বিগত সরকারের শাসনামলের ১৫ বছর আতঙ্কের ভিতর কাটিয়েছিঃ অভি
বিগত স্বরাচারী সরকারের শাসনামলের ১৫ বছেরের বিভিন্ন অজুহাতে গুম, খুন, হত্যা, হামলা, মামলা আর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী। দেশব্যাপী বিরোধী মতাদর্শকে দমনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা ছিল বিগত সরকারের অন্যতম নিকৃষ্ট চরিত্রের এক বহিঃপ্রকাশ।বিগত সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনীকে ন্যাক্কারজনকভাবে লেলিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সরকারের মদদে এবং লোকাল পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ভূমিকাতে ২০২৪ সালের ২৪ শে জুলাই তখনকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ হিল কাফি এর নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জন পুলিশের আমাকে উদ্দেশ্য করে হামলা চালাই এতে আমার বাড়ি ঘরদুয়ার ব্যবহারিক গাড়ি আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্ ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্নভাবে হয়রানি করাসহ আমাদেরকে বাড়ি ছাড়া করানো হয়।
এমনকি আমি চিকিৎসা জনিত কারনে বাংলাদেশ স্পেশালিস্ট হসপিটালে ভর্তি থাকা অবস্থায় ফেসিস্ট সরকারের উশৃংখল নেতাকর্মীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় আল্লাহর অশেষ কৃপায় সে যাত্রায় আমি বেঁচে গিয়েছিলাম বলে অভিমত প্রকাশ করেন বিএনপি দলীয় সাবেক এই ছাত্রদল নেতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ওবায়দুর রহমান অভি। অন্য একটা অনুভূতি করে বলেন পনেরো বছরে চারবার জেলে যেতে হয় এবং ১৬ টি মামলার আসামি ছিলেন বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বিএনপি দলীয় নেতা।
বর্তমান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মাধ্যমে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা জানান এবং বলেন বর্তমান আমরা কিছুটা হলেও মুক্তমনে চলাফেরা করা এবং নিজ বাড়িতে জীবন যাপন করতে পারছি এবং গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে পারছি । বিএনপির এই নেতা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সব থেকে বেশি আন্দোলন হয়েছে সাভারের মাটিতে এই আন্দোলনে ছাত্রজনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ৬০ থেকে ৬৫ জন নিহত হয়। বিভিষিকাময় এই দিনের কথা মানুষ কখনোই ভুলবে না।
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও রাজপথে লড়াকু সৈনিকেরভূমিকায় ছিলেন সাভারের এই ত্যাগী নেতা। বিগত সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা। বিএনপির দলীয় মনোভাবের প্রশ্নে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি বড়দের দেখে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা বাস্তবায়নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দলের প্রতি আনগত্য প্রকাশ করার অনুপ্রেরণা পান।
শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের আন্দোলনে একের পর এক হামলা, মামলায় পারিবারিক এবং আর্থিকভাবে অবর্ননীয় ক্ষতির শিকার হয়েও জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণায় পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ পথ। স্ত্রী, সন্তান কিংবা স্বজন কেউই বাদ যায়নি ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্মম অত্যাচার থেকে। স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ায় দীর্ঘ ১৫-১৬ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বপ্নটা ছিল অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো- এমনটাই বলছিলেন সাভারের ত্যাগী এই রাজনেতিক নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে বিএনপির সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপির লক্ষ লক্ষ
নেতা-কর্মী ২০০৯ সাল থেকে হাসিনার পতন অবধি রাজ যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি হাজার হাজার নেতা-কর্মী উতসর্গ করেছিলেন স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গঠনের চেতনায়।সমৃদ্ধ একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় সাম মানুষের পাশে থেকে জীবনের বাকীটা সময় কাটিয়ে দিতে শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক ওবায়দুর রহমান অভি। বর্তমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে আশা রাখি এর ব্যত্যয় ঘটাবে না। দলীয় নীতির বাইরে কোন অপরাধ করলে দল থেকেই তার ব্যবস্থা করবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে মতামতে তিনি বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব সময় নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক মানসিকতার ছিলেন বলেই, অন্যায় ভাবে ক্ষমতা যাওয়ার প্রচেষ্টা করেননি। তাঁর শাসন আমলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়া এবং জনগণের পাশে থেকে কাজ করার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এমএসএম / এমএসএম