রায়গঞ্জে ফসলি জমির মাটি বিক্রি; কৃষি উৎপাদন বিপর্যয়ের মুখে
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক পড়েছে। এতে আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পাচ্ছে গোচারণ ভূমি, বীজতলা ও কৃষি জমি। প্রভাবশালীরা আইনের তোয়াক্ক না করেই অবাধে চালাচ্ছে মাটির ব্যবসা।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে ভেকু মেশিনে কাটা হচ্ছে মাটি। এসব মাটির বেশিরভাগই যাচ্ছে ইটভাটায়। কিছু যাচ্ছে জমি ভরাটের কাজে। এতে ব্যাহত হচ্ছে ফসল উৎপাদন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক ফসলি মাঠ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। অসাধু চক্রের প্ররোচনায় কৃষকরা তিন ফসলি জমির মাটি বিক্রি করছে। তিন ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে বিক্রি করার ফলে এক দিকে কমছে ফসলি জমি, অন্যদিকে ব্যাহত ফসল উৎপাদন। সেই সাথে মাটি বহনের ট্রাকের কারণে ধ্বংস করা হচ্ছে কাঁচা পাকা রাস্তা ঘাট। ফসলি জমির মাটি বিক্রি ও মাটি কেটে ফসলি জমি ধ্বংস করা নিষিদ্ধ থাকলেও তা মানছেন না প্রভাবশালীরা।
ধুবিল ইউনিয়নের এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রথমে আবাদী জমির চার পাশে বেঁধে পার তৈরি করে। তারপর পানি দিয়ে কিছুদিন মাছ চাষ করে পুকুর সংস্কার বলে মাটি বিক্রি করে। মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক সময় রাতে মাটি খনন করে ঝোপঝাড়ের আড়ালে ভেকু মেশিন লুকিয়ে রাখে৷ শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় পুলিশ প্রশাসন আসবে না জন্য সারাদিন মাটি খনন করে তারা। তিনি আরো বলেন, আমরা গ্রামবাসী সবাই অবৈধভাবে পুকুর খননের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়েছি। এতে কয়েকদিন মাটি কাটা বন্ধ থাকলেও আবার মাটি কাটা হচ্ছে। এতে পুরো রাস্তা ঘাট ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
উপজেলার কয়েকজন চাষি জানান, তিন ফসলি জমি থেকে প্রতি বছর মাটি বিক্রি করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। কারোর নিষেধ মানে না। প্রভাব দেখিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তারা মাটি কাটে। এতে ফসলি জমি কমছে। ট্রাকে মাটি বহন করার কারণে রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না। এসব রাস্তা ঘাট ও ফসলি জমি রক্ষা করতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
সচেতন মহল বলছেন, উপজেলা প্রশাসন মাঝেমধ্যেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাটির ব্যবসায়ীদের জেল-জরিমানা করলেও ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছেন। মাটির টপ সয়েল কেটে নেওয়ার ফলে কৃষিজমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা জলকড়া জমিতে পরিণত হচ্ছে। নির্বিচারে যেভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আশঙ্কাজনক হারে কমে যাবে ফসল উৎপাদন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুর রউফ জানান, বর্তমানে একই আবাদি জমিতে বহুমূখী শস্যের চাষ হওয়ায় ও উন্নত এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ফসল আবাদের কারণে খাদ্য ঘাটতি নেই। তবে যেভাবে আবাদি জমির সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে তাতে একসময় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এখনই এর প্রতিকার হওয়া দরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনেক গভীর করে ফসলি জমির টপ সয়েল কাটার অভিযোগ আমি পেয়েছি। সরেজমিনে আমি নিজে এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমিসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাটি কাটা বন্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সরেজমিনে স্পটগুলোতে গিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । যাদের পাওয়া যাচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধেও নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এমএসএম / এমএসএম
নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত
কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা
নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের
লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র্যালী
মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক
দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ
ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার
বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৪
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতাদের সরব অভিযোগ