কুড়িগ্রামে শীতের তীব্রতায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষের জীবন যাত্রা। বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবি মানুষেরা। সময়মত কাজে বের হতে না পারায় বেকার বসে থাকছে হচ্ছে তাদের। গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র মানুষ। জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাতপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আর এম ও ডা: শাহিদ সর্দার জানান, শীতের কারনে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ডায়রিয়া। তবে শীত জনিত রোগের আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানান তিনি।
টানা দুদিন থেকে সূর্য্যের মুখ দেখা যায়নি। মেঘলা আকাশে ঢাকা ছিল সমস্ত অঞ্চল। বিকেল হতেই হিমালয়ের বরফ ছোঁয়া কনকনে ঠান্ডা বাতাতে মানুষের দুর্ভেগ আরও বেড়ে যায়। চরম কষ্টে পরে নদ-নদী অববহিকার ৪শ৫টি চর-দ্বীপচরের প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ। অসুস্থা হয়ে পড়ছে শিশু আর বৃদ্ধরা। প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের না থাকায় অতি কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন তারা।রাত জুড়ে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। সারাদিনেই থাকছে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে প্রকৃতি। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোবের বাসিন্দা (৫০)করিম মিয়া জানান, কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ঠান্ডা আর কুয়াশার জন্য কাজে যেতে পারছি না। গরম কাপড়ও নাই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।
কুড়িগ্রাম শহরের রিকসা চালক ফরাজি আলী জানান, ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে সকাল ১১ টার আগে বের হতে পারি না। আর এ সময়টা ভাড়াও কম। আয় রোজগার কমে গেছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষন অফিসের পর্যবেক্ষন সুবল চন্দ্র সরকার জানান, বুধবার জেলা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে এ পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে শীতার্ত মানুষের মাঝে সরকারীভাবে ৩৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম