দহগ্রাম সীমান্তে বিজিবির প্রতিবাদে তারকাঁটা নির্মাণ বন্ধ করলো বিএসএফ, বিজিবির টহল জোরদার
লালমনিরহাটের দহগ্রামে সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে শূন্যলাইন বরাবর বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সময় বিজিবি'র বাঁধার মুখে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবি-বিএসএফ এর সেক্টর পর্যায়ে বেঠক অনুষ্ঠিত হলে বিজিবির প্রতিবাদে তারকাঁটা নির্মাণ বন্ধ করে বিএসএফ। বর্তমানে ওই সীমান্তের পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও বিজিবি টহল জোরদার করেছে।
সীমান্ত আইন অনুযায়ী সীমান্ত রেখার ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা নিষেধ থাকলেও লালমনিরহাটের দহগ্রামে একাধিকবার সীমান্তরেখা লাগোয়া তারকাঁটা দেওয়ার চেষ্টা করে ভারতীয় বিএসএফ। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার বিকেলে বিএসএফ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে দহগ্রাম সীমান্তের ৮ / ৪১ নম্বর পিলার লাগোয়া ভারতের অভ্যন্তরে শূন্যরেখা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের কাজ শুরু করে। খরব পেয়ে ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের টহল প্রতিবাদ জানালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে বিজিবির বাধায় তারকাঁটা নির্মাণ বন্ধ করে-বিএসএফ। পরে আজ(শনিবার) দুপুরে উভয় দেশের সেক্টর পর্যায়ের বিএসএফ-বিজিবি বৈঠক হয়। সেখানেও বিজিবি প্রতিবাদ করে।
দহগ্রামের মুন্সিপাড়া সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরের পরপর ভারতীয় বিএসএফ বিপুল সংখক জনবল নিয়ে আসে এবং সীমান্ত রেখার খুব কাছে(লাগেয়া) চারফুট উচ্চতার তারকাটা নির্মাণ শুরু করে। বিজিবিকে খবর দিলে তারা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে। বিজিবির প্রতিবাদকে উপেক্ষা করে বিএসএফ তারকাঁটা নির্মাণ অব্যাহত রাখে। পরে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে তারকাঁটা নির্মাণ বন্ধ করে বিএসএফ।
বিজিবি জানায়, ২০১০ সালে তিনবিঘা করিডর সংক্রান্ত একটি চুক্তির তথ্য উপস্থাপন করে সীমান্ত রেখা বরাবর তারকাঁটা দেওয়ার চেষ্টা করে বিএসএফ। সেক্টর পর্যায়ে বৈঠকে তারকাঁটা নির্মাণের বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হ'য়েছে।
বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত এবং সীমান্ত রেখায় তারকাঁটা নির্মাণ বন্ধ করেছে বিএসএফ। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিজিবি-বিএসএফ এর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ৫১ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের সহকারী পরিচালক। আমির খসরু। তিনি বলেন, ওই সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে। পরবর্তী বৈঠকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত উভয়দেশই ১৫০ গজের ভিতরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করবে না বলেও জানান তিনি।
এমএসএম / এমএসএম