পুকুর পাড়ে দাড়িয়ে কথা বলছিলো। এ সময় একই গ্রামের আওয়ামী সন্ত্রাসী আব্দুল বারেকের ছেলে লাল মিয়া, মকবুল হোসেনের ছেলে শাহিনুর রহমান শাহিন, মৃত আঃ আজিজের ছেলে মকবুল, রবিউল ইসলামের ছেলে দুলাল হোসেন, আব্বাস আলীর ছেলে সোহেল, রুবেলসহ ১২/১২ জনের এক সন্ত্রাসীদল সেখানে রাম দা, গাছি দা, হাসুয়া হাতে নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে পিতা পুত্র সকলেই মারাত্মক জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চৌগাছা হাসপাতালে নিলে চিকিৎস সকলকে যশোরে রেফার করেন। আহতদের মধ্যে মফিজুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জুলকার হোসেন বলেন, ধারালো অস্ত্রের কোপে সকলেই গুরুতর জখম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে যশোরে রেফার করা হয়েছে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ পায়েল হোসেন বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল দ্রত ঘটনাস্থলে পৌছায়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাদবিলা গ্রামের অপূর্ব রায় মিত্র ও সোহেল নামে দুইজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা হলে দ্রত আসামীদের আইনে সোপর্দ করা হবে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, কাদবিলা গ্রামে এ্যাড. জ্যোতিষময় রায়ের অন্তত ২৫ বিঘার একটি জলাকার আছে। বছরের পর বছর ধরে লিজে ওই জলাকারে মাছ চাষ করতেন বিএনপি কর্মী হামলার শিকার আবুল হোসেন। কিন্তু আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই জলাকার জোর পূর্বক দখলে নেয় উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বহুল আলোচিত দেবাশিষ মিশ্র জয়। তিনি জলাকার দখলে নিয়ে তার অনুসারী সন্ত্রসাী বাহিনী লাল-শাহিন গংদের দায়িত্বে দেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে বিএনপির কর্মীরা জলাকার ফেরত চাই। এসময় সন্ত্রাসীরা কিছুদিন সময় চাই মাছ ধরা হলেই জলাকার তারা ফেরত দিবে। গত রোববার সন্ত্রসাীরা বিএনপি কর্মী আবুল হোসেনকে জলাকার ফেরত নেয়ার কথা বলে। সেনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে পিতা ও তিনপুত্র মিলে ওই জলাকার দেখাতে যাই। এসময় আকস্মিক ভাবে সন্ত্রাসীরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সকল সন্ত্রসাীদের কোন না কোন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা মদদ দিচ্ছেন যার কারনে তারা প্রকাশ্যে দিবালোকে বিএনপির চার কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে এমনটিই মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির কর্মী সমার্থকরা।
এলাকাবাসি জানান, আওয়ামী দুঃশাসনের সময়ে পরপর দুইজন বিএনপির নিবেদিত নেতা আব্দুর রহিম ও আব্দুল মমিনকে নৃশংস ভাবে বোমা ও কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। যে সন্ত্রাসীরা আজ বিএনপির চার কর্মীকে কুপিয়েছে তাদের অনেকেই ওই হত্যা মামলার আসামী।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। গোটা এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
T.A.S / T.A.S