রাবিতে প্রায় এক যুগ আগের মামলা প্রত্যাহারসহ পাঁচ দাবি ছাত্র ইউনিয়নের
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ১১ বছর আগে বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স ও বর্ধিত বেতন-ফি বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র নেতাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্র ফেডারেশন। বৃহস্পতিবার (৬ ফ্রেব্রুয়ারি) বিকালে এ দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন রাবি ছাত্র ফেডারেশনের যুগ্ম-আহ্বায়ক আযাদ রহমান ও রাবি ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য সচিব ওয়াজেদ শিশির অভি।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো '২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারির আন্দোলন হামলা বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন', 'তদন্ত সাপেক্ষে হামলার মদদদাতা তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গ ও হামলাকারী ছাত্রলীগ ও পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ', 'আন্দোলনে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী ও ছাত্র নেতাদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত', 'আন্দোলনে মদদদাতা তৎকালীন প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অভিযুক্ত শিক্ষকদের বহিষ্কার'।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন বিভাগে অন্যায্যভাবে বেতন ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বাণিজ্যিক সান্ধ্যকোর্স বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলে। আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও ছাত্রলীগ সেই আন্দোলনে অস্ত্রসহ ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়। সেই হামলায় শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য ছাত্র নেতৃত্বের নামে মামলা দায়ের করে। আন্দোলনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক উৎসব মোসাদ্দেক, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মুঈজ, রাবি শাখার সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব রকি, রাবি শাখার সাবেক সভাপতি ফারুক ইমন, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও সাংস্কৃতিক জোটের অনেক নেতাকর্মীসহ শিক্ষার্থীদের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও ছাত্রলীগ মিলে ছয়টি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আরও বলা হয়, তারা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে এই মিথ্যা মামলার হাজিরা দিয়ে আসছেন। এই ১১ বছরে সীমাহীন আর্থ-মনো-সামাজিক ক্ষতি হয়েছে। সেই মামলার মধ্যে এখনো একটি মামলা ( মামলার জি, আর/এম, জি, আর নং ৭৩/১৪) চলমান। এই সব মামলার কারণে তাদের শিক্ষাজীবন ও শিক্ষা পরবর্তী কর্মজীবনে প্রবেশের পথ চরমভাবে ব্যাহত হয়। মামলার হয়রানি ও প্রভাবে তাদের সুস্থ স্বাভাবিক পারিবারিক, সামাজিক জীবন ও ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে পড়ে। এছাড়াও শতাধিক আহত শিক্ষার্থীদের জীবনও বহু ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হয়।
এমএসএম / এমএসএম