রায়গঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে প্রশাসক-প্যানেল চেয়ারম্যানের টানাটানি
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পতিত সরকার পতনের পর সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে প্রশাসক-প্যানেল চেয়ারম্যানের টানাটানি লক্ষ্য করা গেছে। এ উপজেলায় ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ৭ আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যানেরা ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যায়। বাকি ২ ইউনিয়নের মধ্যে আন্দোলনে নিহন হয় এক চেয়ারম্যান। অন্যদিকে সকল ঝনঝটের মধ্যে দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে ধামাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী মনোনীত চেয়ারম্যান। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকায় স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা প্রত্যাশীরা।
সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের বিষয় চিন্তা করে গত ২৭ নভেম্বর জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানেরা পদ বঞ্চিত হয়ে মহামান্য হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।
সেই রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বিভাগের ১নং বেঞ্চের বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি রাশিদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গত ১১ডিসেম্বরে প্রশাসকদের দায়িত্ব স্থগিত করেন। হাইকোর্ট বিভাগের রায় বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসক ও ইউএনও বরাবর পত্র প্রেরণ করলে সেই রায়েয় বিরুদ্ধে আপিল করেন উপজেলা প্রশাসন।
এমন পরিস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা নিয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসকদের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। এতে করে ইউপি সদস্যসহ সাধারণ জনগনের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পরিষদের সাধারণ জনগণ।
সেবা নিতে আসা নলকা ইউনিয়নের জহিরুল, আশরাফুল, রবিউল ইসলাম জানান, আমরা ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে এসেছি জন্ম ও মৃত্যু সনদ নেওয়ার জন্য। এসে দেখি প্যানেল চেয়ারম্যান পরিষদে আছেন। জন্ম ও মৃত্যু সনদ পত্র চাইলাম তিনি সচিবকে সনদ দিতে বল্লেন। সনদে সই নিতে প্যানেল চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি বলেন, সনদে স্বাক্ষর করবে প্রশাসক আমি না।
প্রশাসকের সাক্ষর নিতে উপজেলায় ২ দিন ঘুরে ৩ শত টাকা খরচ করেও সই নিতে পেরেছি। ঘুড়কা ইউনিয়ন পরিষদের ফাহিম, জেলহক, রাশিদুল ইসলাম জানান, আমার সন্তানের জন্ম সনদ নিতে এসেছি পরিষদে। এসে দেখি প্যানেল চেয়ারম্যান ও প্রশাসক কেউ নেই। পরে সচিবের কাছ থেকে সনদ নিয়ে কয়েক দিন উপজেলায় ঘুরে সনদে স্বাক্ষর নিয়েছি ।দু'দিন ঘুড়ে দেখলাম এখন চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর মানে সোনার হরিণ।
ধানগড়া ও চান্দাইকোনা ইউনিয়নের রাজ্জাজ, মেনহাজ, আলহাজ জানান, পরিষদে ১ সপ্তাহ ঘুরে ট্রেড লাইসেন্স পেয়েছি।
চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খাঁন ও ব্রহ্মগাছা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্থানীয় সরকার ২০০৯ সালের আইনের ধারা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যানের অনুপস্থীতে সেই পদে দায়িত্ব পালন করবে প্যানেল চেয়ারম্যান। কিন্তু প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব থাকা অবস্থায় সম্পুর্ন অবৈধ ভাবে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ন কবির জানান, পরিপত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসকেরা সেবা দিয়ে চলেছেন।
এমএসএম / এমএসএম
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভবন থাকলেও পর্যাপ্ত জনবল নেই,ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা
নবীনগরে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এম. এ. মান্নানের নির্বাচনী জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত
কুমিল্লায় ইমাম–খতীব সম্মেলন রোববার,প্রধান অতিথি ধর্ম উপদেষ্টা
নন্দীগ্রামে ড. মোস্তফা ফয়সাল পারভেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া প্রতিহতের আহ্বান সাংবাদিকদের
লাকসামে জামায়াত প্রার্থী সরওয়ারের বিশাল হোন্ডা র্যালী
মনপুরায় সফরকালে সুধীবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক
দুমকীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান
এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি-নেত্রকোনায়-জামায়াত নেতা মতিউর রহমান আকন্দ
ফাঁদে ফেলে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার
বাস-ইজিবাইকের সংঘর্ষে নিহত ৪
নোয়াখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চিকিৎসাধীন সাবেক ছাত্রদল সভাপতির মৃত্যু