ঢাকা শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ


জাহাঙ্গীর আলম শাহীন photo জাহাঙ্গীর আলম শাহীন
প্রকাশিত: ২০-২-২০২৫ রাত ৮:১৯

গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পাবনার বিরুদ্ধে কমিশন বাণিজ্য, ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত  এবং প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে 

পাবনা গণপূর্তের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল আজিম এর আগে গাজীপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের পরেও সে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে পাবনায় গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘদিন গাজীপুরে থাকার সুবাদে গড়ে তুলেছিলেন বিশাল এক দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য। ২০১৯-২০ অর্থবছরে গাজীপুর গণপূর্তের ৩৪ টি নির্মাণ কাজে প্রকল্প গুলোর কাজ সম্পাদন ছাড়াই কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করে হস্ত রশিদের মাধ্যমে ৪৯ কোটি ২৯ লাখ ২২ হাজার ৩০৬ টাকা বিল তুলে নিয়েছিলেন। ঠিকাদারদের সাথে নির্বাহী প্রকৌশলীর সম্পৃক্ততা থাকায় ২৫ অক্টোবর ২০২২ সালে কৈফিয়ত চেয়ে চিঠি (স্মারক নম্বর -৩৫২) দিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. মিজানুর রহমান মজুমদার। যে চিঠির জবাব ২৭ দিনেও দিতে পারেনি গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগ। ওই চিঠিতে বলা হয় সবগুলো প্রকল্পের কাজের বিপরীতে বিল,এমবি ও ভাউচার লিখিতভাবে চাইলে গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগ তা অডিট দলের কাছে পরিদর্শন করতে পারে নাই।শুধুমাত্র হস্ত রশিদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিল পরিশোধ দেখানো  হয়েছে।ওই চিঠিতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা পরিদপ্তর কর্তৃক উত্থাপিত গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের ২০১৯-২০ সালের অডিট আপত্তির অনুচ্ছেদ নম্বর ৫ এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও প্রমাণ সংযুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর সুপারিশ ও প্রধান প্রকৌশলীর মতামতসহ ব্রডশিট জবাব মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই লুটেরা নির্বাহী প্রকৌশলীকে পাবনায় বদলি করা হয়। 

 গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল( শতামেক) নির্মাণ প্রকল্পের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের ৮২০টি পাইল ঢালাই ও ড্রাইভসহ অন্যান্য সমস্ত কাজের বিল বাবদ ১০ মার্চ ২০২০সালে ৭ কোটি ২৭লাখ ২৭ হাজার ২৭৩ টাকা (ভাউচার নম্বর -৩৫৯), বালক হোস্টেল ভবন নির্মাণ কাজের ৩২৭ টি পাইল ঢালাই ও ড্রাইভ সহ অন্যান্য সমস্ত কাজের বিল বাবদ ১৩ মে ২০২০ সালে ৩ কোটি টাকা( ভাউচার নম্বর -৪০৯) এবং বালিকা হোস্টেল ভবন নির্মাণ কাজের ৪৩৭টি পাইল ঢালাই ও ড্রাইভ সহ অন্যান্য সমস্ত কাজের বিল বাবদ ৯ মার্চ ২০২০ সালে ৬ কোটি ৬ লাখ ৬ হাজার ৬০ টাকা বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হয়েছে। 

অথচ সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম স্বাক্ষরিত ২০২০ সালে জুলাই মাসের প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পগুলোর শুধুমাত্র পাইল ড্রাইভ কাজ চলমান রয়েছে। শতামেকের ১২৫০ বর্গফুট কোয়ার্টার নির্মাণ কাজের জন্য ৩০ জুন ২০২০ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৫ টাকা (ভাউচার নম্বর -৭২৯) পরিশোধ করা হয় কিন্তু প্রকল্পের সার্ভিস পাইল ঢালাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে বলে অগ্রগতি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় এবং সমস্ত কাজের বিল অগ্রিম পরিশোধ হয় বলে জানানো হয়। ২০২০ সালের মার্চে পরিশোধিত অর্থের বিপরীতে কাজ আদায় ছাড়াই শতামেকের একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজের জন্য এসজেসিএলএইচ জেভি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ জুন ২০২০সালে পুনরায় ১০ কোটি টাকা( ভাউচার নম্বর -৬৯৭) প্রদান করা হয়। 

শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ( শতামেক) নির্মাণ প্রকল্পের ১০ তলা বয়েজ হোস্টেল ও ডাক্তার ডরমেটরি ভবন নির্মাণের জন্য বঙ্গ বিল্ডার্সকে ২৫ জন ২০২০ সালে ৪ কোটি টাকা ( ভাউচার নম্বর -৫৬০), শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজের জন্য এসএইচ জেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ১৯ জুন ২০২০ সালে ৬০ লক্ষ টাকা (ভাউচার নম্বর-৬৯৮), শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের ১২৫০ বর্গফুট কোয়ার্টার নির্মাণের জন্য ডিইসি এল অ্যান্ড বিএ জে ভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুন ২০২০ সালে ১ কোটি ৭১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮২৫ টাকা ( ভাউচার নম্বর -৭২৯), শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের ১০ তলা গার্লস হোস্টেল ও ডরমেটরি ভবন নির্মাণের জন্য ২৫ জুন ২০২০ সালে এমজেসিএল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি টাকা (ভাউসার নম্বর-৫৬১),  এবং ২৩ জুন ২০২০ সালে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ভবনের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের ৬ষ্ঠ চলতি বিল হিসেবে নূরানী কনস্ট্রাকশনকে ৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা (ভাউসার নম্বর -৫১৩) বিল প্রদান করা হয়। 
২০২০ সালের জুন মাসে প্রকল্পগুলোতে যে কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল সেই কাজ অদ্যবধি শুরুই হয়নি। গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণ কাজের জন্য বাবর এসোসিয়েশন নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জন ২০২০ সালে হস্ত রশিদের মাধ্যমে (ভাউচার নম্বর-৭৩৩) ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, কাপাসিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস অফিস নির্মাণ কাজের জন্য প্রবাল ইঞ্জিনিয়ার্সকে কে ২১ জন ২০২০ সালে ৫০ লাখ টাকা( ভাউসার নম্বর- ৪৮৪), গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রি অফিস নির্মাণে আরই এন্ড এমই জেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২৩ জুন ২০২০ সালে ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা( ভাউচার নম্বর -৫২৬),  কাপাসিয়া  টিটিসি'র ডরমেটরি ভবন নির্মাণে তালহা ইন্টারন্যাশনালকে ২১ জুন ২০২০ সালে ৮৬ লাখ টাকা (ভাউচার নম্বর- ৪৮৭),  গাজীপুর র‍্যাব ট্রেনিং স্কুল নির্মাণে ঠিকাদার  মো: দেলোয়ার  হোসেন কে ২১ জুন ২০২০ সালে৫০ লাখ টাকা (ভাউসার নম্বর -৪৯৫),  কালিয়াকৈর উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণে বাবর  এসোসিয়েশনসকে ৩০ জুন ২০২০ সালে ১ কোটি  ৮৫ লাখ টাকা (ভাউচার নম্বর- ৭২৪),  গাজীপুর  র‍্যাব টেনিং স্কুলের সাপোর্ট সেন্টার নির্মাণে সাউথ বেঙ্গল কনস্ট্রাকশন কে ২৬ জুন ২০২০ সালে ৫০ লাখ টাকা (ভাউচার নম্বর -৫৭৩), গাজীপুর র‍্যাব কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরীণ রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদার রাশেদুজ্জামান পিটারকে ২৭ জুন ২০২০ সালে ১ কোটি ১৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা (ভাউচার নম্বর -৫৮৯), জেলা সার্কিট হাউজের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের জন্য এম এম জেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৯ জুন ২০২০ সালে ৮৪ লাখ ২০ হাজার ২২০ টাকা( ভাউসার নম্বর -৭০৪) এবং গাজীপুর র‍্যাব কমপ্লেক্সের সিকিউরিটি লাইট স্থাপনের জন্য ফিলামেন্ট ইঞ্জিনিয়ারসকে ১৯ জুন ২০২০ সালে ১ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার ( ভাউচার নম্বর -৪৮৩) টাকা প্রদান করা হয়। 

এছাড়াও গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ অফিসের সীমান প্রাচীর নির্মাণের জন্য ফিলামেন্ট ইঞ্জিনিয়ারস কে ৩০ জুন ২০২০ সালে ৫০ লাখ টাকা (ভাউচার নম্বর -৭২৩) প্রদান করা হয়। একই পদ্ধতিতে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ অফিসের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য এম আলী এন্টারপ্রাইজ কে  ২ জুন ২০২০ সালে ৫০ লাখ টাকা (ভাউচার নম্বর -৪৩১)  প্রদান করা হয়, গাজীপুর র‍্যাব ট্রেনিং স্কুলের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে মুক্তা কনস্ট্রাকশনকে ৭ জুন ২০২০ সালে ৬০ লাখ টাকা (ভাউচার নম্বর -৪৩২),  কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্কুল ভবনের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজের জন্য এমবিএল জেটি জেভি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২৯ জুন ২০২০ সালে ২ কোটি ১ লাখ ৭২ হাজার ৯৪৭ টাকা (ভাউচার  নম্বর -৬৯৬),  কাপাসিয়া টিটিসি'র ডরমেটরি ভবন নির্মাণে তালহা ইন্টারন্যাশনাল কে ৯ জন ২০২০ সালে ৫২ লাখ টাকা( ভাউচার নম্বর -৪৩৩),  গাজীপুর পুলিশ লাইনের ব্যারাক নির্মাণে প্রবাল কনস্ট্রাকশন কে ২৯ জুন ২০২০ সালে ২ কোটি টাকা +ভাউচার নম্বর -৬৬৮),  এবং ২১ জুন ২০২০ সালে গাজীপুর র‍্যাব ট্রেনিং স্কুলের সীমানা প্রাচীন নির্মাণে মুক্তা কনস্টেশনকে হস্ত রশিদের মাধ্যমে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করেছে গণপূর্ত বিভাগ( ভাউচার নম্বর -৪৮৫)।

প্রকল্প গুলোর মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন নির্মাণ কাজে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে। এই নির্মাণ প্রকল্পের উপখাত  একাডেমিক ভবন নির্মাণ কাজে গত১০ মার্চ ২০২০ সালে ৮২০ টি পাইল ঢালাই ও ড্রাইভ সহ অন্যান্য কাজের বিল বাবদ ৭ কোটি ২৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৩ টাকা (ভাউচার নম্বর-৩৫৯) পরিশোধ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রকল্পে মাত্র অর্ধেক কাজ সম্পাদন হয়েছে । 

একই কাজে মার্চ মাসে প্রদান করা বিলের কাজ শেষ করার আগেই পুনরায় গত ২৯ জন ২০২০ সালে হস্ত রশিদের মাধ্যমে (ভাউচার নম্বর- ৬৯৭) ১০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে যার বিপরীত্য অধ্যবধি কোন কাজই শুরু হয়নি । একই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বালক হোস্টেল নির্মাণের জন্য ৩২৭টি পাইল ঢালাইও ড্রাইভ সহ অন্যান্য কাজের বিল বাবদ গত ১৩ মে ২০২০ সালে ৩  কোটি টাকা (ভাউচার নম্বর -৪০৯) প্রদান করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নভেম্বর মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মাত্র অর্ধেক কাজ সম্পাদনা হয়েছে। এই অর্থের বিপরীতে কাজ না করেই গত ২৫ জুন ২০২০ সালে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় ৪ কোটি টাকা (ভাউচার নম্বর -৫৬০) বিল প্রদান করা হয়েছে যার বিপরীত অদ্যবধি কোন কাজই শুরু হয়নি। 

এখানেই শেষ নাই, এ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২৫০ বর্গফুটের কোয়ার্টার নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গত ৩০ জুন ২০২০ সালে ১ কোটি ৭১ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৫ টাকা (ভাউচার নম্বর -৭২৯) প্রদান করলেও  এখনো কাজই শুরু করতে পারেনি। অথচ অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই প্রকল্পের সার্ভিস পাইল ঢালাইয়ের   কাজ চলমান রয়েছে। শুধুমাত্র ২ জুন ২০২০ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২০  সাল পর্যন্ত ২৮ দিনে ২৬ টি হস্তরশিদে নিয়ম বহির্ভুতভাবে ৪৭ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৩০৬ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়েছে। অবশিষ্ট অর্থ বিভিন্ন সময়ে একই পদ্ধতিতে প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখিত সবগুলো প্রকল্পের কাজেই একই পথ অনুসরণ করা হয়েছে। এসবের বিপরীতে ঠিকাদার বিল ভাউচার, কাজের রেকর্ড পরিমাপ বহি: গাজীপুর গণপূর্তের সংরক্ষণে নেই। বিষয়টি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় ও (অডিট) ধরা পড়েছে । 

গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী পরিষদের মোঃ আনোয়ারুল আজিম ঠিকাদারদের কাছ থেকে নানারকম সুবিধা নিয়ে কাজের দিকে না তাকিয়ে ঠিকাদারদের শুধু বিল দিয়েই গেছেন। তিনি ছাড়া এ লুটপাটে গাজীপুর গণপূর্তের স্টাফ অফিসার এবং গণপূর্তের হিসাবরক্ষক মমতাজ, আলী জাকির সহ অনেকে জড়িত। 

এভাবে গাজীপুরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম (বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পাবনা) ঠিকাদারদের সাথে আঁতাত করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার উপরে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার করে কানাডাতে গড়েছেন আলিশান বাড়ি। মিরপুর রূপনগরে রয়েছে ৬ কাঠার ২টি প্লট, রোড-১১, ব্লক- সি, প্লট নং-৩২/এ,৩৩/এ। উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে আলিশান বাড়ি রোড-৮, বাসা-৮৯/বি, এছাড়াও মিরপুরে  একাধিক ফ্ল্যাট ও জায়গা কিনেছেন। চলেন  ব্রান্ড নিউ হ্যারিয়ার লেক্সাস গাড়িতে। 

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক গাজীপুর গণপূর্তের কয়েকজন স্টাফ 'দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, আনোয়ারুল আজিম স্যার এই অফিসে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম করে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তারা আর ও বলেন এ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে আজ আমাদের গণপূর্তের অনেক কর্মকর্তা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অর্থ সহায়তার জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন। 
এ বিষয়ে পাবনা গণপূর্তের বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আনোয়ারুল আজিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ  করলে পরে কথা বলব এই বলে ফোন কেটে দেন (চলবে)

এমএসএম / এমএসএম

ঈদ সামনে রেখে জাল নোট তৈরির কারিগর ব্যস্ত

বরগুনায় জলমহাল ইজারা নিয়ে মহা-জালিয়াতি

দুর্নীতির মহারাজা এলএ শাখার কানুনগো বেলাল

এরোনেস ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্নায়ু বিকাশ প্রতিবন্ধীদের সুইড বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট

বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী প্রকল্পের মাটি ভরাটের প্রিলেভেল সার্ভে কাজে প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতি

মাদারীপুরের আলোচিত মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একই পরিবারের চারজন করছেন সরকারি চাকরি

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা

মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অফিসার তৌহিদুলের শাস্তি দাবি

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাকিবুল হাসানের ঘুস-দুর্নীতি সমাচার

জমি ক্রয়ের নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসি স্বামীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক