মাজার শরীফে চাঁদা না দেওয়ায় ওরস মোবারক বন্ধ হওয়ার ঘটনায় মামলা
নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলার স্বরমশিয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে হযরত নুরাই পীর এর স্মরণে প্রতিবছর এস এম সারোয়ার আলম খাদেম এর উদ্যোগে এবং স্থানীয় লোকজনের সার্বিক সহযোগীতায় ২০/২২ বছর যাবত মাজার শরীফের ওরশ মোবারক পালন হয়ে আসছে। প্রতি বছর প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হয়। এবার গত ২৭ শে নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বরাবরে নুরাই পীর এ স্মরণে বাৎসরিক ওরস শরীফ উদযাপন করার জন্য অনুমতি চাহিয়া আবেদন করিলে জেলা প্রশাসক মহোদয় আদেশ মোতাবেক তদন্ত করিয়া অফিসার ইনচার্জ আটপাড়া থানা তদন্ত করিয়া প্রতিবেদন দেওয়ার প্রেক্ষিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ওরস মোবারক উদযাপনের জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হইয়া পোস্টার হ্যান্ডবিল দাওয়াত কার্ডসহ বিতরণ করে প্রতি বছরের ন্যায় গত ২০,২১,২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে ওরস মোবারক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ বছর স্থানীয় কিছু কতিপয় দুষ্কৃতিকারী লোকজন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ওরস মোবারক বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে মাজারের দায়িত্বে থাকা খাদেম এস এম সারোয়ার আলমের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা চাঁদা না দেওয়ার কারণে একদলবদ্ব উগ্র দাঙ্গাবাজ ঝগড়াটে খারাপ লোক অনুষ্ঠানস্থলে এসে মাজার শরীফের মূল দরজা ভেঙ্গে ফেলে এবং মাজারে দান বাক্সের তালা ভাঙ্গিয়ে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় উগ্রবাদীরা প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করে বলে মাজার শরিফ ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিবে। এ ঘটনায় মাজার শরিফের দায়িত্বে থাকা খাদেম মামলার বাদী এস এম সারোয়ার আলম গত ৩০ ডিসেম্বর২০২৪ ইং তারিখে নেত্রকোনা বিজ্ঞ আমলী আদালত আটপাড়ায় ৮জনকে আসামী করে ৩৮৫/৩৮৬/৩৭৯/৫০৬(।।)/১১৪ দন্ডবিধি আইনে মামলা করে। বিজ্ঞ আমলী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে সুমন জারি করেন। আসামীগণ হলেন মৃত ওয়াফিজ উদ্দিন এর ছেলে কাঞ্চন মিয়া (৫৫) মৃত জহির উদ্দিন এর ছেলে জজ মিয়া (৪৫) মৃত রজব আলীর ছেলে শহিদুল্লা হারেছ উদ্দিন ছেলে রাজন মিয়া (৪০) মৃত সমর আলী ছেলে হারেছ উদ্দিন (৬০) মৃত ওয়াফিজ উদ্দিন এর ছেলে কাজল (৩৫) সিদ্দিক মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৬) মৃত সব্দুল হোসেন ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৮) সর্বসাং কৃষ্ণপুর।
এমএসএম / এমএসএম