ভূঞাপুরে ঘাস বিক্রির টাকায় সংসার চালান প্রায় শতাধিক পরিবার
যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় জেগে ওঠেছে অসংখ্য চর। বিস্তীর্ণ এই চরাঞ্চলে যে দিকে দুচোখ যায় শুধু সবুজ ঘাসের সমারোহ। আর এই ঘাস বিক্রি করে প্রতিদিন জীবিকা নির্বাহ করছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার প্রায় শতাধিক দরিদ্র পরিবার। এদিকে উপজেলার কুঠিবয়ড়া, গোবিন্দাসী নৌ ফেরি ঘাট, মাটিকাটা, ন্যাংড়া বাজার, সিরাজকান্দী, পাথাইলকান্দি এলাকায় প্রতিদিন সকাল-বিকাল বিভিন্ন জাতের ঘাস বিক্রির এমন চিত্র গেছে ।
প্রতিদিন কৃষকেরা যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে ঘাস সংগ্রহ করে নিয়ে বাজারে আসে। এরপর তারা ঘাসগুলোকে আঁটি অবস্থায় সাজিয়ে রাখে। প্রতিটি আঁটি কৃষকেরা বাজারে বিক্রি করে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। কৃষকরা পাইকারি এবং খুচরা দুইভাবে এই ঘাস গুলো বিক্রি করে থাকেন।
ঘাস বিক্রেতারা জানান, বাজারে ঘাস বিক্রি করতে আসা ৮০ শতাংশ লোকই হচ্ছে কৃষক। যারা মূলত নিজেদের গৃহপালিত পশুর খাদ্য চাহিদা মেটাতে যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে এই কাঁচা ঘাস গুলোকে সংগ্রহ করে এবং অবশিষ্ট ঘাস তারা বাজারে বিক্রি করে থাকে। কিন্তু যখন দেখলাম এই কাঁচা ঘাস বাজারে বিক্রি করা যায় এবং বাজারে এর চাহিদা রয়েছে তখন থেকে নিয়মিত এই ঘাস বিক্রি শুরু করি। তারা আরও বলেন এই ঘাস গুলো আমরা ক্রয় করে এনে বিক্রি করি না, এমনকি এই ঘাস গুলো আমরা চাষ ও করি না। তাই অনেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য এই পেশা বেছে নিচ্ছে । এতে করে তারা দিন দিন আর্থিক ভাবে সাবলম্বি হচ্ছে। প্রথমে কয়েকজন কৃষক ঘাস বিক্রি করলেও এখন অনেকে যুক্ত হচ্ছে এই পেশায়।
এদিকে ক্রেতারা জানায়, যে প্রথম দিকে এই অঞ্চলে গরুর খামারের সংখ্যা অনেক কম ছিল। কিন্তু এখন গরুর খামারে সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার এখন এই কাঁচা ঘাসের চাহিদা অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই তারা নিজেদের গরুর খামারে চাহিদা মেটাতে এই বাজারে আসে ঘাস ক্রয় করতে। তারা আরও বলেন যে, এই বাজার গুলোতে পর্যাপ্ত পরিমানে কাঁচা ঘাসের আমদানি থাকে।
এই কাঁচা ঘাস গরুকে খাওয়ানোর ফলে গরুর দুধ এর পরিমাণ অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়া গরুর স্বাস্থ্য ও অনেক ভালো থাকে তাই দিন দিন এই কাঁচা ঘাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুকুমার চন্দ্র বলেন, যমুনার বুকে যে কাঁচা ঘাস গুলো পাওয়া যায় সেগুলো প্রাকৃতিক ভাবে জন্মায়। কৃষকেরা চরাঞ্চল থেকে ঘাস সংগ্রহ করেন এবং নিজেদের গবাদি পশুর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারগুলোতে এই ঘাস বিক্রি করেন। এতে করে উপজেলার প্রায় শতাধিক দরিদ্র পরিবার ঘাস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।এছাড়াও এই ঘাস গৃহপালিত প্রাণিকে খাওয়ানোর ফলে এদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং গাভীর দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তবে একটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ওই সকল প্রাণীগুলোকে প্রতি তিন মাস অন্তর যেনো কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়।
T.A.S / T.A.S
নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস পালিত
রামু প্রেস ক্লাবের নবগঠিত কমিটির অভিষেক ও প্রতিষ্ঠাতাদের সংবর্ধনা সম্পন্ন
কুমিল্লায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ ২০২৫–২০২৬ এর উদ্বোধন
বোদায় জেলা প্রশাসকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত
রাজস্থলীতে ২১লক্ষ টাকা বিদেশি সিগারেট অবধৈ পাচারকালে ইউপি সদস্য সহ আটক ৪
কালিয়ায় বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
শ্রীমঙ্গলে ইনার হুইল ক্লাবের মেগা জয়েন্ট প্রজেক্টে উন্নয়ন উপকরণ বিতরণ
রায়গঞ্জের সাবেক ওসির বিরুদ্ধে ২৩ লাখ টাকার পাম অয়েল আত্মসাতের অভিযোগ
লোহাগড়ায় কিশোরের লাশের পাশে ‘চার কাঁধি সুপারি’: রহস্যে ঘেরা মৃত্যু তদন্তে পুলিশ
টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন
জয়পুরহাট জাতীয় ছাত্রশক্তির ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন
ভাঙ্গা কবরে বস্তাবন্দি ব্যাগ, ব্যাগ খুলে মিলল একনলা বন্দুক-পাইপগান