নেত্রকোনায় একই শ্রেণিতে দুই স্কুলে ভর্তি প্রধান শিক্ষকের মেয়ে
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী একই শ্রেণিতে অন্য একটি স্কুলে ভর্তি রয়েছে।মেহের নিগার নামে ওই শিক্ষার্থী মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান ইদ্রিছীর মেয়ে। তথ্য গোপন করে এমন ঘটনা তিনি করেছেন বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেহের নিগার নামের ওই ছাত্রী মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির দিবা শাখার- খ শাখায় ভর্তি রয়েছে। তার রোল নম্বর-২১।
এদিকে একই ছাত্রী ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির খ শায় ভর্তি রয়েছে। সেখানে তার রোল নম্বর -৫১।
খোঁজ নিয়ে আরও গেছে, মেহের নিগার ষষ্ঠ শ্রেণিতে মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভর্তি হয়। এখানের নিয়মিত শিক্ষার্থী হলেও ক্লাস করে না। তবে ভর্তি খাতায় তার নাম রয়েছে। সম্প্রতি ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে তাকে অষ্টম শ্রেণি থেকে পরীক্ষা অংশ নিয়ে ৮০৪ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এদিকে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি স্কুলে এবার বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এদিকে পাইলট সরকারি স্কুল থেকে মেহের নিগার কোন ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নেয়নি বলে জানা গেছে।
সরকারি স্কুলে ভর্তি থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট না নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি থাকার বিষয়টি অনিয়ম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় একাধিক শিক্ষক।
আজ মঙ্গলবার নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক গোলাম জিলানী রতন জানান, মেহের নিগার এবার অষ্টম শ্রেণি থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৮০৪ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে কবে কোন শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল সেটি এই মুহূর্তে জানা নেই।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, একজন শিক্ষার্থী একইসাথে দুই স্কুলে ভর্তি থাকার নিয়ম নেই। সেক্ষেত্রে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হতে হবে। অন্যথায় এটা নিয়ম বহির্ভুত হবে।
দুই প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে শিক্ষার্থীর পিতা মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী মঠো ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান,আমার মেয়ে মোহনগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে টি সি নিয়েই ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম