অপহৃত কাঠুরিদের মুক্তিপণ দাবি,আতঙ্কের হাজারো মানুষ

কক্সবাজারে টেকনাফের পাহাড়ী এলাকায় জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকালে অপহৃত পাঁচজনকে একদিন পরও ছেড়ে দেয়নি দূর্বৃত্তরা; তবে তাদের ছেড়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ স্বজনদের। এঘটনায় পাহাড়ি এলাকার প্রায় পাচঁ হাজার মানুষ অপহরণ আতঙ্কে বিরাজ করছে।
এদিকে অপহৃতদের উদ্ধারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন, পুলিশের সংশ্লিষ্টরা।বৃহস্পতিবার দুপুর টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের।
অপহৃতরা হল, টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে মারুফ উল্লাহ (১৮), মোহাম্মদ হাসানের ছেলে মোহাম্মদ কাইফ উল্লাহ (১৭), হামিদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ ইসা (২৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে ইউসুফ উল্লাহ (৩০) এবং শফিউল আজমের ছেলে মো. আবুইয়া (২০)।
এদিকে বুধবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মাঠ পাড়া ও বাইন্ন্যা পাড়া এলাকার ১৫ জন লোক স্থানীয় পাহাড়ে জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে যান। এক পর্যায়ে স্থানীয় চাকমা পাড়া সংলগ্ন এলাকার পূর্ব পাশের পাহাড়ী এলাকায় একদল দূর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে তাদের জিন্মি করে। পরে তাদের মধ্যে ৫ জনকে জিন্মি রেখে অন্যদের ছেড়ে দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কাদের বলেন, ঘটনার একদিন পার হলেও দূর্বৃত্তরা কাউকে ছেড়ে দেয়নি। বুধবার রাতে অপহৃতদের ছেড়ে দিতে স্বজনদের কাছে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দূর্বৃত্তদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অপহৃত কাইফ উল্লাহ (১৭) এর বাবা মোহাম্মদ হাসান বলেন, বুধবার রাতে মোবাইল ফোন কল দিয়ে দূর্বৃত্তরা জনপ্রতি এক লাখ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। দাবিকৃত টাকা আদায় না করলে অপহৃতদের প্রাণে মেরে ফেলবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর থেকে পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে টেকনাফের বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। তবে স্বজনদের কাছ থেকে দূর্বৃত্তদের মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি পুলিশ অবহিত নয়। স্বজনরাও মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি পুলিশকে অভিযোগ করেননি বলে জানান তিনি।
এদিকে একের পর এক অপহরণের ঘটনায় টেকনাফের বাহারছড়া মাঠ-বাইন্ন্যা পাড়ার পাহাড়ি এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাশাপাশি অপহৃতদের বাড়িতে থামছে না কান্না।
বাইন্ন্যা পাড়ার বাসিন্দা আমিন উল্লাহ বলেন, 'আমাদের এলাকার পাঁচ জন কাঠুরি অপহরণের শিকার হয়েছে।তাদের এখনো ছেড়ে দেয়নি। ফলে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই দুই এলাকায় প্রায় ৫ হাজার মানুষের বসতি। অধিকাংশ পাহাড়ি পাদদেশে। তাঁরা সবাই ভয়ের মধ্য আছেন। সরকারের উচিত পাহাড়ি এলাকায় চিরনি অভিযান পরিচালানা করে অস্ত্রধারীদের আইনের আত্ততায় আনার দরকার। না হলে মানুষের মাঝে আতঙ্ক কমবে না।'
উল্লেখ্য কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত এক বছরের বেশি সময়ে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২১০জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে একই সময়ে উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির থেকে ৯০ জনকে অপহরণ করা হয়।
এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
