কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতাদের সরব অভিযোগ
শ্রমিক–কর্মচারিদের মধ্যে দীর্ঘদিনের চাপা উত্তেজনা এবার প্রকাশ্যে রূপ নিলো কেরুজ চিনিকলে শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। ভোট আয়োজন নিয়ে নিয়মিত তালবাহানা ও বাধা দেওয়ার নেপথ্যে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানকেই দায়ী করেছেন শ্রমিক নেতারা। তাদের অভিযোগ—নিজের স্বার্থ ও পছন্দ মতো নেতৃত্ব গড়ে তুলতেই তিনি নির্বাচনী প্রক্রিয়া বারবার থামাচ্ছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকারও বঞ্চিত করছেন। আগামীকাল কিংবা পরশুর মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা না হলে বড় ধরনের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী ও মনিরুল ইসলাম প্রিন্সসহ শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিক নেতাদের দাবি—কেরুজে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কখনও এত মাত্রায় এককভাবে কর্মী বদলি, বন্ডেড গুদামে পছন্দের লোক বসানো কিংবা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু রাব্বিক হাসান দায়িত্ব নেওয়ার পর নিয়ম ভেঙে একের পর এক বদলির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করেছেন, এমনকি শ্রমিক–কর্মচারিদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ তাদের।
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে কেরুজ শ্রমিক–কর্মচারি ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তৈয়ব আলী ও প্রিন্স বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গত কয়েক মাসের দীর্ঘ জটিলতার কথা। শ্রম অধিদপ্তর, নির্বাচনী পরিচালনা পর্ষদ, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট—সব পর্যায়ে বারবার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন না হওয়ার পেছনে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
বৈঠকে জানানো হয়—১৩ অক্টোবর নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুছ ছাত্তার ও সদস্যরা এমডির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরপরও ২১ অক্টোবর ছাত্তার নিজেকে চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে শ্রম অধিদপ্তরে পত্র পাঠান। পরপর বেশ কিছু আইনি প্রক্রিয়া, শ্রম অধিদপ্তরের ব্যাখ্যা, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ৯ অক্টোবর তিন পক্ষ—শ্রম অধিদপ্তর, মিল ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিক নেতাদের বৈঠকে নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে অগ্রগতি হলেও শেষ মুহূর্তে সবকিছু থমকে যায়।
১১ নভেম্বর শ্রম অধিদপ্তরের নেতৃত্বে জেনারেল অফিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৪৮ জন শ্রমিক নেতা ভোটের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। বৈঠকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে সম্ভাব্য তারিখও জানানো হয়। কিন্তু পরদিনই কোনো কারণ ছাড়াই ঢাকায় ছুটে গিয়ে সব সিদ্ধান্ত ভেস্তে দেন এমডি রাব্বিক হাসান—এমন অভিযোগও করেছেন শ্রমিক নেতা তৈয়ব ও প্রিন্স।
এর আগে চলতি বছরের মার্চের নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত হয়ে চারদিকে আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ে ইউনিয়ন। মিল কর্তৃপক্ষ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করায় শ্রমিক–কর্মচারিরা হয়ে পড়েন কার্যত অভিভাবকহীন। ইউনিয়ন কার্যালয় তালাবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমিক–সেবার সব কার্যক্রম স্তব্ধ হয়ে যায়।
শ্রমিক নেতাদের ভাষ্য—এবার আর দেরি করা যাবে না। ভোটের দাবিতে আন্দোলনে নামতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
অন্যদিকে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান অভিযোগগুলো অস্বীকার করে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইউনিয়ন হলো শ্রমিকদের সংগঠন—আমি কেন মাথা ঘামাবো? তারা ভোটের পরিবেশ তৈরি করতে পারলে আমি বরাবরই যা করণীয় তা করবো বলে জানিয়েছি।”
শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘতম অচলাবস্থা কবে অবসান হবে—এখন নজর পুরো কেরুজ চিনিকলের শ্রমিক–কর্মচারিদের দিকে।
এমএসএম / এমএসএম
নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত
কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা
নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের
লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র্যালী
মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক
দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ
ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার
বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৪
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু
কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি, এমডি রাব্বিক হাসানের বিরুদ্ধে শ্রমিক নেতাদের সরব অভিযোগ