নিরব প্রশাসন
চৌগাছায় ভাটায় পুড়ছে ইট, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

যশোরের চৌগাছায় সরকারী নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে ইটভাটা মালিকরা। ফসলি জমি হতে মাটি সংগ্রহ করা, ভাটায় হরহামেশে গাছ পুড়ানো, অধিক দামে ইট বিক্রি করা, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝেই ভাটা তৈরী করে ফসল ও পরিবেশ নষ্ট করা যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। এ সকল ভাটাকে সরকার কি ভাবে অনুমতি দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন জনমনে।
চৌগাছা-পুড়াপাড়া সড়কে কমলাপুর মোড়ে একে একে তিনটি ভাটা গড়ে উঠেছে। ওয়জিউল্লাহ ব্রিকস, সানি ব্রিকস ও হাশেম ইটভাটা। মুলত এই তিনটি ভাটা মৌসুম শুরুর আগে থেকেই মাটি সংগ্রহসহ সব কাজেই চালান নিরব প্রতিযোগীতা। এতে করে কে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছেন আর কে লাভবান হচ্ছেন তা দেখার মত সময় ভাটা মালকদের নেই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের শাসনামলে এই ভাটা মালিকগন বিশেষ করে ওয়াজউল্লাহ ভাটা মালিক জিলান শেখ ও সানি ভাটার মালিক গোলাম রসুল ধরাকে সরাজ্ঞান না করে রমরমা ব্যবসা করেছেন এখনও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত আছে। ভাটায় পুড়ছে গাছ, পাশে কিছু কয়লা স্তুপ করে রাখা হয়েছে যা দেখিয়ে ভাটা মালিক পার পেয়ে যান এমনটিই জানান স্থানীয়রা। এই ভাটার পাশেই অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভাটায় পোড়ানো গাছ ও কয়লার ছাই উড়ে যেয়ে পড়ছে বিদ্যালয়ের মাঠে। মাঠেই কোমলমতি শিশুরা দৌড়া দৌড়ি খেলাধুলা করেন। একই অবস্থা সানি ব্রিকসের। এই ভাটার পাশেই রয়েছে বিপুল পরিমান ফসলি জমি। মৌসুম শুরু হলে ভাটার কারনে ফসলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষকরা নানা ভাবে কথা বলেও কোনই প্রতিকার পাইনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক কৃষক বলেন, ভাটা মালিকরা বেজায় ক্ষমতাধর। যখন যে সরকার আসে তখন তারা ওই সরকারের কাছের মানুষ হয়ে যায়। ফলে কৃষকসহ সাধারণ মানুষ মারা যাক বা বেঁচে থাকুক তাদের কিছুই যাই আসে না।
ওয়াজিউল্লাহ ও সানি ভাটার মাঝ খান দিয়ে বয়ে গেছে একটি পিচ সড়ক যা পুড়াপাড়া বাজারের সাথে যেয়ে মিশেছে। এই সড়কটি এখন দেখলে অনেকের বুঝে উঠা কঠিন এটি পাকা না কাঁচা। ভাটা মালিকরা মাটি কেটে ভাটাতে জড়ো করার সময় সড়কে মাটি পড়ে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঝিরঝির সৃষ্টি হলে চরম ঝঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে ভাটার এলাকার সড়কটি। পথচারী বিল্লাল হোসেন বলেন গত বছরে রাস্তায় মাটি পড়ে থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় কাঁদা। এসময় মোটরসাইকেল ¯িøপ করে পড়ে যায় এবং বেশ ক্ষতিগ্রস্থ্য হই। দু’টি ভাটার সামনেই কমলাপুর বাজারের অবস্থান। এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু ভাটা দুটির কারনে এই বাজারের ব্যবসায়ী এমনকি বাজারে আগত কেউ নিরাপদ নই। পাশাপাশি তিনটি ভাটায় পাল্লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কারনে ধোঁয়া ও ছাই এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে অথচ প্রশাসন নিরব।
এ বিষয়ে ওয়াজিউল্লাহ ব্রিকসের কোষাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আমরা সব কিছু মেনেই ভাটা পরিচালনা করছি। কোন কাঠ ভাটায় পোড়ানো হয়না। কয়লার দাম বেশি তারপরও আমাদের মালিক জিলান শেখ কয়লা দিয়েই ইট পোড়ান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর হতে তাদের লাইসেন্স নেয়া আছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুস্মিতা সাহাকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসির্ভ করেননি।
এমএসএম / এমএসএম

ভারত থেকে আসা মরিচের ট্রাকে অস্ত্র-গুলি, ২ ভারতীয় আটক

পাবনায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে টেটা বিদ্ধ হয়ে যুবকের মৃত্যু

জুড়ীতে টিকটকে প্রেম, দেখা করতে গেলে মেয়ের স্বজনেরা দিলেন বাল্য বিয়ে: থানায় মামলা

বেনাপোলে এয়ার পিস্তল ও গুলি সহ আটক ২

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে চাকরি করে জাহিদুল পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ

সুবর্ণচরে স্বেচ্ছাসেবকদল চরক্লার্ক ইউনিয়ন কর্মি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শ্রীনগরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রচনা-ক্বেরাত প্রতিযোগিতা

ত্রিশালে উপজেলা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধের ঘুষ বানিজ্যসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

দুমকীতে ধারের টাকা তুলে দিতে না পারায় স্ত্রীর আত্মহত্যা

সাঘাটায় এনসিপি নাম ভাঙিয়ে বাপ–ছেলের চাঁদাবাজির অভিযোগ

বালিয়াকান্দিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১ নিহত ১ আহত
